আজকের এই পোস্টে আমরা ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে জানব যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করি। আর এই সকল প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের শিক্ষাকে উন্নত করে।
আমরা যে শুধু এই সকল প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে জানব তা কিন্তু নয় এই পোস্টে আমরা এদের ব্যবহার সম্পর্কেও জানব। আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ ভাবে পড়ুন সম্পূর্ণ ভাবে পড়লে আপনি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
নিচে ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম দেওয়া হলো:
১} ভার্চুয়াল রিলেটি।
২} ভার্চুয়াল ক্লাসরুম।
৩} বায়োইনফরমেটিক্স।
৪} বায়োমেডিকাল প্রযুক্তি।
৫} অনলাইন শিক্ষা মাধ্যম।

এই সকল প্রযুক্তি ছাড়াও আরো আমরা বিভিন্ন রকমের শিক্ষা প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে জানি এবং সেগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখি।
কিন্তু আমি যেহেতু এখানে পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম বলতে চেয়েছি তাই আমি এখানে এই পাঁচটি প্রদান করলাম।
আমরা তো এখন এই শিক্ষা প্রযুক্তি গুলোর নাম সম্পর্কে জানলাম এখন আমাদেরকে এদের ব্যবহার জানতে হবে এবং বুঝতে হবে।
এই পোস্টের মধ্যেই আমরা এদের ব্যবহার সম্পর্কে হালকা আলোচনা করব এবং এদের সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করব।
শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার
আমরা এক একটি করে এই পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে হালকা করে জানবো এবং ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করব।
নিচে এই সকল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে একটি একটি করে ভালোভাবে উপস্থাপন করা হলো যাতে আপনি বুঝতে পারেন।
১} ভার্চুয়াল রিলেটি: এখানে ভার্চুয়াল কথাটির অর্থ হচ্ছে কাল্পনিক আর রিয়ালিটি কথাটির অর্থ হচ্ছে বাস্তব অর্থাৎ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাল্পনিক বিষয়গুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হচ্ছে ভার্চুয়াল রিলেটি এর কাজ। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্নভাবে এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সেনা সদস্যদের অস্ত্র চালনা শেখানোর সময় বা অস্ত্র চালনা ট্রেনিং এর সময় প্রথমে ভার্চুয়াল রিলেটি ব্যবহার করা হয়।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ভূমিকা পালন করে বিভিন্ন জটিল অপারেশন শিখানোর সময় তাদের এই মাধ্যমে শেখানো হয়।
২} ভার্চুয়াল ক্লাসরুম: ভার্চুয়াল শব্দের অর্থ হচ্ছে অস্তিত্বহীন আর ক্লাসরুম শব্দের অর্থ হচ্ছে শ্রেণী কক্ষ অর্থাৎ এর অর্থ অস্তিত্বহীন ক্লাসরুম। যে শ্রেণিকক্ষের মধ্যে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয় উপস্থিত থাকবে কিন্তু সরাসরি ক্লাসরুমে থাকবে না বরং মোবাইল বা প্রযুক্তি দিয়ে ক্লাস করবেন।
এই মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে একে অপরের সাহায্য সহযোগিতা করতে পারে।
এই ক্লাসগুলো ক্লাউডভিত্তিক ক্লাসরুম হয় বৃহত্তর ক্লাস রুম তৈরি হয় আর ক্লাসরুমে উপস্থিত হওয়ার জন্য মোবাইল কম্পিউটার ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
৩} বায়োইনফরমেটিক্স: এই বায়ো শব্দটির অর্থ হচ্ছে জৈব আর ইনফরমেটিক্স শব্দটির অর্থ হচ্ছে তথ্য এই মাধ্যমে জীববিজ্ঞানের সমস্যার সমাধান হয়। কম্পিউটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়ে জীব বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু গুলোকে আণবিক পর্যায়ে গবেষণা করা হয়।
পরবর্তী শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার
এই পোস্টের মধ্যে আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম সম্পর্কে জানলাম সেই সাথে এদের তিনটির ব্যবহার সম্পর্কে জানলাম।
এখন বাকি রয়েছে আর মাত্র দুইটি এখন আমরা এদের ব্যবহার সম্পর্কে জানব এবং বুঝার চেষ্টা করব।
৪} বায়োমেডিকাল প্রযুক্তি: এখানে বায়ো শব্দের অর্থ হচ্ছে জৈব আর মেডিকেল শব্দের অর্থ হচ্ছে চিকিৎসা আর এই দুইটি মিলে বায়োমেডিকাল। এই প্রযুক্তি নীতির প্রয়োগ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জীবন্ত বা জৈবিক মাধ্যমকে উন্নত করা হয়।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে মেডিকেল এর শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা এবং তাদের কারিকুলাম সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারে।
আর এই প্রযুক্তির ব্যবহার করার কারণে তারা যেকোনো জটিল চিকিৎসার বাস্তবিক ধারণা পায়।
এই প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এবং উন্নতি সাধন করেছে।
এবার মেডিকেলের সাথে এখন অনেক কিছু বিষয় জড়িত: জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল, বায়োমেডিকাল গবেষণা, জৈব প্রকৌশলী ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি।