স্বাস্থ্য কি? স্বাস্থ্যে কত প্রকার ও কি কি? স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায়?

স্বাস্থ্য কি: রোগ মুক্ত অবস্থায়, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থেকে জীবন অতিবাহিত করার মাধ্যমকেই স্বাস্থ্য বলে।

স্বাস্থ্য হচ্ছে নিজের শরীরের একটা অংশ যা দেখা যায় না তবে ব্যক্তির চলাফেরা দ্বারা অনুভব করা যায়।

এককথায়, স্বাস্থ্য কাকে বলে: রোগ মুক্ত অবস্থায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থেকে কল্যাণময় জীবন পরিচালনা করার মাধ্যমকে স্বাস্থ্য বলে।

এক্ষেত্রে সামাজিকভাবে সুস্থ থাকাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় কেননা, এখানে সামাজিকভাবে সুস্থ থাকা বলতে বোঝানো হয়েছে যে পাগল নয়।

স্বাস্থ্য কি
স্বাস্থ্য কি?

আমাদের সমাজে অনেক ধরনের মানুষ রয়েছেন যারা পাগল অর্থাৎ সামাজিকভাবে অসুস্থ কিন্তু তারা শারীরিকভাবে সুস্থ এবং রোগমুক্ত।

আর এক্ষেত্রে এদেরকে কখনোই স্বাস্থ্যবান বলা যাবে না বা বলা ঠিক হবে না।

সুতরাং স্বাস্থ্য এর সংজ্ঞা হলো: রোগমুক্ত অবস্থায়, শারীরিক-মানসিক ও সামাজিকভাবে সুস্থ থেকে কল্যাণময় জীবন পরিচালনা করার মতো শরীরকে বা মানুষকে স্বাস্থ্য বলা হয়।

স্বাস্থ্য এর সংজ্ঞা অগনিত কেননা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানীরা আমাদের মাঝে স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা উপস্থাপন করেছেন।

আর প্রত্যেকটি বিজ্ঞানী যে সকল সংজ্ঞা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন প্রায় প্রত্যেকটি  সংজ্ঞা যুক্তিযুক্ত প্রমাণ দ্বারা গঠিত হয়েছে।

তবে আপনার পক্ষে যে সংজ্ঞাটি  সহজ বলে মনে হবে তাই আপনি অনুশীলন করতে পারেন কেননা,  এখানে উল্লেখিত প্রত্যেকটি সংজ্ঞা যুক্তিযুক্ত প্রমাণ দ্বারা গঠিত হয়েছে। WHO, আমাদের মাঝে ১৯৪৮ সালে স্বাস্থ্য এর সংজ্ঞা প্রদান করেন, সংজ্ঞাটি হলোঃ দৈনন্দিন জীবনের একটি সম্পদ হলো স্বাস্থ্য, এটি বলতে সামাজিক,  মানুষিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ ও মঙ্গল থাকাকে বোঝায়।

স্বাস্থ্যের প্রকারভেদ ও উদাহারণ

স্বাস্থ্য কি এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার পর স্বাস্থ্য এর প্রকারভেদ নিয়ে জ্ঞান অর্জন করা আমাদের জন্য অনেক বেশি ভালো হতে পারে।

তাই নিচে স্বাস্থ্যের প্রকারসমূহসহ তাদের ব্যাখ্যা বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হলোঃ

১. শারীরিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা:

স্বাস্থ্য এর প্রকারের মধ্যে প্রথমে যেই প্রকারভেদটি উল্লেখ আছে সেটি হচ্ছে শারীরিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা।

শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে রোগমুক্ত থাকা অবস্থাকে বোঝানো হয় অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি রোগ মুক্ত অবস্থায় থাকে তাহলে তো তার শরীর অবশ্যই সুস্থ থাকবে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা বলতে আরও একটি বিষয়কে বোঝানো হয় সেটি হচ্ছে শুধুমাত্র রোগ মুক্ত অবস্থায় নয়, শরীরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কর্মদক্ষতা থাকতে হবে। 

২.  মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা:

একটি মানুষ স্বাস্থ্যবান হতে গেলে তাকে অবশ্যই মানসিকভাবে স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ থাকতে হবে।

এখানে মানসিকভাবে সুস্বাস্থ্য বলতে বোঝানো হয়েছে তার জ্ঞানকে।

অবশ্যই একটি মানুষকে স্বাস্থ্যবান হতে হলে মানসিকভাবে সুস্থ থেকে বিচার বিচক্ষণতার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে হবে এবং বিশ্লেষণকারী হতে হবে। 

মানসিকভাবে সুস্থ বলতে এখানে যাদের একটু হলেও ধারণা থাকে জীবন পরিচালনা করার সেই সকল মানুষদেরকে বোঝানো হয়।

যেমন একজন পাগল ব্যক্তি কখনোই তার জীবন পরিচালনা করার বিষয়টি নিয়ে ভাবে না, আর এক্ষেত্রে একজন পাগল মানুষ কখনো মানসিকভাবে সুস্থ হতে পারে না। 

৩. সামাজিকভাবে স্বাস্থ্যবান বা সামাজিক স্বাস্থ্য:

সামাজিকভাবে স্বাস্থ্যবান বা সামাজিক স্বাস্থ্য বলতে বোঝানো হয়েছে।

একজন মানুষকে অবশ্যই সামাজিক যে সকল পরিবর্তন অর্থাৎ পরিবেশে যেসকল পরিবর্তন আসে সে সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

এবং পরিবেশ পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারতে হবে।

স্বাস্থ্য বলতে মূলত এই সকল প্রকারভেদ কে বুঝানো হয়ে থাকে।

কেননা, স্বাস্থ্য এর যে সকল সংজ্ঞা রয়েছে প্রায় প্রত্যেকটি সংঘাতে এ তিনটি বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায়?

স্বাস্থ্য কি উক্ত পরিচ্ছেদ হতে আমরা মূলত স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায় এ বিষয় সম্পর্কে অনেক তথ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আর স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায় এ বিষয় সম্পর্কে অন্য কিছু ধারণা লাভ করতে হবে আপনাকে এমনটি না বরং স্বাস্থ্য সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞান রাখলেই হবে।

এই স্বাস্থ্য হচ্ছে ব্যক্তিত্বের প্রতীক, আপনি যখন স্বাস্থ্যবান থাকবেন তখন আপনি নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটে তুলতে পারবেন এবং যোগ্যতা দেখাতে পারবেন।

কিন্তু যখন আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকবেন তখন আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ দেখাতে পারবেন না এবং শান্তি অনুভব করতে পারবেন না।

অর্থাৎ সকল ক্ষেত্রে দেখলে বুঝা যায় অশান্তি দূর করে শান্তি থাকা অবস্থায় শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে জীবন গড়াই হচ্ছে স্বাস্থ্য।

তবে স্বাস্থ্য বলতে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকে বোঝাবে এমনটি নয় বরং এটিকে সুস্বাস্থ্য হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে সহজ ভাষায় ব্যবহারযোগ্য রূপে।

স্বাস্থ্য আমাদের জীবনের একটি মুখ্য বিষয় কেননা এই স্বাস্থ্য না থাকলে আমরা কোন কাজ করতে পারব না এবং কাজ না করতে পারলে জীবন পরিচালনা হবে না। আর সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে শুধুমাত্র শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাকে স্বাস্থ্য বলে অবহিত করবো এমনটি ভাবাও ভুল চিন্তাভাবনা।

কেননা শুধুমাত্র শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার মানে এই নয় যে আপনি স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছেন বা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছেন।

কেননা যারা মানসিকভাবে দুর্বল বা পাগল তাদেরকে কখনোই স্বাস্থ্যবান বলা যাবে না কেননা তারা নিজেদের ব্যক্তিত্ব ফুটে তুলতে সক্ষম নয়।

অর্থাৎ মোট কথা বলতে গেলে সুস্থ অবস্থায় নিজের ব্যক্তিত্বকে ফুটে তোলার মত যোগ্যতা রাখার সামর্থই হচ্ছে স্বাস্থ্য। আর এ স্বাস্থ্যের দ্বারা আমরা যাবতীয় কাজের সমাধান করতে পারে এবং জীবন পরিচালনা করে সুখ শান্তি অর্জন করে দুঃখ কষ্ট ভুলে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: পুষ্টি কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top