স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে: 1 atm চাপে তাপ প্রদানের ফলে যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ গ্যাসীয় পদার্থে রূপান্তরিত হয়, সেই তাপমাত্রাকে উক্ত তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে।
কোন তরল পদার্থকে বাষ্পে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ শক্তিকে স্ফুটনাঙ্ক বলে।
অর্থাৎ এই স্ফুটনাঙ্ক ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা একটি তরলকে বাষ্পে রূপান্তর করতে পারে এবং গ্যাসে পরিণত করতে পারি।
আপনি কঠিন পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বের করতে পারেন এবং এর জন্য আপনার প্রথম প্রয়োজন হবে কঠিন পদার্থ থেকে গলনাঙ্কের মাধ্যমে তরল করার। যখন আপনি গলনাঙ্ক ব্যবহার করে কঠিন পদার্থকে তরলে পরিণত করবেন তখন আপনি খুবই সহজে উক্ত গঠন পদার্থকে স্ফুটনাঙ্কে রূপান্তর করতে পারবেন।
আমরা ইতিমধ্যে হয়তোবা বাষ্পীভবন সম্পর্কে শুনেছি এবং এ বাষ্পীভবন এবং স্ফুটনাঙ্ক আর অন্য কোন বিষয় নয় বরং একই বিষয়।
বাষ্পীভবন বলতে যা বোঝানো হয় সঠিক বা অন্য আরেকটি অর্থে বা সমার্থক শব্দে এটিকে স্ফুটনাঙ্ক বলে আমরা চিহ্নিত করে থাকি।
চলুন এবার তাহলে আমরা জেনে নেই যে এই স্ফুটনাঙ্ক বলতে আমাদেরকে কি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কেননা স্ফুটনাঙ্ক সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হলে ও বলছে আমাদেরকে এর ব্যাখ্যা জানতে হবে, যা কি বলতে বোঝানোর দ্বারা বোঝানো যায়।
স্ফুটনাঙ্ক বলতে কী বোঝ?
স্ফুটনাঙ্ক বলতে কক্ষ তাপমাত্রায় কোন পদার্থের গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়।
যেখানে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রাকে স্ফুটনাঙ্ক বলে এবং উৎপন্ন পদার্থটিকে গ্যাসীয় পদার্থ বলে।
এই স্ফুটনাঙ্ক বলতে গ্যাসীয় পদার্থের রূপান্তরকে বোঝানো হয় এবং এক্ষেত্রে তরল পদার্থকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি তরল পদার্থের (অবশ্যই বিশুদ্ধ তরল) একটি নির্দিষ্ট স্ফুটনাঙ্ক থাকে। উদাহরণ: 1 atm চাপে পানির স্ফুটনাঙ্ক 100 ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এই উদাহরণটি দ্বারা এটি স্পষ্টভাবে আশা করি বোঝা গেছে যে স্ফুটনাঙ্ক তারা কি বোঝানো হয়েছে আমাদেরকে।
বাষ্পে পরিবর্তন হওয়ার যে প্রক্রিয়া সেই রাসায়নিক প্রক্রিয়ার নাম স্ফুটনাঙ্ক এবং এ পদ্ধতিতে গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হয় তরল থেকে।
তরল শুধু পানি হবে এমন না বরং যেকোনো ধরনের তরলকে বাষ্পে পরিণত করা যাবে তবে সময় ও তাপের পরিবর্তন হবে।
অর্থাৎ তরল পদার্থের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় তাপ শক্তিতে গিয়ে সেটি বাষ্প রূপান্তরিত হবে এবং এর জন্য সময়ের পরিবর্তন হবে।
কেননা, যদি তাপমাত্রা কম-বেশি হয় তাহলে উত্তর তাপ সঠিক মত পৌঁছাতে অবশ্যই সময়ের প্রয়োজন হবে এবং এটি পরিবর্তন।
কেননা তাপ সমান হবে না এবং তাপ সমান না হওয়ায় পরিমাণ মতো তাপে পৌঁছাতে সময়ের পরিবর্তন হবে স্ফুটনাঙ্ক হওয়ার ক্ষেত্রে।
উপসংহার:
স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে এবং স্ফুটনাঙ্ক বলতে রাসায়নিক ভাষা কি বোঝানো হয় তা এখানে আলোচনা করা হয়েছে তথ্য দিয়ে। যেহেতু এখানে তথ্য দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে তো অবশ্যই এই তথ্যগুলো আমরা যাচাই করে উল্লেখ করেছি স্ফুটনাঙ্ক সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য।
বাষ্পে পরিণত করতে একটি তরলকে আমাদের তাপ প্রদান করতে হবে যা এক প্রকার শক্তি এবং এই তাপের মান হবে স্ফুটনাঙ্ক।
অর্থাৎ একটি পদার্থ ঠিক কত তাপমাত্রায় পৌঁছার পর গ্যাসে রূপান্তরিত হয়েছে তার সেই তাপমাত্রা বা তাপের পরিমাণকে স্ফুটনাঙ্ক বলা হবে।
আর এটির দ্বারা এটি স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, প্রত্যেকটি তরল পদার্থের স্পুটনাঙ্ক ভিন্ন হতে পারে তাপ শক্তি পরিবর্তনের উপর। কেননা প্রত্যেকটি তরল পদার্থের বাষ্পে পরিণত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তাপের পরিমাণ এক হয় না এবং এক না হওয়ার কারণে স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয়।
আমরা সর্বদা স্ফুটনাঙ্ক দ্বারা এসব গ্যাসীয় পদার্থ তৈরি করতে পারি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এই গ্যাসীয় পদার্থ সংরক্ষণ করতে পারি।
স্ফুটনাঙ্ক নিয়ে আজকের আমাদের ধারণা ঠিক এ পর্যন্তই ছিল এবং আপনার মাথায় স্ফুটনাঙ্ক সম্পর্কে এতটুকু জ্ঞান রাখা ন্যূনতম প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ঘনীভবন কাকে বলে?