সুশিক্ষা কি: সঠিক শিক্ষা অর্জন করার মাধ্যমে তা পার্থিব জীবনের প্রতিফলন হিসেবে বিকাশ ঘটানোর নামই হচ্ছে সুশিক্ষা। সুশিক্ষা দ্বারা সঠিক শিক্ষাকে বোঝানো হয় যার দ্বারা শিক্ষার্থী, সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।
যে শিক্ষা দ্বারা শিক্ষার্থী শুধুমাত্র বই এর জ্ঞান নয় বরং সামাজিক জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে বাস্তব জীবন পরিচালনা করতে পারে সেই শিক্ষাই হচ্ছে সুশিক্ষা। সুশিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার ওই পদ্ধতি যেখানে শিক্ষা থেকে সঠিক জ্ঞানটুকু প্রদান করা হয় এবং সঠিক এবং ভুল সম্পর্কে ভেদাভেদ বোঝানো হয়।
আত্মমর্যাদাবান ব্যক্তি হিসেবে একজন শিশুকে সম্পূর্ণরূপে গড়ে তুলতে এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে সুশিক্ষা প্রয়োজন।
এই সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জ্ঞানের বিকাশ ঘটে এবং সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সকল দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবগত হয়।

সুশিক্ষা দ্বারা শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকে বোঝানো হয় না, ইহার দ্বারা বাস্তব জীবন হতে অর্জিত জ্ঞানকেও বুঝানো হয়।
আর সুশিক্ষা যে শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু উপভোগ করতে পারবে এমনটি না বরং নানাভাবে সুশিক্ষা অর্জন করা যায়।
শিক্ষিত মানুষ গঠনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন থাকলে হবে না বরং সঠিক বিচার বিশ্লেষণ সহ জীবন পরিচালনা সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। আর যখন জীবন প্রচারণা করার জন্য সম্পূর্ণ জ্ঞান একটি ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত থাকবে ও সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করতে পারবে তখন তাকে শিক্ষিত বলা যাবে।
আর এই পরিপূর্ণ শিক্ষিত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজন হবে সুশিক্ষার এবং এই সুশিক্ষা হচ্ছে সঠিক শিক্ষা। অর্থাৎ সঠিক শিক্ষার সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে সুশিক্ষা, যেখানে শিক্ষার সঠিক জ্ঞান প্রদান করে শিক্ষিত জাতির মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
আমরা শিক্ষা অর্জন করতে অবশ্যই সুশিক্ষার দিকে লক্ষ্য রাখবো যেন উপযুক্ত শিক্ষা অর্জন করতে পারি এবং জ্ঞান লাভ করতে পারি।
তবে সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আপনাকে আমাকে অবগত হওয়া উচিত কেননা ইহার মাধ্যমে সুশিক্ষা অর্জন করার সহজ হবে।
সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
সুশিক্ষা নামটি সম্পর্কে অধিকাংশ ব্যক্তি আমরা অবগত হলেও এই সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে কিরূপ রয়েছে সে সম্পর্কে জানিনা।
আর সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সঠিক মত জ্ঞান না থাকার কারণে আমরা সুশিক্ষা অর্জন করার বিষয় বেশি উদ্যোগী না।
তাই আপনি যেন সুশিক্ষা অর্জন করার উপর অনেক বেশি নিজেকে অনুপ্রেরিত করতে পারেন তাই সুশিক্ষার এই প্রয়োজনীয়তা গুলো জানতে হবে। আর অবশ্যই আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা গুলো কি কি রয়েছে এবং প্রভাব কিরূপ রয়েছে তা জানতে পারবেন।
নিচে কতিপয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হলো:
- সুশিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সৃজনশীল মনোভাব বৃদ্ধি পায়।
- শিক্ষার্থীর মনের মাঝে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ফুটে উঠে।
- শিক্ষার্থী কঠোর পরিশ্রম করতে আগ্রহী হয় এবং কঠোর পরিশ্রমী হয়।
- শিক্ষার্থে চারিত্রিক, মানসিক এবং সামাজিক উত্তম বিকাশ ঘটে।
- শিক্ষার্থীদের মনের মাঝে দেশপ্রেম, নিজ ভাষার প্রতি প্রেম এবং সমাজের প্রতি প্রেম জাগ্রত হয়।
এগুলো হলো সুশিক্ষার কিছু প্রয়োজনীয়তা যেগুলো দ্বারা এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে সুশিক্ষা আমাদের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে।
আর অবশ্যই আপনি আমি যদি সম্পূর্ণ রূপে শিক্ষিত ব্যক্তি হতে চায় তাহলে আমাদেরকে সুশিক্ষা অর্জন করে শিক্ষিত হতে হবে।
সৃজনশীল মনোভাব বৃদ্ধি এবং দেশের জন্য কিছু করার জন্য অবশ্যই সুশিক্ষার প্রয়োজন আমাদের জীবনের জন্য অনেক বেশি দরকার। অবশ্যই জীবন পরিচালনা করতে এবং আদর্শ জীবন গড়ে তুলতেও শিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে সুশিক্ষা ব্যাপক প্রভাব ফেলে থাকে।
শেষ কথা:
সুশিক্ষা কি এ বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ আলোকপাত করতে গেলে আমাদেরকে সুশিক্ষার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে হতো।
আর আপনি যেন সুশিক্ষার সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন তাই আমরা ইতিমধ্যে সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উল্লেখ করেছি।
অবশ্য সুশিক্ষা অর্জন করার জন্য আমাদেরকে এই সকল প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানার দরকার ছিল কেননা ইহার মাধ্যমে সুশিক্ষা অর্জনে অনুপ্রেরিত হওয়া যায়। আর অনুপ্রেরিত হওয়া ব্যতীত একজন সাধারন মানুষ বা শিক্ষার্থী কখনোই সুশিক্ষা অর্জনের দিকে উদ্যোগী হতে পারবেনা।
তাই প্রত্যেকটি শিশু এবং বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তি যেন সুশিক্ষা অর্জনের দিকে অনেক বেশি পরিশ্রমী হয় তাই সুশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছি।
আর অবশ্যই জীবন পরিচালনা করতে গেলে সুশিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে কেননা ইহার মাধ্যমে সকল কিছুর সঠিক সমাধান বের করা সম্ভব হয়।
আমাদের জীবনে বিভিন্ন বাধা আসে এবং এই বাধার সমস্যা সমাধান করার জন্য আমাদেরকে প্রয়োজন হয়ে সুশিক্ষার যারা আমরা শিক্ষিত হই।
আর এই অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে বা সকল দিক বিবেচনা করে এটি বলা যায় যে সুশিক্ষা আমাদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন।
বর্তমানে শিক্ষিত লোক বলে দাবি করে থাকে এমন ব্যক্তি অনেক রয়েছে তবে প্রকৃতপক্ষে সুশিক্ষা অর্জন করে শিক্ষিত হয়েছে এমন ব্যক্তি পাওয়া কঠিন। কেননা যদি শিক্ষিত লোক প্রকৃতপক্ষে থাকতো তাহলে কোন অশান্তির সৃষ্টি হতো না এবং নিম্ন শ্রেণীর ব্যক্তিদের ওপর কোনো নির্যাতন চলতো না।
আরও পড়ুন: শিক্ষা উপকরণ কি?