সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ কি: সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ আমি আমার সর্বোচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা ঘোষণা করতেছি। সিজদায় গিয়ে আমরা সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পাঠ করি এবং ইহার দ্বারা আমরা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে থাকি।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি পবিত্র কেননা, তিনার না আছে কোন অহংকার, না আছে গুনাহ এবং না করেছে অন্যায় কাজ।
আবার এরকম আরো অনেক গুণে গুণান্বিত হয়ে আছেন আমাদের মহান আল্লাহ তাআলা যিনি তিনার রহমতে আমাদেরকে পরিপূর্ণ করেছেন।
আর এই সকল বিষয় তারা এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি পবিত্র সকল দিক দিয়ে। আর এজন্য আমাদেরকে আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করতে হবে এবং পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্য নামাজ হচ্ছে সর্বোত্তম স্থান।
আল্লাহ তায়ালা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি উত্তম এবং সেই সাথে সবচেয়ে বেশি পবিত্র, আমরা কখনো তিনার পবিত্রতার তুলনা দিতে পারব না।
তিনি যা চিন্তা করেন ও নির্ধারণ করেন তা অবশ্যই মঙ্গলকর হয় এবং তিনি সকল কিছুর স্পষ্ট ভাবে দৃষ্টিপাত করতে পারেন।
আমরা যদি আমাদের প্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামীনের গুণগত নামের উপর দৃষ্টিপাত করে তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহর গুণ দেখতে পাই। আমরা যখন আল্লাহ তাআলার এই সকল গুনাগুন সম্পর্কে অবগত হয় তখন এটি স্পষ্ট ভাবে বলা যায় যে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি পবিত্র।
আল্লাহর পবিত্রতা জানার পর আমাদেরকে উচিত এর ঘোষণা দেওয়া, এবং ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেজদা হচ্ছে সর্বোত্তম জায়গা।
সিজদায় “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” দোয়া পড়া হয় কেন?
ছোটকাল থেকে আমরা নামাজ পরিপূর্ণ ভাবে পড়া নিয়মকানুন জানার পর, সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা এই দোয়াটি সর্বনিম্ন তিনবার তেলাওয়াত করে থাকি। তবে বর্তমানে আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা এ বিষয়ে অবগত নন, যে কেন তারা সিজদায় গিয়ে এই দোয়াটি পাঠ করেন।
ইবাদত করা এবং সালাত আদায় করা উভয় হচ্ছে আল্লাহ তাআলাকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে তার সুনাম ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরা।
আর ঠিক তেমনি আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি আদায়ের জন্যই আমরা সালাত আদায় করি।
সালাত আদায় করার সময় আমরা নানাভাবে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা আদায় করে সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে।
আল্লাহ তাআলার প্রশংসার মধ্যে তিনার পবিত্রতা হচ্ছে অন্যতম।
আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্যই মূলত আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (স.) সেজদা গিয়ে এ দোয়াটি পাঠ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইহার মাধ্যমে আল আমরা আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করি, যার ফলে মহান রব্বুল আলামীন আমাদের উপর অনেক বেশি খুশি হন।
বলা যায়, যখন আমরা সেজদায় গিয়ে আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করে তখন আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে পবিত্র বলে ঘোষণা করে দেন।
সালাত আদায় করার পরিপূর্ণ নিয়মের মধ্যে এটি অন্যতম এবং ইহার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি আদায় করতে পারি। আমরা সেজদায় গিয়ে যখন আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করি তখন মহান রব্বুল আলামীন আমাদের উপর অনেক খুশি হন এবং পুরো আকাশবাসীকে তা দেখান।
শেষ কথা:
সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ কি এবং সিজদায় গিয়ে কেন এই দোয়া পাঠ করে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য এখানে উল্লেখ হয়েছে।
আর অবশ্যই আমাদেরকে সুবাহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আলা শব্দের অর্থ জানার পর সিজদায় গিয়ে এই দোয়া পাঠ করার সবচেয়ে বেশি উত্তম হবে।
কেননা আমরা জানি, কোন দোয়া না বুঝে পাঠ করার চেয়ে, জেনে বুঝে পাঠ করা অনেক বেশি সওয়াবের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। ঠিক অনুরূপভাবে আমাদেরকে সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আলা শব্দের অর্থ জানার পর আমল করলে আমাদের সওয়াবের সংখ্যা বাড়তে পারে।
সেই সাথে এর ফজিলত বৃদ্ধি পেতে পারে যা আমাদের জীবনে অনেক বেশি পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে ও কল্যাণ ডেকে আনবে।
সবকিছুর উপর বিবেচনা করা অবশ্যই এটি বলা যায় যে, সুবহানা রাব্বিয়াল আলা শব্দের অর্থ জানা আমাদের পক্ষে ভালো হয়েছে।
আর আমাদেরকে যে, শুধুমাত্র সিজদায় গিয়ে আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করার কোন বাধ্যকতা রয়েছে এমনটি না। আর এ কথাটি অবশ্যই মনে রাখবেন যে আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্য কোন সময় লাগে না বরং আপনি ইচ্ছামতো এটি করতে পারেন।
তবে অপবিত্র কোনো স্থানে গিয়ে আমল করা বেশি ভালো নয়, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় প্রসাব কিংবা টয়লেট করার স্থান।
আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা হবে পবিত্র স্থানে বসে এবং এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য হবে আমাদের আশেপাশের মসজিদ।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ কি?