সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম অর্থ কি: সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম অর্থ হলো আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা ঘোষণা ও বর্ণনা করছি।
অর্থাৎ যে রব আমাদেরকে সৃষ্টি করেছে সেই রবের পবিত্রতা বর্ণনার জন্য আমরা এই আয়াতটি সালাত আদায় করার সময় পাঠ করি।
আমরা যদি আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করতে চাই এবং এ ঘোষণাতে যদি আরবীতে হয় তাহলে এই আয়াতটি তেলাওয়াত করা হয়।
আমরা আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ঘোষণার জন্য এই আয়াতটি তেলাওয়াত করি এবং পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্য আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামও রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা যে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি পবিত্র এটি মুখে স্বীকার করার জন্য এই আয়াতটি তেলাওয়াত করা যেতে পারে। যেহেতু আমরা আল্লাহর পবিত্রতা মানি এবং বিশ্বাস করে তাই আমাদেরকে এটি স্বীকার করতে হবে কেননা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে স্বীকার করতে হয়।
পবিত্রতা বর্ণনা করার জন্য অবশ্য আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালাকে বর্ণনা করতে হবে কেননা মহান রাব্বুল আলামিনের চেয়ে পবিত্র আর কেউ নেই।
আল্লাহ তাআলা হচ্ছে নিষ্পাপ এবং যার আগে কেউ নেই এবং পরে কেউ নেই আর তিনি সবচেয়ে পবিত্র নিষ্পাপ হওয়ার কারণে।
পবিত্র বলতে যে শুধুমাত্র শরীরকে পবিত্র রাখাকে বোঝায় এমনটি না বরং অন্তরসহ পুরো শরীরকে পবিত্র রাখাকে বোঝানো হয়। আপনার মনে অহংকার রয়েছে বা হিংসা রয়েছে কিন্তু অপরদিকে আপনি পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করে শারীরিকভাবে পবিত্র হয়েছেন।
কিন্তু পরিপূর্ণরূপে পবিত্র হওয়ার জন্য আপনার অন্তরকেও পবিত্র করতে হবে এবং এর জন্য আল্লাহ তা’আলা সবচেয়ে পবিত্র হিসেবে গণ্য হয়েছে।
কেননা আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের কোন প্রকার অনৈতিক আচরণ নেই এবং সেই সাথে তিনার অন্তর একদম পরিষ্কার বান্দার জন্য।
সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম কোথায় পাঠ করতে হয়?
নামাজ আদায় করার সময় আমাদেরকে রুকু করতে হয় এবং এই রুকু করার সময় আমরা তিনবার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম তাসবীহ পাঠ করি। আর এইভাবে তসবি তিনবার পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহতালা পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং এই স্থানে এই আয়াতের তেলাওয়াত করি।
তবে আমি এখানে যে তিনবার বলেছি, তাই বলে আপনি শুধুমাত্র তিনবার বলতে পারবেন সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম এমনটি না।
আপনি আপনার ইচ্ছেমতো তেলাওয়াত করতে পারেন তবে লক্ষ্য রাখবেন তিনবারের বেশি হয় এবং যেন বিজোড় হয় আপনার তসবি পাঠ করা।
আমরা আল্লাহ তাআলার জন্য সালাত আদায় করি এবং মহান আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি তখন আল্লাহ তায়ালা পুরো আকাশবাসীকে লক্ষ্য করান।
কেননা মহান রব্বুল আলামীন যখন আমাদের সৃষ্টি করেছিলেন তখন ফেরেশতারা এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিল যে এরা তো দুনিয়ায় গিয়ে অন্যায় শুরু করবে। আর এই বিষয়ের উপর যে মহান রাব্বুল আলামিন সবচেয়ে বেশি ধারণা রাখেন তার প্রমান হিসেবে তিনি আকাশবাসীকে একটি লক্ষ্য করিয়ে থাকেন।
আর অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার যখন আমরা প্রশংসা করে সালাতের মাধ্যমে তখন আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি সন্তুষ্ট হন নিজের বান্দার উপর।
আল্লাহ যেহেতু আমাদেরকে নিজের ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন তাই আমাদেরকে তিনার পবিত্রতা ঘোষণা করার মাধ্যমে সঠিকভাবে ইবাদত করা উচিত।
শেষ কথা:
সুবাহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আজিম অর্থ কি এবং কোন স্থানে বা কোথায় আমরা এই আয়াতটি তেলাওয়াত করি তা এখানে দেখানো হয়েছে। অবশ্যই আপনাকে এই আয়াতের ঘোষণা দিতে হবে সালাত আদায় করার সময় এবং রুকুতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করার সময়।
রুকুতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা করার জন্য এই আয়াতে তেলাওয়াত করার জন্য আমাদের প্রিয় নবী আমাদেরকে বলেছেন।
এটি আল্লাহ তাআলার নিকট পছন্দনীয় হবে কেননা যদি আল্লাহ তাআলার নিকট পছন্দনীয় না হতো তাহলে প্রিয় নবী আদেশ দিত না।
তাই আমাদেরকে প্রিয় নবীর আদেশ অনুযায়ী, রুকুতে গিয়ে সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আজিম তিনবার ন্যূনতম তেলাওয়াত করতে হবে।
আশা করি, আপনারা প্রিয় নবীর আদেশ অনুযায়ী রুকুতে গিয়ে এই আয়াতে তিনবার তেলাওয়াত করবেন এবং আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট রাখবেন। আমরা যখন আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট রাখতে পারব তখন আল্লাহ তাআলা সহজে বান্দার উপর আজব গজব নাজিল করবে না, যা অবশ্যই আমাদের কল্যাণ এর জন্য যথেষ্ট।
যদি, সালাতের সঠিক মত আদায় করতে হয় তাহলে অবশ্যই রুকুর দিকে লক্ষ্য রেখে সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম তেলাওয়াত করতে হবে।
কেননা সালাত আদায় করার জন্য এটিও একটি পদ্ধতি যা আমাদের প্রিয় নবী আমাদেরকে তেলাওয়াত করার জন্য শিখিয়ে দিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: সুবহানা রাব্বিয়াল আলা অর্থ কি?