সুবহানাল্লাহ অর্থ কি? সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়?

সুবহানাল্লাহ অর্থ কি: সুবহানাল্লাহ অর্থ হলো সকল পবিত্রতা আল্লাহ তায়ালার এবং আল্লাহ তায়ালা সকল অপূর্ণতা ও অপবিত্রতা থেকে মুক্ত। সুবাহানাল্লাহ এই শব্দটি আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজে পছন্দ করেন, তিনাকে ডাকার জন্য এবং এই নামের মধ্যেই রয়েছে আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতার ঘোষণা।

আল্লাহ তাআলা অবশ্যই সবচেয়ে বেশি পবিত্র কেননা তিনার মাঝে কোন অপূর্ণতা নেই এবং আমাদেরকে এটি ঘোষণা দিতে হবে।

আল্লাহতায়ালা যে সবচেয়ে বেশি পবিত্র এই বিষয়টি ঘোষণা দেওয়ার জন্য আমরা সুবহানাল্লাহ পাঠ করে থাকি।

আর আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্য অবশ্যই সুবহানাল্লাহ হচ্ছে সবচেয়ে ভালো একটি জিকির বা দোয়া আমলের জন্য।

সুবহানাল্লাহ অর্থ কি
সুবহানাল্লাহ অর্থ কি?

আল্লাহ তাআলা যা কিছু করেন এবং যা কিছু আমাদের জন্য প্রদান করেন তার প্রত্যেকটি হয় আমাদের জন্য কল্যাণকর। আর এ কল্যাণকর দিক একমাত্র আল্লাহ তাআলার পবিত্রতার মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয় এবং আমরা তিনার পবিত্রতা ঘোষণা করতে পারেন সুবাহানাল্লাহ দ্বারা।

যার জীবনে পাপ নেই, যিনি সকল কিছুতে জ্ঞানী, আগে ও পিছে উভয় দিক বিবেচনা করে কাজ করে তিনি অবশ্যই পবিত্র।

আর আল্লাহ তায়ালার কোন পাপ না থাকায় এবং তিনি সকল বিষয় জ্ঞানী হওয়ার কারণে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি পবিত্র।

আর আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি পবিত্র এটি মুখের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা যে আমলটি করে থাকে সেটি হচ্ছে সুবহানাল্লাহ।

সুবহানাল্লাহ কখন বলতে হয়?

সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ সকল পবিত্রতা আল্লাহ তায়ালার নামে, অর্থাৎ এক্ষেত্রে আমরা আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে থাকি। তাই যখনি আমরা আল্লাহ তাআলা কোন বিষয় সম্পর্কে অবগত হবো তখনই সুবহানাল্লাহ পাঠ করবো।কেননা আল্লাহ তাআলার যে কোন বিষয়ে ধারণা লাভ করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে তিনার প্রশংসা প্রদর্শন করা।

আল্লাহ তাআলার প্রশংসা পূর্ণরূপে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য আমাদেরকে এই নামটি উল্লেখ করতে হবে।

এছাড়া আমরা যদি দুনিয়াবী যে কোন নিয়ামতে (যেমন: ফুল) দেখে যদি মুগ্ধ হয়, ঠিক এক্ষেত্রে আমাদেরকে সুবহানাল্লাহ পাঠ করতে হবে।

কেননা সমস্ত সৃষ্টির এবং সৌন্দর্যের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ তা’আলা, যিনি তা প্রদান করেছেন।

আপনি বিশেষ কিছু সময়ের মধ্যে যদি আমল করতে চান সুবহানাল্লাহ তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত সময় গুলোতে আমল করুন। তবে, আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্য আমাদেরকে কোন নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়নি বরং আমরা যেকোনো সময় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা দিতে পারব।

অর্থাৎ আমরা চাইলেই নিজের ইচ্ছেমতো আল্লাহ তায়ালাকে পবিত্র বলতে চাইলে সুবহানাল্লাহ তেলাওয়াত করতে পারবো।

এবং কোন বাধা নেই তবে, আল্লাহ তা’আলার প্রদত্ত ভালো জিনিস দেখলে অবশ্যই আমাদেরকে সুবহানাল্লাহ পাঠ করতে হবে তিনার পবিত্রতার জন্য।

উপসংহার:

সুবহানাল্লাহ অর্থ কি এবং সুবহানাল্লাহ কখন পাঠ করতে হয় আপনাদের মাঝে এই বিষয়ে জ্ঞান উপস্থাপন করেছি এই পোস্টে। আপনাকে আমি যেহেতু সুবহানাল্লাহ শব্দের সঠিক অর্থ প্রদান করেছি এবং কোন সময় আমল করলে ভাল হবে তা বলেছি তাই আপনি আমল করুন সুবহানাল্লাহ।

যেহেতু আল্লাহ তাআলার মাঝে সবচেয়ে পবিত্র থাকার গুণাগুণ বিদ্যমান রয়েছে তাই আমাদেরকে এটি নিজ মুখে ঘোষণা দিতে হবে।

আর নিজ মুখ দ্বারা আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা ঘোষণা করার জন্য সুবহানাল্লাহ শব্দটি সবচেয়ে উত্তম আমল হবে আমাদের।

আল্লাহ তা’আলা যে সবচেয়ে বেশি পবিত্র তা আমরা এই আমলটি থেকে বুঝতে পারি এবং আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা জন্য বলতে পারি। আমরা যখনই আল্লাহ তাআলার দেওয়া বিশেষ কিছু না আমাদের দেখতে পারবো, উপভোগ করতে পারব অথবা অন্যকে উপভোগ নিতে দেখব তখন সুবহানাল্লাহ বলব।

নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা পবিত্র বলেই তো আমাদেরকে এত সুন্দর নেয়ামত দিয়েছেন উপভোগ করার জন্য জীবনের ক্ষেত্রে।

আল্লাহ তায়ালার সকল নেয়ামত পাওয়ার পর আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে গেলে চলবে না বরং পবিত্রতা ঘোষণা করতে হবে সুবাহানাল্লাহ এর মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: শালীনতা অর্থ কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top