আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক এবং কিভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের ক্ষতি করে। আমাদেরকে শুধু এগুলো জানলেই হবে না আমাদের উচিত হবে যে এই সকল দিক থেকে আমাদের বিরত থাকা বা ফেরত থাকা।
কেননা প্রথমে জানতে হয় তারপরে তা মানতে হয় আমরা যদি মানতে পারি তাহলে আমরা সফলকাম হতে পারব। কিন্তু আমরা যদি মানতে না পারি তাহলে আমাদের জানাটা অনর্থক হয়ে যাবে বা কোন কাজে আসবে না।
এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমন এর ক্ষতিকারক দিক রয়েছে অনেক। এই একটি পোস্টের মধ্যেই এর ক্ষতিকারক দিকসময়ে একবারে উল্লেখ করে দেওয়ার একটু কঠিন কাজ।
নিচে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক দেওয়া হলো:
১) অযথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করলে সময়ের ক্ষতি হয়।
২) এর মাধ্যমে খুব সহজে অনৈতিক কনটেন্ট অনেকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
৩) অনেকের গোপন কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া যায় যার ফলে তার গোপন জিনিসের কারণে সে অনেক নিরাশ হয়ে যায়।
৪) অনেকেই এর মাধ্যমে অন্যের সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ দেয় এবং সমাজের চোখে তাকে ঘৃণিত করে তুলে।
৫) হ্যাকিং করে অনেকের গোপন তথ্য চুরি করা হয় যার ফলে তার গোপনীয়তা নষ্ট হয়।
৬) নিজের অজান্তে বা ভুলবশত নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।
৭) কেউ কেউ ফেক অ্যাকাউন্টে তৈরি করে অন্যকে হয়রানি করা বা দুশ্চিন্তায় ফেলায়।
৮) ভিত্তিহীন তথ্য শেয়ার করে একে অপরের মধ্যে ঝামেলা বাঁধায় বা এক অঞ্চলের মানুষের সাথে অন্য অঞ্চলের মানুষের ঝামেলা বাঁধায়।
৯) ধর্ম নিয়ে ভুলভাল কথা বলে যার ফলে জাতিগত দিক থেকে বৈষম্য সৃষ্টি হয়।
১০) এটি অনেক সময় অনেকের আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এগুলোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকারক দিক আরও রয়েছে এবং অনেক রয়েছে। আপনি যদি একজন জ্ঞানী ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এগুলি যথেষ্ট না হলে আমি হাজার দিলেও আপনার জ্ঞান হবে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক
যোগাযোগ মাধ্যমের অনেকগুলো উপকারী দিক বা ভালো দিক রয়েছে যেগুলো আমরা ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারি। এর খারাপ দিকের পাশাপাশি এর ভালো দিক রয়েছে অনেক এবং অসংখ্য বা অগণিত বলা যেতে পারে।
আমরা যদি ইচ্ছা করে তাহলে আমরা এর ভালো দিককে কাজে লাগিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ করতে পারি। আর সেই সকল কাজ করা মাঝে মাধ্যমে নিজেরা ভালো হতে পারি এবং নিজেদের কাজও ভালোভাবে আদায় করে ফেলতে পারি।
নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাভের দিক উল্লেখ করা হলো:
১) সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব দ্রুত একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
২) বিভিন্ন ভালো বা ধর্মীয় বিষয়গুলোকে এবং জ্ঞানমূলক বিষয়কে ছড়ানোর মাধ্যমে সমাজকে ভালো করা যায়।
৩) বিভিন্ন নতুন ভালো ভালো তথ্য জানা যায় শেয়ার করা যায় এবং বুঝা যায়।
৪) এর মাধ্যমে খুব দ্রুত ভালো বিষয়কে অনেক দূর পর্যন্ত বা অনেকের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
৫) বিভিন্ন ভালো বিজ্ঞাপন টা ভালো পরামর্শ দেওয়া যায়।
৬) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন লেখাপড়ার তথ্য একে অপরের কাছ থেকে জানা যায়।
৭) কাজ করতে করতে কাজে মন না বসলে একটু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ঘুরে আসা যায়।
৮) অল্প কিছুক্ষণ ব্যবহার করার মাধ্যমে নিজের অস্থিরতা দূর করা যায় এবং মনকে হালকা করা যায় এবং কাজের মনোযোগ ফিরিয়ে আনা যায়।
৯) দেশের খবর সহ নিত্য নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে জানা যায় এবং বুঝা যায়।
১০) কোন কাজকে কিভাবে সহজে করতে হয় সে সম্পর্কেও এখানে বিস্তারিত ভাবে জানা যায়।
এগুলোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আরো অনেক ভালো দিক রয়েছে এবং অনেকগুলো গুণ রয়েছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব ভালো দিক এবং এসব গুণগুলোকে ব্যবহার করার।
আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতিকর দিক থেকে আমরা বিরত থাকব আর অন্যকে বিরত থাকতে বলবো।
আর এর ভাল দিকগুলোকে আমরা নিজে গ্রহণ করব এবং অন্যদেরকে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করব।
আরও পড়ুন: ভাষিক যোগাযোগ কাকে বলে?