সাওম কাকে বলে: সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিয়ত করার মাধ্যমে পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার প্রক্রিয়াকে সাওম বলে।
প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেকটি মানুষ অর্থাৎ নারী ও পুরুষ উভয়ের উপর রমজান মাসের একমাস রোজা বা সাওম পালন করা ফরজ।
সাওমের সংজ্ঞা: সাওম হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর্যন্ত পুরো একটি দিন পানাহার এবং বিরত থাকার প্রক্রিয়া।
সাওম বলতে বিরত থাকাকে বোঝানো হয় এবং অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমাদেরকে সালাম পালন করতে হবে।
আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ের জন্য নিয়ম অবলম্বন করে সঠিকভাবে পানাহারে থাকার প্রক্রিয়াকে সাওম বা রোজা বলা হয়ে থাকে।
আমরা সাওম সম্পর্কে তো অনেক কিছু জানালাম তবে সাওমের কিছু পরিচয় ও প্রকারভেদ রয়েছে যেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন। আর সাওম এর পরিচয় ও প্রকারভেদ জানার মাধ্যমে আমরা কোন সাওম পালন কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কেও সঠিক তথ্য পেতে পারবো।
সাওমের পরিচয়
রমজান মাসের সম্পর্কে প্রত্যেকটি মুসলমান অবগত আছে এবং এই মাসে আমরা সাওম পালন করে থাকি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও হুকুম পালনের জন্য। আর এস সাওম যেহেতু ফরজ হিসাবে ইবাদত হিসেবে বিবেচিত তাই আমাদেরকে এর পরিচয় সম্পর্কে জানতে হবে।
রোজা বা সাওমের পরিচয় কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে অনেক রয়েছে, নিচে সাওমের কতিপয় পরিচয় উল্লেখ করা হলো:
- সাওন হচ্ছে একটি আরবি শব্দ, যার ফারসি প্রতিশব্দ হলো রোজা।
- সাওম একটি আরবি শব্দ, বাংলা অর্থের একে বিরত থাকা বলা হয়।
- এটি হচ্ছে পানাহার থেকে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি আদায়ের সর্বশ্রেষ্ঠ একটি পন্থা।
- সাওম হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে পঞ্চম স্তম্ভ।
- আমাদের মাঝে দীর্ঘ একটি মাস (রমজান মাস) সাওম পালনের জন্য ফরজ করা হয়েছে।
- সাওম হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত যার মাধ্যমে তাকওয়া ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
এগুলো হলো সাওমের কিছু পরিচয় এবং এই পরিচয় জানার মাধ্যমে এটি স্পষ্ট যে আমাদেরকে অবশ্যই সাউন্ড পালন করে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করতে হবে। সাওমের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এই প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন সাওম সঠিক মত পালনের জন্য।
সাওম কত প্রকার ও কি কি?
আমরা প্রত্যেকেই আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ের জন্য সাওম পালন করে থাকি এবং এই রোজা পালন করার মাধ্যমে নৈকট্য লাভ করতে পারি।
কিন্তু এই সাওয়ামের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যেগুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা বিভিন্ন ফজিলত পেতে পারে রোজা রাখার মাধ্যমে।
ইসলামিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী শাওমকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যথা:
- ফরজ রোজা: প্রত্যেক বান্দার উপর ফরজ করা হয়েছে আদায় করার জন্য।
- ওয়াজিব রোজা: এটি ফরজ এর সমতুল্য একটি সাওম, যার মাধ্যমে ফরজের সমতুল্য নেকি অর্জন করা সম্ভব।
- মুস্তাহাব রোজা: এটির সুন্নতের সমতুল্য তবে সুন্নত নয়, এই সকল রোজা আমাদের প্রিয় নবী আদায় করতে পছন্দ করতেন।
- সুন্নত রোজা: সুন্নত রোজা হচ্ছে আমাদের প্রিয় নবীর সবচেয়ে পছন্দের রজাগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এই রোজাগুলো তিনি কখনো ছেড়ে দিতেন না।
- ও নফল রোজা: নফল রোজা আদায় না করলে কোন ধরনের গুনাহ লেখা হয় না এবং আদায় করলে নেকি লেখা হয়। এই সকল রোজার বিষয়ে কোন ফরজ, সুন্নত ও ওয়াজিবের বিধান নেই।
এগুলো হলো সাওমের কিছু প্রকারভেদ এবং অবশ্যই আমাদেরকে সাওম পালনের যে নিয়ত রয়েছে সেখানে প্রকারভেদ উল্লেখ করা দরকার।
এই সকল প্রকারভেদ অনুযায়ী প্রত্যেকটি রোজা বা সাওম পালনের জন্য আলাদা আলাদা নেকি পাওয়া সম্ভব এবং নেকির পরিমাণ ভিন্ন হবে।
আরও পড়ুন: সাওম শব্দের অর্থ কি?