সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে?

সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্য বইটি পড়ার পর আমরা সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা এর জনক সম্পর্কে সাধারণ ধারণা নাটক লাভ করে থাকে কিন্তু অতিরিক্ত ধারণা লাভ করতে পারে না।

তাই আজকের আমাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আপনাকে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করার সাথে সাথে অতিরিক্ত কিছু ধারণা প্রদান করব। যে সকল ধারণা বা জ্ঞান অবশ্যই আপনার জীবন ও পরীক্ষায় কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বা আসবে।

সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে
সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে?

জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত জ্ঞান অর্জন করার পিছনে ছুটাছুটি করে চলেছে জ্ঞানী কিছু ছাত্র-ছাত্রী। এবং এক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানের জনক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য ছোটাছুটি করছে অনেক শিক্ষার্থী।

আপনি যদি সমাজ বিজ্ঞানের জনক সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি সঠিক পোস্টের মধ্যে প্রবেশ করেছেন।

এখানে আমরা সমাজবিজ্ঞানের জনক এর সাথে সাথে তিনার সম্পর্কে কিছু জ্ঞান প্রদান করার চেষ্টা করব।

সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে?

সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে: সমাজ বিজ্ঞানের জনক হলেন অগাস্ট কোঁৎ এবং ইনি ছিলেন একজন ফরাসি দার্শনিক ও সমাজবিজ্ঞানী।

যিনি বিজ্ঞানের একটি নতুন শাখা আবিষ্কার করেছিলেন যে বিজ্ঞানের নাম ছিল সমাজবিজ্ঞান এবং এটি গবেষণার বিষয়।

মানুষের সর্বদা গবেষণা করে থাকে নতুন বিষয়ের উপর এবং আবিষ্কার করার চেষ্টা করে নতুন কিছু ধারনা। তবে এই সমাজ বিজ্ঞান হচ্ছে আমাদের সমাজের অংশ যেখানে বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সমাজে বিভিন্ন গবেষণা করা হয় এবং পরীক্ষা করা হয়।

অর্থাৎ এই সমাজবিজ্ঞান দ্বারা আমরা আমাদের সমাজের যাবতীয় তথ্য পেতে পারি, বিশ্লেষণ করতে পারে এবং পরীক্ষা করতে পারে।

আর সমাজবিজ্ঞান অবশ্যই একটি মুখ্য শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বর্তমানে কেননা এটি বিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা।

তবে অধিকাংশ মানুষ জানতো না যে এই সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে এবং এ প্রশ্নটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যেন সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে গিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন তাই এখানে সমাজবিজ্ঞানের জনকের নাম লিখেছি।

অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন?

অগাস্টকে সমাজ বিজ্ঞানের জনক বলা হয় কোন কারণে ভূমিকা সহ নিচে উল্লেখ করা হলো:

ভূমিকা: একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি এবং ড্রোন বিকাশে অগাস্ট কোঁৎ এর ভূমিকা রয়েছে অনেক বেশি।

অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম স্পষ্টভাবে সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।

এবং সমাজবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তিনার উদ্বেগ অনেক বেশি জরুরি ছিল।

অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলার পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে, যেমন:

  1. অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম “Sociology” প্রত্যয় ব্যবহার করে স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি রচনা করেছিলেন।
  2. অগাস্ট কোঁৎ সর্বপ্রথম সমাজচিন্তাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রদান করেছিলেন।
  3. তার পদান্ত অনুসরণ করার মাধ্যমে সমাজ বিজ্ঞান নামক একটি সামাজিক চিন্তা সৃষ্টি হয়ে যা পরবর্তীতে বিজ্ঞানের জগতে সু প্রতিষ্ঠিত হয়।

মূলত এই তিনটি কারণের জন্য অগাস্ট কোঁৎ কে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। ধন্যবাদ আশা করে আপনাকে জ্ঞান প্রদান করে উপকৃত করতে সক্ষম হয়েছে শুভ বিদায়।

আরও পড়ুন: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top