শিক্ষা মন্ত্রীর নাম কি: বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী হচ্ছে মহিবুল হাসান। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার যে সকল দায়িত্ব রয়েছে তিনি তা যথাযথভাবে পালন করেন।
মহিবুল হাসান হলেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং তিনার অনুপস্থিতিতে অর্থাৎ বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষা মন্ত্রীর নাম হলো: নুরুল ইসলাম নাহিদ।
অনেক ক্ষেত্রেই মহিবুল হাসান এর অনুপস্থিতিতে নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য।
2019 সালের প্রধান শিক্ষামন্ত্রী অর্থাৎ দীপু মনি, মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল না করার জন্য অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।
তবে করোনা ভাইরাসের শক্তিশালী প্রভাবের জন্য অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রীকে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়।
তবুও তিনি শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব যথাযথ পালন করেন এবং কঠিন সময়তেও তিনি শিক্ষা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের কে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। যখন শিক্ষার্থীরা করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শিক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টি নিয়ে একদম ভেঙ্গে পড়েছিলেন, ঠিক সেই সময় তিনি নানাভাবে এসাইনমেন্ট নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
যে বিষয়টি অবশ্যই আমার পক্ষে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এবং আমিও এসাইনমেন্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে সুশিক্ষিত করার জন্য শিক্ষা গ্রহণ করতে অনুপ্রেরিত হয়েছিলাম।
আবার ঠিক পরীক্ষার আগ মুহূর্ত শিক্ষার্থীরা যেন বেশি পড়া দেখে ভয় না পায় তাই শর্ট সিলেবাসের ব্যবস্থা করেছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রীর কাজ সমূহ কি কি
আমরা তো শিক্ষামন্ত্রীর নাম জানলাম তবে এই শিক্ষা মন্ত্রীর কাজ কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। শিক্ষামন্ত্রী তার মন্ত্রণালয় বসে বিভিন্ন কাজ সমাধান করে এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে শিক্ষার উন্নতি ঘটায়।
উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষামন্ত্রীর কাজ নিচে উল্লেখ করা হলো:
- শিক্ষা ব্যবস্থার পদ্ধতি নির্বাচন
- বই পরিবর্তনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
- শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করার জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়া
- ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পরিপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা
- স্কুল কলেজ নির্মাণ করার জন্য কাজ করা
- শিক্ষার্থীদেরকে খুব কম খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেওয়া
- দেশকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করা
- বেকার ছেলেমেয়েদের পরিমান কমিয়ে ফেলার জন্য শিক্ষার ধাপ বের করা
- বই তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা
- শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা
- শিক্ষাকে আরো বেশি প্রচার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করা
আর অবশ্যই যদি শিক্ষামন্ত্রী কোন কারণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে তাহলে, সাবেক যে শিক্ষা মন্ত্রী আমাদের রয়েছে অর্থাৎ নুরুল ইসলাম নাহিদ তাকে এ সকল কাজ করতে হবে। আর অবশ্যই এটি একটি অনেক বড় পদ কেননা ইহার মাধ্যমে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা নির্ভর করে।
আর শিক্ষামন্ত্রী এমন একটি পদে থাকেন, যিনার একটি সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রেরণা লাভ করে সুশিক্ষিত হওয়ার জন্য এবং কিছু করার জন্য।
শেষ কথা:
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রী কে বা শিক্ষামন্ত্রীর নাম কি এ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। আর শিক্ষামন্ত্রীর কাজ সম্পর্কেও এই পোস্টটিতে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে এবং তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী হচ্ছে বাংলাদেশের একজন বিশেষ পদে নিযুক্ত কর্মকর্তা যার হুকুমে বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নত ও অবনতি নিহিত রয়েছে।
কেননা যদি শিক্ষামন্ত্রী কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ইহার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপর খারাপ প্রভাব বিশ্লেষিত হবে।
তবে সকল কিছুর উপর বিবেচনা করে, কখনোই একজন অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষামন্ত্রী নিয়োগ করা হয় না, যে ভুল সিদ্ধান্ত নেবে।
বরং সকল কিছুর উপর বিবেচনা করে, এমন শিক্ষা মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয় যে কিনা সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক সময় গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষার দিন দিন উন্নতি ঘটছে এবং শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি অনুপ্রেরিত হয়েছে শিক্ষা নিয়ে। আবার বর্তমানে সকলের হাতে স্মার্টফোন থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান খুদা নিবারণ হচ্ছে বিভিন্ন জ্ঞান গ্রহণ করে।
তবে শিক্ষার্থীরা যদি ইহাতে মনোযোগ না দেয় তাহলে এখানে শিক্ষামন্ত্রীর কোন হাত নেই বরং শিক্ষার্থীরা নিজের জীবন নিজে ধ্বংস করছে।
তবে এই কথা মনে রাখবেন যে শিক্ষামন্ত্রী বর্তমান সময় পর্যন্ত যতগুলো উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য মঙ্গলকর।
কেননা শিক্ষামন্ত্রী কখনোই ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না এবং ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলে তা সর্বদা বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা শিক্ষামন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে তা প্রথমে কয়েকজন মিলে মতামত প্রদান করে সূক্ষ্মতা যাচাই করে থাকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিবন্ধন কি?