শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এর ইংরেজি কি: শিক্ষায় জাতের মেরুদন্ড এর ইংরেজি উচ্চারণ হলো: Education is The Backbone of a Nation/Education is a Backbone of The Nation.
আসলেই এ কথাটি সত্য যে শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড কেননা, ইহার মাধ্যমে চারিত্রিক গুণাবলী এবং সামাজিক গুণাবল এর বিকাশ ঘটানো সম্ভব হয়।
জীবন চলার পথে মোটিভেশনাল উক্তি শুনতে শুনতে আমরা শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই বিষয়টি সম্পর্কে সকলেই অবগত হয়ে পড়েছি।
তবে এই শব্দের ইংরেজি অর্থ বিভিন্ন মৌখিক পরীক্ষায় আমাদেরকে করে থাকে বিভিন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক ও উচ্চপদস্থ ব্যাক্তিরা।
তাই আপনি যেন শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এর সঠিক ইংরেজি অর্থ প্রদান করতে পারেন তাই উপরে এর ইংরেজি অর্থ উল্লেখ করেছি।
শিক্ষা ছাড়া আমরা কখনোই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলতে পারবো না এবং প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের জীবনটা অনেক বেশি কষ্টের হবে।
এই কারণে বলা হয় যে শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড কেননা মেরুদন্ড ছাড়া মানুষ যেমন অচল ঠিক তেমনি শিক্ষা ছাড়া মানুষ অচল।
কেননা বর্তমান সমাজে জীবন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আপনাকে স্বীকৃত হতে হবে এবং আপনার যোগ্যতা উপস্থাপন করে সংগ্রাম করতে হবে।
আমরা শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এর ইংরেজি অর্থ জেনে গিয়েছে তবে এই উক্তিটি কে প্রদান করেছেন সে সম্পর্কে অধিকাংশ লোক জানিনা।
অবশ্যই আমাদেরকে এ বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত তাই নিয়ে নিচে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড উক্তিটির মূল প্রকাশক সম্পর্কে জেনে নেই।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই উক্তিটি কার?
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই উক্তিটি হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দ নাথ এর, তবে প্রকৃত পক্ষে এই উক্তিটি হচ্ছে ভলটেয়ারের।
কেননা ভলটের প্রথমে এই উক্তিটি ইংরেজিতে বলেছিলেন এবং তারপর স্বামী বিবেকানন্দ নাথ এই বাণীটি অনুবাদ করে বাংলায় বলেন।
অর্থাৎ Education is The Backbone of a Nation/Education is a Backbone of The Nation এই বাণীটি হলো ভলটেয়ারের এবং শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ড বাংলায় অনুবাদকৃত এই বাণীটি হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দ নাথ এর।
অর্থাৎ সকল দিকের উপর বিবেচনা করে মূল প্রকাশক সম্পর্কে যদি জানতে চায় তাহলে সেটা হবে ভলটেয়ারের।
তবে অনুবাদগত দিক দিয়ে যদি আমরা উক্ত বাণীটির মূল অনুবাদকৃত প্রকাশক সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে সেটি হবে স্বামী বিবেকানন্দ নাথ।
আমাদের মেরুদন্ড হিসেবে যে অস্থিকে চিহ্নিত করা থাকে তার চেয়ে অধিক কার্যকর হবে আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জীবন চলার পথে।
কেননা আমরা অনেক প্রতিবন্ধী মানুষকে দেখি যারা জীবন সুন্দরভাবে গঠন করেছে শুধুমাত্র তাদের মেধা ও যোগ্যতার পরিশ্রমের বিনিময়ে ও সাফল্যে।
সুতরাং অবশ্যই আমাদেরকে আমাদের জীবন চলার পথে মেরুদন্ড শক্ত করতে হবে অর্থাৎ এর শিক্ষাকে সঠিকভাবে গ্রহণ করে যোগ্যতা তৈরি করতে হবে। আর এতে করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে মনোযোগ সহকারে শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং সেই সাথে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে সকল বিষয় সংগ্রাম করার জন্য।
শেষ কথা:
আমাদের মেরুদন্ড হিসেবে শিক্ষাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং এই বিষয়ের উপর একটি মোটিভেশনাল উক্তি পর্যন্ত প্রতিনিয়ত উপস্থাপন করা হয়। শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠান, জ্ঞানে বিভিন্ন মানুষের বাণী এবং অপরিচিত লোকের জ্ঞান থেকে আমরা এই “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” বাণীটি শুনে আসছি।
তবে এর ইংরেজি অর্থ সম্পর্কে অনেকেই আমরা ছিলাম যারা জানতাম না এবং সেই সাথে বাণীটির প্রকাশক সম্পর্কেও জানতাম না।
তাই আপনাদের জ্ঞান-বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টের মধ্যে সবকিছু বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে এবং সাধারণভাবে আপনাদেরকে জ্ঞান প্রদান করার চেষ্টা করেছি।
যোগ্যতার দিক দিয়ে বিবেচনা করে এবং প্রার্থীকে জীবনে কল্যাণ লাভ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ পালন করে যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য। শিক্ষা ক্ষেত্রে আপনি যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার যোগ্যতা নির্ভর হবে এবং জীবন পরিচালনায় সুবিধা হবে।
একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং একজন অশিক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে পার্থক্য রয়েছে সেটি হচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্ব।
সামাজিক মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্ব থাকার কারণে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি খুব সহজে নিজের জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা ও প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
তবে এর ঠিক অপরদিকে অশিক্ষিত ব্যক্তি তার নিজের ব্যক্তিত্বকে চিনতে না পারার কারণে পার্থিব জীবনে কোন লাভ দেখতে পারে না।
তাই অবশ্যই আপনাকে আমাকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং জীবন পরিচালনা করার মেরুদন্ড শক্ত করে যোগ্যতা তৈরি করতে হবে।
ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য এবং শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এর ইংরেজি কি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার জন্য, শুভ বিদায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষা বলতে কি বুঝায়?