শিক্ষক মানে কি? শিক্ষক শব্দের উৎপত্তি ও আদর্শ শিক্ষক সম্পর্কে ৫টি বাক্য

শিক্ষক মানে কি: শিক্ষক মানে হলো শিষ্টাচার, ক্ষমাশীল এবং কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তি। শিক্ষক শব্দটি তিনটি অক্ষর বা বর্ণ দ্বারা গঠিত হয়েছে এবং এই প্রত্যেকটি অক্ষরের মানে দ্বারা শিক্ষক শব্দের অর্থ প্রকাশ পায়। তাই শিক্ষক মানে হলো:

শি: শিষ্টাচার।

ক্ষ: ক্ষমাশীল।

ক: কর্তব্যপরায়ণ।

এগুলো হলো শিক্ষক শব্দের মানে বা অর্থ এবং এই অর্থগুলো দ্বারা শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রকাশ পাওয়া যায়। অর্থাৎ একজন শিক্ষকের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত বা থাকা প্রয়োজন তা এই কয়েকটি অর্থ দ্বারা বোঝা যায়।

অর্থাৎ একজন শিক্ষকের যে সকল বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত তার মধ্যে শিষ্টাচার, ক্ষমাশীল এবং কর্তব্যপরায়ণ এই তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকে।

শিক্ষক মানে কি
শিক্ষক মানে কি?

তবে একজন শিক্ষকের মাঝে যে এই তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকবে এমনটি না বরং এ তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক বা প্রয়োজন।

এছাড়া শিক্ষকের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার যেগুলো হচ্ছে সৃজনশীল মনোভাব, অনুপ্রেরণামূলক চিন্তাভাবনা এবং বিচার বিশ্লেষণ। একজন শিক্ষককে অবশ্যই বিবেক বুদ্ধির সম্পন্ন হতে হবে যেন সে সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করতে পারে।

আবার একজন শিক্ষক হিসেবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে হবে যার দ্বারা সে শিক্ষার্থী থেকে জ্ঞান প্রদান করবে। জ্ঞান সকলের থাকে কিন্তু এই জ্ঞান অন্যের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে একটি দক্ষতা যা একজন শিক্ষকের মাঝে থাকা দরকার।

শিক্ষক শব্দের উৎপত্তি

আমরা শিক্ষক শব্দটির অর্থ সম্পর্কে বা মানে সম্পর্কে জানলাম তবে এর উৎপত্তি সম্পর্কে জানলাম না। অর্থাৎ এই শিক্ষক শব্দটি কোথা থেকে এসেছে বা কিভাবে এই শব্দটি একজন শিক্ষকের পেশার সাথে সংযুক্ত হয়েছে তা জানতে হবে।

আপনি যদি শিক্ষক সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই এই শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

আর শিক্ষক শব্দটি দ্বারা আমরা যে পেশাকে বুঝিয়ে থাকি সেই পেশাটি অবশ্যই অনেক বেশি দায়িত্ববান ব্যক্তির জন্য হয়ে থাকে।

শিক্ষক শব্দটি এসেছে ইংরেজি Teacher শব্দ থেকে এবং এই Teacher শব্দটি আবার গঠিত হয়েছে কয়েকটি অর্থের সমন্বয়। এগুলো হলো:

T: Truthful (সত্যবাদী)

E: Educated (সুশিক্ষায় শিক্ষিত)

A: Active (কর্মঠ)

C: Character (মহৎ চরিত্রবান)

H: Honest (সৎ ব্যক্তি)

E: Energetic (উদ্যোগে) R: Responsible (দায়িত্ববান)

শিক্ষক শব্দের উৎপত্তি কোথা থেকে তার পরিপূর্ণ তথ্য হচ্ছে এটি এবং সেই সাথে কিভাবে এসেছে তাও লেখা আছে। এখান থেকে বোঝা যায় কয়েকটি শব্দের প্রথম অক্ষর পরস্পরের সঙ্গে একসাথে যুক্ত করে শিক্ষক শব্দের ইংরেজি উৎপত্তি হয়।

আর এই শিক্ষক শব্দের ইংরেজি শব্দটি থেকে আমরা বর্তমানে অনুবাদ করার মাধ্যমে শিক্ষক শব্দটি ব্যবহার করতে পারছি।

এই শিক্ষক বলতে গুরুজনকে বোঝায় যিনি আমাদেরকে পরিপূর্ণ জ্ঞান প্রদান করে থাকেন সঠিক রাস্তায় জীবন পরিচালনার।

আমরা প্রায় সকলের শিক্ষা অর্জন করে থাকি এবং শিক্ষা অর্জন করার সময় বিভিন্ন ধরনের শিক্ষকের সাহায্য নেই। আর এই শিক্ষকগুলো আমাদেরকে উপযুক্ত জ্ঞান প্রদান করে আমাদেরকে শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা চালায় এবং আমরা তিনাদের অনুপ্রেরণায় শিক্ষিত হই।

আদর্শ শিক্ষক সম্পর্কে ৫টি বাক্য

আমরা বিভিন্ন সময় প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে আদর্শ শিক্ষক সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য নিয়ে লেখার প্রশ্ন পেয়ে থাকি। আর আপনি যেন এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন তাই অবশ্যই আপনাকে গুছিয়ে কয়েকটি বাক্য লিখতে হবে শিক্ষক সম্পর্কে।

আমাদেরকে বলতে বললে আমরা যে কেউ শিক্ষক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য বলতে পারব তবে গুছিয়ে বলতে পারব না। আর অবশ্যই পরীক্ষায় লিখতে গেলে আপনাকে গুছিয়ে লিখতে হবে যেন শিক্ষকের পক্ষে আপনার লেখা প্রত্যেকটি বাক্য আকর্ষণীয় বলে মনে হয়।

নিচে বিশেষ কিছু আদর্শ শিক্ষক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য উপস্থাপন করা হলো:

  • একজন শিক্ষক হবে শিশু এবং বড় উভয় ব্যক্তির নিকট শ্রদ্ধার পাত্র।
  • একজন শিক্ষককে অবশ্যই পাঠদান করার সময় নম্র ও ভদ্র হতে হবে।
  • যিনি আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে বেশি ভূমিকা পালন করেছে তিনি আমাদের প্রিয় শিক্ষক।
  • শিক্ষক তো সেই যে ছাত্রকে জীবন আলোর শিক্ষা দেয়।
  • একজন শিক্ষককে অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী হতে হবে।

এগুলো হলো শিক্ষক বা আদর্শ শিক্ষক সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য এবং ইহার দ্বারা একজন আদর্শ শিক্ষককে চেনা যায়।

আপনি যদি একজন আদর্শ শিক্ষক কে চিহ্নিত করতে চান তাহলে অবশ্যই এই পাঁচটি বৈশিষ্ট্য আপনার শিক্ষকের মাঝে লক্ষ্য করুন।

আপনি যদি লক্ষ্য করে দেখতে পারেন আপনার শিক্ষকের মাঝে এই কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে। তাহলে বুঝে নিবেন যে সে হলো আদর্শ শিক্ষক এবং আপনি আপনার সেই শিক্ষকের কাছ থেকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষিত হতে পারবেন।

শিক্ষা অর্জন করার জন্য অবশ্যই একজন আদর্শ শিক্ষকের প্রয়োজন হয় এবং এই আদর্শ শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় আদর্শ মানুষ হওয়া যায়।

শিক্ষিত হওয়া মানে যোগ্যতা অর্জন করা এমন নয় বরং শিক্ষিত হওয়া হচ্ছে আদর্শ মানুষ হিসেবে সমাজের মাঝে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।

আরও পড়ুন: শিক্ষক যোগ্যতা কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top