শিক্ষক নিবন্ধন কি? শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা

এনআরসিএ বা শিক্ষক নিবন্ধন কি: এনআরসিএ একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার নাম। এই সংস্থাটি কে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চালু করা হয়েছিল। এদের কাজ হলো যোগ্য এবং  মানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রত্যয়ন ও নিবন্ধন প্রদানের আদেশ প্রদান করা।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যেতে পারে আর তাদের শিক্ষাগত দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মান  উন্নত করা।

শিক্ষক নিবন্ধন হলো: একটি নিবন্ধন যা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত হয়। নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য। যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর যে শিক্ষক হওয়ার যাচাই-করণ পদ্ধতির রয়েছে সে পদ্ধতি হচ্ছে শিক্ষক নিবন্ধন।

শিক্ষক নিবন্ধন কি
শিক্ষক নিবন্ধন কি?

আরে যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষকের চাকরির জন্য যে নিবন্ধন করা হয় সেটি হচ্ছে শিক্ষক নিবন্ধন।

শিক্ষক নিবন্ধন বলতে যে শুধুমাত্র বেসরকারি হয় এমনটা না বরং এমন অনেক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে যারা অর্ধ সরকারি এবং অর্ধ-বেসরকারি।

অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক, মাধ্যমিক কিংবা নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য যে নিবন্ধনের প্রয়োজন সেটি হচ্ছে শিক্ষক নিবন্ধন। শিক্ষক নিবন্ধন বলতে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে প্রণীত শিক্ষা নিবন্ধনকে বোঝানো হয়।

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা

যে কেউ চাইলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না বরং এর জন্য প্রয়োজন হবে শিক্ষক নিবন্ধন যোগ্যতা। যে যোগ্যতা দেখার পর উক্ত শিক্ষার্থী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং পরীক্ষা দিতে পারবে।

আর এবং এ যোগ্যতার মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার পর উক্ত শিক্ষার্থীর মেধার যাচাই করা হবে উত্তর কিভাবে দিয়েছে তার উপর।

আর উত্তর যদি ঠিকভাবে দেওয়া হয় এবং মানসিকভাবে পরীক্ষা করে যদি সুস্থ লাগে তাহলে তাকে শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেওয়া হয়।

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার লেভেল হলো তিনটি:

(১.) স্কুল লেভেল-2।

(২.) হাইস্কুল লেভেল এবং

(৩.) কলেজ লেভেল।

আপনারা যারা এইচএসসি বা আলিম পাস করেছেন আর এখন অনার্সে লেখাপড়া করেছেন আপনারা এই নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এখানে কিছু স্থান আছে যেখানে  এইচএসসি পাশ  দিয়েও আবেদন করা যায় তবে এটি সর্বক্ষেত্রে কার্যকর হবে না আপনার জন্য।

যে সকল এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা আছে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় এসব প্রতিষ্ঠানে আপনারা আবেদন করতে পারবেন।

এখানে আপনাদের পদ্ধতি হবে জুনিয়র শিক্ষক এবং আপনাকে শিক্ষা প্রদান করতে হবে সকল শিশুদেরকে মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে।

আর যারা ডিগ্রী বা অনার্স পাস করেছেন তারা আপনারা কলেজে আবেদন করতে পারবেন না কারণ কলেজে আবেদনের জন্য মাস্টার্স পাশ করতে হয়, তবে আপনারা হাইস্কুলে আবেদন করতে পারবেন।

এর জন্য যেকোন বিষয়ে ৩০০ নাম্বার প্রাপ্ত হতে হবে অর্থাৎ ডিগ্রি তিন বছরের আর স্কুলের শিক্ষকদের চাকরি হয় বিষয় অনুযায়ী।

তাই আপনাকে যেকোন বিষয়ে ৩০০ নাম্বার পেতে হবে তাহলে, আবেদন করতে পারবেন এবং যোগ্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে শিক্ষক হতে পারেন।

কলেজের শিক্ষক নিবন্ধন

কলেজের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য  প্রার্থীদের যোগ্যতা হতে হবে কমপক্ষে স্নাতক পাস। অর্থাৎ  প্রার্থীদের কে মাস্টার্স পাশ করতে হবে।

কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো  প্রার্থীর যদি অধিকতর যোগ্যতা থাকে তাহলেও আবেদন করতে কোন সমস্যা নেই অর্থাৎ আবেদন বা নিবন্ধন করতে পারবে। 

তবে কোন প্রার্থী যদি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে তবে তার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে ওই  প্রার্থী যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট, প্রবেশপত্র, ট্রাবুলেশন  শিট এগুলো জমা দিয়ে আপনি আবেদন করতে পারবেন।

এই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা অনুযায়ী একজন প্রার্থীর  সম্পূর্ণ শিক্ষাজীবনে শুধুমাত্র একটি তৃতীয় বিভাগ সমমান জিপিএ ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে। এর বেশি হলে ওই প্রার্থী আবেদন অংশগ্রহণ করতে পারবে না বা নিবন্ধনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।

এর কারণ হলো কোন ছাত্রকে সুশিক্ষিত ভাবে গঠনের জন্য প্রথমে শিক্ষকের যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।

শেষ কথা:

“শিক্ষক নিবন্ধন কি” সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে সাজানো হয়েছে যেন আপনি শিক্ষক নিবন্ধন সম্পর্কে বুঝতে পারেন।

শিক্ষা নিবন্ধন হচ্ছে ওই নিবন্ধন যার মাধ্যমে যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়া যায়।

বর্তমানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেওয়ার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকরি পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষের জন্য। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করতে হলে, শিক্ষক নিবন্ধন অনুযায়ী আপনার জ্ঞান থাকলে যাচাই মাধ্যমে শিক্ষক হতে পারবেন।

অর্থাৎ মোট কথা বলতে গেলে শিক্ষক নিবন্ধন হচ্ছে যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক হওয়ার একটি নিবন্ধন।

আর অবশ্যই এই নিবন্ধনের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা রয়েছে যা শিক্ষকের পাঠদানকৃত সাবজেক্ট এর উপর ভিত্তি করে ভিন্ন হয়।

আপনার যদি শিক্ষক নিবন্ধন সম্পর্কে অন্য কোন মতামত বা জানার আরো কিছু আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে বলবেন। তবে শিক্ষার নাম্বার সম্পর্কে আপনার এতটুকু জানলে চলবে এবং কলেজ বা বিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলে হবে।

আরও পড়ুন: ক্যারিয়ার শিক্ষা কি?

5 thoughts on “শিক্ষক নিবন্ধন কি? শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা”

  1. শিমুল বিশ্বাস

    যদি কেউ ICT থেকে Bsc এবং Msc করে,তবে সে কি গণিতে আবেদন করতে পারবে?

    1. আপনি চাইলে আবেদন করতে পারেন তবে গণিতে আপনার যোগ্যতা কম থাকলে অবশ্যই আপনি আপনার প্রতিযোগিদের থেকে পিছিয়ে পড়বেন। কেননা যারা আপনার প্রতিযোগী হবে তারা অবশ্যই গণিত বিষয়ে পারদর্শী হবে অনেক বেশি যা আপনার প্রধান সমস্যা হবে

  2. আমার অনার্সের সাবজেক্ট ইংলিশ এখন প্রিলি দেয়ার পর রিটেন দিলে কোন কোন সাব্জেক্ট এর উপর পরীক্ষা হয়?
    আর কতো মার্কসের পরীক্ষা হয়, কতো পেলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবো জানতে চাই

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top