শালীনতা অর্থ কি: শালীনতা শব্দের অর্থ মার্জিত, সুন্দর, সভ্য, শোভন এবং সৎ হওয়া ইত্যাদি, শালীনতা হচ্ছে আরবি শব্দ। এই শালীনতা দ্বারা আমাদের চরিত্রের ভালো দিকগুলোকে ইঙ্গিত করা হয় এবং অবশ্যই শালীনতা আমাদের জীবন শান্তিময় করে।
সততা একটি বিশেষ গুণ এবং এ সততাটা মূলত শালীনতার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাই বলা যায় শালীনতা অর্জন করতে হবে।
ব্যক্তির অর্থ সম্পদ যতই থাকুক না কেন কিন্তু যদি সততা না থাকে তাহলে উক্ত ব্যক্তির সমাজে মৌখিক সম্মান পায় শুধু।
কিন্তু যখন কোন ব্যক্তি সৎ হয় এবং সততার সাথে জীবন গড়ে তখন মানুষ সে ব্যক্তিকে মন থেকে সম্মান প্রদান করে।

সততা এবং শালীনতা পার্থিব জীবনে আমাদেরকে কিভাবে সম্মানী করে তুলে এটি তো ছিল একটি নমুনা মাত্র শালীনতার। আসলে শালীনতা বা সততা একটি মহৎ গুণ যা আল্লাহ তাআলার নিকট অনেক বেশি প্রিয় এবং শালীনতা কথাটি বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ হয়েছে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে।
শালীনতা অবশ্য একটি মহৎ গুণ আমাদের জন্য কেননা ইহার দ্বারা আমাদের চরিত্রের বিকাশ হয় ও সততা সৃষ্টি হয়।
মানুষের ক্ষেত্রে উন্নত চরিত্র গঠন করা অবশ্যই প্রয়োজন হবে কেননা, আমরা মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীবের অন্তর্ভুক্ত।
আর সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই উন্নত চরিত্র রাখতে হবে আর উন্নত চরিত্রের মধ্যে একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে শালীনতা।
শালীনতা কী?
শালীনতা কী: ব্যবহার, চরিত্র, কথাবার্তা, আচার-আচরণ এবং চলাফেরায় ভদ্র, সভ্য ও মার্জিত হওয়ার নামই হচ্ছে শালীনতা। অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে বলা যায় নম্র ভদ্রের দিক দিয়ে যাবতীয় বৈশিষ্ট্য এই শালীনতার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।
শুধুমাত্র চরিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং আমাদের কথাবার্তা এবং চলাফেরার ওপর নম্র ভদ্রতা হয়েছে শালীনতার বিষয়।
আমরা যখন নম্র ভদ্রভাবে আচরণ প্রকাশ করে নিজের কথাবার্তা, চলাফেরা এবং অন্যান্য আচরণের দ্বারা তখন এটি শালীনতার অন্তর্ভুক্ত হয়।
আর অবশ্যই শালীনতা একটি বিশেষ গুণ এবং শালীনতা অর্থ কি এ বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা এই সংজ্ঞা থেকে পাওয়া যায়। সততা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে এবং সৎ ভাবে চলার ক্ষেত্রে শালীনতার বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে কেননা ইহা দ্বারা আমাদের পরিপূর্ণ নম্রতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়।
সততা অবশ্যই মহৎ গুণ এবং এই মহৎ গুন শুধু সত্য কথা বলে প্রতিষ্ঠা হয় না বরং শালীনতা দ্বারা সম্ভাবনা বাড়ে।
যেহেতু এই শালীনতার দ্বারা আমাদের পরিপূর্ণ নম্র ভদ্র ও পরিষ্কার জীবনকে তুলে ধরা হয় তাই এটি অবশ্যই ইসলামে শ্রেষ্ঠ।
এই শালীনতা শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য হওয়ার পরেও এটি এখান থেকে সীমাবদ্ধ এমন নয় বরং এটি আমাদের জীবন সহজ করে চলার জন্য।
শালীনতা কাকে বলে?
শালীনতা কাকে বলে: গর্ব-অহংকার, এবং অশ্লীলতা ত্যাগ করে জীবন আচরণের মধ্যে সকল ক্ষেত্রে ইসলামিক নীতি-আদর্শের অনুসরণ করাকে শালীনতা বলা হয়। শালীনতার পর যে অত্যন্ত ব্যাপক এবং বহু নৈতিক গুণের সমষ্টি দ্বারা শালীনতার সৃষ্টি হয়।
শালীনতার মধ্যে রয়েছে ভদ্রতা, নম্রতা, সৌন্দর্যতা, সুরুচি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব পদ এবং লজ্জাশীলতার মত ভাল গুণাবলী সমষ্টি।
অর্থাৎ সঠিক ভাষায় বলতে গেলে, এই শালীনতা দ্বারা আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি ভালো আচরণকে প্রকাশ করা হয়।
আর ভালো আচরণ প্রকাশ করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে শালীনতার সাথে নম্রতার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করতে হবে সুষ্ঠুভাবে। আমাদেরকে উন্নত জীবনের প্রয়োজন হবে না কেননা আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট অর্জন করাই হবে আমাদের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য শালীনতার মাধ্যমে।
আর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যমে আমাদের জীবন অবশ্যই উন্নত হবে, কেননা কল্যাণ তিনি দিবেন আমাদেরকে।
আমাদের কল্যাণ ডেকে আনার মত ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন মানুষ বা বস্তুর নেই আর এমন বস্তু আসবেও না।
আমাদের বিশেষ কিছু ভালো গুনাগুন যেহেতু শালীনতার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেহেতু এটি আমাদের কল্যাণ আনতে পারে স্বাভাবিকভাবে।
আরও পড়ুন: সত্যবাদী কাকে বলে?