শর্করা কাকে বলে? শর্করা কত প্রকার? শর্করার উৎস কি?

শর্করা কাকে বলে: বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং অল্প মিষ্টির স্বাদযুক্ত খাবার যার মধ্যে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন এই তিনটি মৌল বিদ্যমান থাকে তাকে শর্করা বলে। এককথায় কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা কি: আমাদের দৈনন্দিন খাবার সময়ের মধ্যে যে খাদ্যে কার্বন হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন এই তিনটি মৌল বিদ্যমান থাকে তাই কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা।

আমাদের সুষম খাদ্য তালিকার মধ্যে প্রথম নম্বরে যে খাদ্যটি দখল করে আছে সেই খাদ্যটি হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা।

শর্করা কাকে বলে
শর্করা কাকে বলে?

শর্করা জাতীয় খাদ্যের উৎস বা যে সকল খাদ্যে বেশি পরিমাণে শর্করা থাকে সেগুলো হলোঃ ধান, গম, আলু, আপেল, আঙ্গুর, তরমুজ, আম, কলা,  চিনি, গুর এবং দুধ ইত্যাদি। শর্করার প্রধান উপাদান বা প্রধান উৎস হচ্ছে ভাত এবং এ ভাত আমরা বাঙ্গালীরা সবচেয়ে বেশি খেয়ে থাকে শর্করা হিসেবে।

আমাদের শরীরের জন্য শর্করা জাতীয় খাদ্য অনেক বেশি উপকারে কেননা ইহার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শক্তি সহজে লাভ করা সম্ভব হয়।

আবার শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরে শর্করার অভাব পূরণ হয় এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

শর্করা কত প্রকার ও কি কি

এখানে শর্করা কাকে বলে এ বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে বিশ্লেষণ করতে গেলে আমাদেরকে শর্করার কত প্রকার ও কি কি এ বিষয়ে একটু হলেও ধারণা রাখা উচিত। নিচে শর্করা প্রকারভেদ ও কি কি এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের মাঝে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হলো:

শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা:

  • মনোস্যাকারাইড বা (Monosaccharides)
  • ডাইস্যাকারাইড বা (Disecaraids)
  • পলিস্যাকারাইড (polisacaridos)

১.) মনোস্যাকারাইড বা (Monosaccharides): আঙ্গুর, আপেল, কলা এবং বিভিন্ন ধরনের ফল হলো মনসেকারাইড এর অন্তর্ভুক্ত শর্করা জাতীয় খাবার। 

২.) ডাইস্যাকারাইড বা (Disecaraids): চিনি, গুর এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার হলো ডাইস্যাকারাইড এর অন্তর্ভুক্ত শর্করা জাতীয় খাবার।

৩.) পলিস্যাকারাইড (polisacaridos): চাল, আলু, গম, পেঁয়াজ এবং রসুন ইত্যাদি হলো পলিস্যাকারাইড এর অন্তর্ভুক্ত শর্করা জাতীয় খাবার।

শর্করা এর পুষ্টিগত গুরুত্ব

শর্করা কাকে বলে এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করা আজকের এই পোস্টটিতে সম্পূর্ণরূপে নতুন নতুন তথ্য প্রদান করা হয়েছে আপনার জন্য। শর্করা হচ্ছে একটা খাদ্য উপাদান যার কোন সঠিক বর্ণ নেই তবে এটি কার্বন ও হাইড্রোজেন মৌল দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে।

মানব শরীরের শর্করার পুষ্টিগত গুরুত্ব রয়েছে অপরিসীম এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা রাখা উচিত।

উল্লেখযোগ্য কিছু মানব শরীরে শর্করা এর গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • দেহের তাপ শক্তি উৎপাদন এবং দেহ গঠন করে।
  • প্রতি গ্রাম শর্করা থেকে ৪.২ কিলো ক্যালরি তাপ শক্তি উৎপাদন হয় দেহের মধ্যে।
  • মানব পেশীতে গ্লাইকোজেন হিসেবে সঞ্চিত থাকে।
  • কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পেশির শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে।
  • শর্করার সেলুলোজ জাতীয় উপাদান কষ্ট বাধ্য তা দূর করতে সাহায্য করে।
  • মানব শরীরে গ্লুকোজ উৎপাদনে সাহায্য করে।

এগুলো হলো শর্করার কিছু গুরুত্ব এবং এ গুরুত্বগুলো আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য উভয় ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। তাই অবশ্যই আমাদেরকে শর্করা গ্রহণ করতে হবে এবং আমাদের শারীরিক সকল চাহিদা পূরণের জন্য অন্যান্য খাদ্যগুলো খেতে হবে।

শর্করা জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরকে সম্পূর্ণরূপে সচ্ছল করে তোলে এবং সেই সাথে আমাদেরকে কর্মদক্ষতা প্রদান করে।

আরও পড়ুন: ভিটামিন কাকে বলে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top