শকুন কত বছর বাঁচে: শকুন প্রায় ১০০ বছর বাঁচে। আমাদের পৃথিবীতে প্রায় বহু রকমের শকুন রয়েছে বা বহু প্রজাতির শকুন রয়েছে যাদের কাজ হলো মৃতদেহকে ভক্ষণ করা। শকুনকে ইংরেজিতে বলা হয় Vulture যা আপনি ইংরেজিতে বলতে পারেন।
অনেক মানুষ আছেন যারা শকুনকে আমাদের শত্রু বলে মনে করে থাকেন কিন্তু শকুন আমাদের শত্রু নয় সকল আমাদের মিত্র।
শকুনকে অনেকে অশুভের প্রতীক মনে করলেও শকুন একটি শুভ পাখি ভালো পাখি এবং এটি পরিবেশের জন্য উপকারী অনেক।

এই পাখিটি পরিবেশের দূষণযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং বায়ু ও মাটির মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায় না। আর এ জন্য শকুন প্রকৃতির পরিষ্কার কর্মী হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডাকা হয়ে থাকে এবং এটি সত্য কাজ শকুনের।
শকুন মূলত মৃত প্রাণীকে ভক্ষণ করে থাকে বা মৃত প্রাণীকে আহার হিসেবে গ্রহণ করে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
আর এইভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার ফলে আশেপাশে কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস ছড়ায় না।
শকুনের জীবন
শকুন মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে। শকুনের পাকস্থলী কলেরা রোগসহ আরো বিভিন্ন রোগের জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে। এ সকল জীবাণু শকুন উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। শকুন এসব জীবাণুকে খুব সহজে ভক্ষণ করে ফেলে।
যার কারনে পরিবেশের মধ্যে এ সকল মারাত্মক জীবাণু ছড়াতে পারে না পরিবেশ ভালো থাকে এবং আমাদের জীবনযাত্রা ও ভালো থাকে।
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হলেও সত্য যে এই প্রাকৃতিক পরিছন্নতাকর্মি শকুন বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তির পথে।
শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয় সম্পূর্ণ পৃথিবীতেই শকুন এখন বিলুপ্তির পথে। এখন পৃথিবীর মধ্যে থাকা প্রায় 80 শতাংশ শকুনকে আর দেখতে পাওয়া যায় না। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে এই শকুন সংখ্যা 260 এর নিচে।
এই পাখিটি বিলুপ্তির আরেকটি মূল কারণ হলো পশু চিকিৎসার ব্যাথা নাশক হিসেবে Diclofenac, ketoprofen ব্যবহার করা।
শকুন কলেরা সহ আরো বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া বা বিভিন্ন রগের জীবাণুকে ধ্বংস করতে পারে।
কিন্তু শকুনের পাকস্থলী এই Diclofenac এবং ketoprofen রাসায়নিক পদার্থ সমূহকে ধ্বংস করতে পারে না।
বরং এই পদার্থগুলোই শকুনকে ধ্বংস করে ফেলে। এইসব পদার্থগুলো খাবার দুই দিনের ভিতর শকুন মারা যায়।
শকুন যেহেতু প্রাকৃতিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী, তাই এই প্রাণীটির বিতলুপ্ত হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য বা আমাদের পৃথিবীর জন্য হুমকি স্বরূপ।
এই প্রাণীটি যদি বিলুপ্ত হয় তাহলে রোগ প্রাকৃতিকভাবে নির্মূল করা যাবে না এবং মৃতপ্রাণী থেকে রোগ আমাদের মাঝে দ্রুত ছড়াবে।
শেষ কথা:
শকুন কত বছর বাঁচে বা শকুনের জীবন আয়ু কত এ বিষয়ের উপর আজকের এই পোস্টটিতে ধারণা দেওয়া হয়েছে লিখে। আর অবশ্যই আমরা আশা করতে পারি যে আমাদের লেখা পোস্টটি আপনাকে শকুনের জীবনের সম্পর্কে অবগত করেছে।
একটি শকুন যেহেতু প্রায় ১০০ বছরের মত জীবিত থাকতে পারে সেহেতু বলাই যায় যে শকুনের জীবন বেশি।
আবার আরো একটি কথা, সেটি হচ্ছে এই পুরোটা জীবন অবশ্যই শকুনকে সংগ্রাম করে জীবিত থাকতে হয় এবং খাদ্য নিতে হয়।
যদিও বা আমরা মনে করে থাকি যে শকুন হচ্ছে একটি দক্ষ শিকারে প্রাণী এবং বেশি সংগ্রাম না করে জীবিত থাকে। আসলে এমনটি মোটেও না বরং আমি যেখানে জীবনের কথা বলেছি সেখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে কতটা সংগ্রাম করে শকুন।
আর সকল যেহেতু আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী একটি পাখি এবং সেই সাথে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে শকুন।
সুতরাং অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে শকুনকে সর্বক্ষেত্রে রক্ষা দেওয়ার এবং সেই সাথে শকুনকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার।
আরও পড়ুন: কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা।