লঘু ও গাঢ় দ্রবণ কাকে বলে?

লঘু ও গাঢ় দ্রবণ কাকে বলে: একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকের মধ্যে কম পরিমাণ দ্রব মিশ্রিত থাকলে তাকে লঘু দ্রবণ বলে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকের মধ্যে বেশি পরিমাণ দ্রব্য মিশ্রিত থাকলে তাকে গাঢ় দ্রবণ বলা হয়। এগুলো ছিল লঘু ও গাড় দ্রবণের সংজ্ঞা।

তাহলে বোঝা গেল যে আমরা যদি দুইটি ভিন্ন ধরনের দ্রবণ প্রস্তুত করে যার মধ্যে দ্রাবকের পরিমাণ সমান রাখে। এবং শুধুমাত্র ওই দ্রাবকের মধ্যে দ্রব্যের পরিমাণ কম বেশি করে অর্থাৎ একটিতে কম এবং আরেকটিতে সামান্য বেশি দ্রব্য যুক্ত করি।

লঘু ও গাঢ় দ্রবণ কাকে বলে
লঘু ও গাঢ় দ্রবণ কাকে বলে?

তাহলে বুঝবেন যে যেটাতে আমরা সামান্য একটু দ্রব্য বেশি যুক্ত করেছি সেটি হবে অবশ্যই একটি গাঢ় দ্রবণের উদাহরণ। আর পক্ষান্তরে যেটিতে আমরা সামান্য একটু কম দ্রব্য যুক্ত করেছি সেটি অবশ্যই একটি লঘু দ্রবনের উদাহরণ হিসেবে থাকবে।

তাহলে উপরের সংজ্ঞাগুলো দ্বারা এটি স্পষ্ট ভাবে বোঝা গেছে যে লঘু ও গাঢ় দ্রবন বলতে কী বোঝানো হয়? চলুন তাহলে আমরা বিশেষভাবে জানার চেষ্টা করি যে আসলে এই লঘু ও গাঢ় দ্রবণের কোন প্রয়োজনীয়তা রসায়নের মধ্যে আছে কিনা?

লঘু ও গাঢ় দ্রবণের প্রয়োজনীয়তা?

লঘু ও গাঢ় দ্রবণের বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয়তা নিচে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হলো:

  • কোন বিক্রিয়া পরিমাণ মতো দ্রবণ মিশ্রিত করতে এদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
  • বিক্রিয়া চলাকালীন নির্দিষ্ট সময়ে পরিমাণ মতো দ্রবণ প্রয়োগ করতে এদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
  • কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই বিক্রিয়ার মধ্যে থেকে সঠিক উৎপাদ পেতে এদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এগুলো ছিল লঘু ও গাড় দ্রবণের প্রয়োজনীয়তা এবং এদের প্রয়োজনীয়তা সর্বদাই রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্যে বেশি থাকে।

আরও পড়ুন: লঘু দ্রবণ কাকে বলে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top