রসায়নের জনক কে: আধুনিক রসায়নের জনক হলো এন্টোনি ল্যাভয়শিয়ে এবং রসায়নের জনক হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান। তবে অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় যে আধুনিক রসায়নের জনক হচ্ছেন বিজ্ঞানী ডাল্টন এবং আধুনিক রসায়ন বিজ্ঞানের জনক হলেন ল্যাভয়শিয়ে।
অর্থাৎ যখন শুধুমাত্র আধুনিক রসায়নের কথা উল্লেখ আসবে তখন রসায়নের এই শাখার জনক হিসেবে প্রাধান্য পাবে বিজ্ঞানী ডাল্টন।
আর যখন আধুনিক রসায়ন বিজ্ঞানের জনক কে এইরকম ভাবে প্রশ্ন আসে তখন উত্তরে জনকের নাম হবে এন্টনি ল্যাভয়সিয়ে।
আর শুধুমাত্র রসায়নের জন্য যদি বলে থাকে এবং আধুনিক কথাটি যদি না উল্লেখ থাকে তাহলে রসায়নের জনক হবে জাবির ইবনে হাইয়ান। তবে যদিও বা রসায়নের জনক হিসেবে জাবির ইবনে হাইয়ান অনেক স্থানে প্রাধান্য পেয়েছে তবে এটি আধুনিক রসানের জন্য না।

কেননা জাবির ইবনে হাইয়ান শুধুমাত্র বিশ্বাস করত মাটি পানি এবং বায়ু এই তিনটি উপাদান দিয়ে রসায়ন এবং বিশ্ব গঠিত হয়েছে।
আর তিনার এই ভুল ধারণার কারণে এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রসায়ন সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে আধুনিক রসানের জনক হাইয়ান নয়।
রসায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা এবং এই শাখায় প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান নিয়ে বিশেষ করে বিক্রিয়ার মাধ্যমে গবেষণা করা হয়ে থাকে। তবে যখন রসায়নের সূচনা হয়েছিল তখন যে প্রথম দিক থেকে বিক্রিয়া শুরু হয়েছিল রসায়ন গবেষণায় এমন কোন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
তবে এতটুকু মনে রাখবেন যে, আমরা এখানে অনেকগুলো বিজ্ঞানের নাম উল্লেখ করেছি যেগুলো বিভিন্ন কারণে জনক বলা হয় রসায়নের।
তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এতগুলো বিজ্ঞানীদের মধ্যে কে সর্বপ্রথম ব্যক্তির যিনি রসায়ন শাস্ত্র নামে নতুন একটি শাখা সূচনা করেছিলেন।
রসায়ন শাস্ত্র কে সুচনা করেন?
রসায়ন শাস্ত্র কে সুচনা করেন: রসায়ন শাস্ত্র জাবির ইবনে হাইয়ান সূচনা করেছিলেন এবং তিনি প্রথম রসায়নে নিয়ে কাজ করেন।
অর্থাৎ যাকে আমরা শুধুমাত্র রসায়নের জনক বলে ডাকি তিনি হচ্ছেন রসায়ন শাস্ত্র সূচনাকারী এবং প্রথম রসায়ন গবেষণাকারী।
এখন কথা হচ্ছে কিভাবে ইনাকে আমরা বলতে পারি রসায়ন শাস্ত্র সূচনাকারী এবং কেনই বা আমরা বলব ইনাকে।
মূল কথা হচ্ছে জাবির ইবনে হাইয়ান যদিওবা ভুল ধারণা করত মাটি, পানি এবং বায়ু দ্বারা পৃথিবীর সকল উপাদান তৈরি হয়েছে।
কিন্তু তবুও তিনি তিনার এই সামান্যটুকু ভুল ধারণা নিয়েই প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন এবং পরীক্ষা করেছিলেন। প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করা কালীন তিনি বিভিন্ন বিষয়ে উন্মোচন করেছিলেন এবং ইহার দ্বারা রসায়নের ধারণা চালু হয়েছিল তিনার দ্বারা।
আর প্রকৃতির মাঝে গবেষণা চালিয়ে সর্বপ্রথম যেহেতু জাবের ইবনে হাইয়ান রসায়নের ধারণা মানুষের মাঝে এনেছিলেন ও বিজ্ঞানীদের দিয়েছিলেন।
সেজন্য এই ব্যাখ্যাটি দ্বারা এটি স্পষ্ট যে অবশ্যই রসায়ন শাস্ত্র সূচনা কারে হচ্ছেন জাবির ইবনে হাইয়ান।
তবে তিনার এই ভুল ধারণা যেগুলো ছিল এ ভুল ধারণা গুলো দূর করেন প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিত্যনতুন বিজ্ঞানী ভালোভাবে গবেষণা করেছিলেন। আর এ ভালভাবে গবেষণা করার জন্য পরবর্তীতে কয়েকটি বিজ্ঞানী কে আধুনিক নামকরণ করার মাধ্যমে রসায়নের জনক দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রকৃতপক্ষে মৌল রসায়নের জনক হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান এবং তিনি সর্বপ্রথম রসায়নের সূচনা করেছিলেন গবেষণায়।
আর রসায়ন গবেষণার ক্ষেত্রে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে জাবির ইবনে হাইয়ানের নাম কেননা তিনার কাজে রসায়ন গবেষণা শুরু হয়।
শেষ কথা:
রসায়নের জনক কে এবং রসায়ন শাস্ত্র কে সূচনা করেন এই বিষয়ের উপর তথ্য দিয়ে সাহায্য করা ছিল আজকের উদ্দেশ্য। আর আমরা আমাদের উদ্দেশ্য অবশ্যই সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি শুধুমাত্র আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের মাঝে পৌঁছানোর মাধ্যমে।
আর এখন ধারণা অর্জন করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার এবং আমাদের পোস্টটি থেকে আপনাকে রসায়নের জনক সম্পর্কে জানতে হবে।
আর আমি আশা করি আপনার রসায়নের জনকগুলোর নাম মুখস্ত রাখতে কোন অসুবিধা হবে না এবং জনক গুলোর নাম বলতে পারবেন।
যদি এবার রসায়নের জনক হিসেবে অনেক জন বিজ্ঞানের নাম উল্লেখ হয়েছে কিন্তু আমি শব্দ অনুযায়ী বিশ্লেষণ করেছি। যে কোন কোন ক্ষেত্রে কোন কোন বিজ্ঞানী জনক হিসেবে পরিচিত অর্জন করেছে এবং কেন তিনাদেরকে উক্ত শব্দ দ্বারা জনক বলা হয়েছে রসায়নের।
তবে এই কথাটি আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে আধুনিক রসায়নের জনক হলেন এন্টনি ল্যাভয়সিয়ে এবং রসায়নের জনক হাইয়ান।
রসায়নের জনক হলেন জাবির ইবনে হাইয়ান এবং ইনার ধারায় সর্বপ্রথম রসায়নের প্রথম ধারণা ও গবেষণা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?