যোজনী কাকে বলে? যোজ্যতা কাকে বলে? উদাহরণসহ

যোজনী কাকে বলে: অনু গঠনকালে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন এবং ভাগাভাগি করার মাধ্যমে কোন মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলা হয়।

সংজ্ঞা ২:

যোজনী: মৌলের একটি পরমাণুর সাথে যতগুলো হাইড্রোজেন বা ক্লোরিন পরমাণু যুক্ত হয় তার সংখ্যাকে মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা বলা হয়।

সংজ্ঞা ৩:

যোজনী: যেকোনো একটি পরমাণুর সাথে অক্সিজেন পরমাণু যতগুলো যুক্ত হয় তার দ্বিগুণ করা হলে তাকে পরমাণুর যোজনী বা যোজ্যতা সংখ্যা বলা হয়।

যোজনী কাকে বলে
যোজনী কাকে বলে?

এগুলো ছিল যোজনী এর কিছু সংজ্ঞা এবং আপনি আপনার পরীক্ষা যোজনের যে কোন একটি সংজ্ঞা এখান থেকে দিতে পারেন।

বর্তমানে যোজনী হচ্ছে রসায়নের একটি বিশেষ শিক্ষা যেখানে মৌলগুলো নিয়ে বিশেষ ধারণা অর্জন করা যায় শুধুমাত্র এ যোজনী দ্বারা।

আর এজন্য রসায়ন পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন হতে পারে যোজনী কাকে বলে এই বিষয়টির উপর। আর আপনি যেন এই বিষয়টির উপর সঠিকভাবে উত্তর প্রদান করতে পারেন সে জন্য আমরা যোজনীর সংজ্ঞা আপনাদের মাঝে কয়েকটি উল্লেখ করেছি।

তবে যোজনী যেমন একটি বিষয় ঠিক এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আরেকটা বিষয় হচ্ছে যোজ্যতা যা মৌলের অন্তর্ভুক্ত ইলেকট্রনের ধারণা।

এ ধারণাটি আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে অর্জন করতে হবে এবং এজন্য চলুন তাহলে যোজ্যতা সম্পর্কে কিছু ধারণা অর্জন করার চেষ্টা করে এখন।

যোজনী বা যোজ্যতা ইলেকট্রনের উদাহরণ

একই সময় কোন একটি পরমাণু যদি একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, তাহলে তাকে যোজনী বা যোজ্যতা বলে।

উদাহরণ: HCl (হাইড্রোক্লোরিক এসিড)।

একই সময় কোন একটি পরমাণু যদি Hydrogen দুইটি পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে তাহলে তার যোজনী বা যোজ্যতা হয় দুই।

উদাহরণ: H2O (পানি বা বরফ বা জলীয় বাষ্প)।

এগুলো ছিল যোজনী ও যোজ্যতা নিয়ে কিছু ধারণা এবং অবশ্যই এগুলো আপনাকে সাহায্য করবে যোজনী প্রশ্নের মধ্যে।

আর যোজনী প্রশ্ন থাকবে এটাই স্বাভাবিক কেননা মৌল সম্পর্কিত যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে তার মধ্যে যোজনীর বিষয়টি প্রাধান্য।

কেননা এই যজনের মাধ্যমে বন্ধন গঠনের বিষয়টি প্রকাশ পায় যা, রাসায়নিক গঠনের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। আর এত সকল বিষয়ের উপর ভূমিকা রাখার জন্য এটি অবশ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হতে পারে আপনার পরীক্ষার জন্য, যোজনী বা যোজ্যতা থেকে।

আমি অবশ্য আশা রাখি যে আপনি আমাদের দেওয়া সংজ্ঞা আপনার পরীক্ষা প্রদান করবেন কেননা এটি সঠিক।

আর সঠিক সংজ্ঞা প্রদান করে আপনি যোজনীর প্রশ্ন হতে সম্পূর্ণ মার্ক একত্রিত করতে পারেন আপনার মেধা যাচাই করুন পাতার মধ্যে।

শেষ কথা:

যোজনী কাকে বলে বা যোজ্যতা কাকে বলে এবং এর উদাহরণ দাও এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে আমাদের আজকের এই প্রশ্নটি সাজানো। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে এবং উত্তর প্রদান করতে সাহায্য করবে।

আপনার বিভিন্ন পরীক্ষায় যদি যোজনী সম্পর্কে কোন প্রশ্ন আসে এবং সেখানে যদি সংজ্ঞা দিতে বলে।

তাহলে আপনারা উপরে উল্লেখিত যে কোন একটি সংজ্ঞা প্রদান করে পরিপূর্ণ রেজাল্ট উপভোগ করতে পারবেন।

যাইহোক যোজনী বা যোজ্যতা কাকে বলে এই বিষয়টা সম্পর্কে যদি আপনাদের আরো অন্য কোন পরামর্শ বা প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা অবশ্যই আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব অথবা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে যোজনী বা যোজ্যতা হচ্ছে কোন মৌলের একটি প্রমাণ অণুতে গঠন হওয়ার ক্ষমতা। অর্থাৎ একটি মৌল কত দ্রুত ইলেকট্রন ভাগাভাগি বা গ্রহণ বা ত্যাগ করার মাধ্যমে অনু গঠন করতে পারে তার ক্ষমতা।

আজকের মত এই পোস্টটির দ্বারা এখান থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা কামনা করতেছি।

পরবর্তীতে যেকোন আরো একটি জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

আরও পড়ুন: রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!