ম্যালওয়্যার কি: ম্যালওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, যার প্রোগ্রাম অন্য ডিভাইসের ক্ষতি সাধন করতে কাজ করে। ম্যালওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের ক্ষতিকর program যার মাধ্যমে আমাদের কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইস ক্ষতির শিকার হয়।
যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ক্ষতি সাধন করতে, ডিভাইসের কর্মক্ষমতা কমিয়ে ফেলতে, ডিভাইসে উপস্থিত যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অবৈধ হিসেবে গঠন করতে ক্ষতিকর যে সকল সফটওয়্যার তৈরি করা হয়, সেগুলো হচ্ছে ম্যালওয়ার।

ম্যালওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, যা বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ও প্রোগ্রামিং কোড ব্যবহার করে তৈরি করা হয় অন্যের ক্ষতি করার জন্য।
এই ম্যালওয়্যার মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে অন্যের ডিভাইসের ক্ষতি সাধন করার জন্য।
যা অবশ্যই একটি অনৈতিক কাজ, তবু আমাদেরকে এ বিষয়ে কিছু ধারণা রাখা উচিত।
ম্যালওয়্যার কত প্রকার ও কি কি
আমাদের কম্পিউটার যে সকল ম্যালওয়্যার ভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেই সকল ভাইরাসের আবার কিছু কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। আর আমাদেরকে এ সকল ম্যালওয়্যার ভাইরাসের প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং কিভাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যা জানতে হবে।
ম্যালওয়্যার কয়েক প্রকারের হতে পারে, তবে নিচে আমরা কতিপয় উল্লেখযোগ্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলো উল্লেখ করব:
- ভাইরাস (Virus)
- ওরম (Worm)
- টুরজেন (Torjan)
- রানসমওয়্যার (Ransomware)
- এডওয়্যার (Adware)
- স্পাইওয়্যার ম্যালওয়্যার (Soyware)
- রুটকিট (Rootkit)
এগুলো হলো কম্পিউটার ম্যালওয়্যার ভাইরাসের কিছু প্রকারভেদ এবং আমাদেরকে এই সকল প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে যেহেতু জানতে হবে। সেহেতু চলুন তাহলে কম্পিউটার ম্যালওয়্যার ভাইরাসের এই সকল প্রকারভেদগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা নিচে আলোচনা করি।
ভাইরাস (Virus)
ভাইরাস প্রোগ্রামিং কোড দ্বারা তৈরি করা এমন এক ধরনের মালয়েশিয়াস প্রোগ্রাম, যে প্রোগ্রামগুলো নিজে নিজে আমাদের ডিভাইসে ইন্সটল হয় বা প্রবেশ করে।
তবে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করার জন্য কিংবা ইন্সটল হওয়ার জন্য ফাইল এর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন তথ্য আদান প্রদান করতে গিয়ে সেই তথ্যের ভিতর বা তথ্যের ফাইলে ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দিতে পারে।
যখন আপনি সে ফাইলটি ওপেন করেন কিংবা প্রবেশ করেন তখনই নিজে নিজেই ভাইরাস প্রোগ্রাম আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল হয়।
ওরম (Worm)
এটি একটি অনেক বেশি ক্ষতি কারী বা ক্ষতিসাধনকারী ম্যালওয়্যার, কেননা এই ম্যালওয়্যারটি যে ডিভাইসে প্রবেশ করে, সেই ডিভাইসের প্রত্যেকটি ফাইল ও ফাংশনের ক্ষতিসাধন করে।
এই সকল ম্যালওয়্যারগুলো নিজে নিজেই অনেকগুলো ফাইল তৈরি করতে থাকে এবং কম্পিউটার সিস্টেম নষ্ট করে ফেলে এবং দুর্বল করে ফেলে।
টুরজেন (Torjan)
এই সকল ম্যালওয়্যার ভাইরাসগুলোকে অনেক চালাক ভাইরাস বলা হয়।
কেননা এই ভাইরাস গুলো যখন আমাদের কম্পিউটারে প্রবেশ করে তখন নিজের পরিচয় গোপন রেখেই প্রবেশ করে।
যার ফলে এই সকল ভাইরাসগুলো শনাক্ত করতে আমাদের অনেক দেরি হয়ে যায় এবং সনাক্ত করতে করতে বেশিরভাগ ফাংশন নষ্ট করে ফেলে এবং তথ্য চুরি করে।
রানসমওয়্যার (Ransomware)
২০১৭ সালে পাবলিশ হওয়া সবচেয়ে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ভাইরাস হলো রানসমওয়্যার এবং পাবলিশ হওয়ার সাথে সাথে এটি প্রায় লক্ষ্য অধিক ডিভাইস নষ্ট করে ফেলেছিল।
এই সকল ম্যালওয়্যার গুলো যে কম্পিউটারে প্রবেশ করে সেই কম্পিউটার গুলো পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে যেত এবং সকল তথ্য চুরি হয়ে যেত।
এডওয়্যার (Adware)
এই ধরনের মেলা ভাইরাস গুলা বিভিন্ন কম্পিউটারে আক্রমণ করে এবং সেই কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার দেখাতে শুরু করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইউজার গুলো এই সকল এড দেখে বিরক্ত বোধ করে কেননা এই অ্যাডগুলো ছিল খারাপ প্রকৃতির।
আর এই ম্যালওয়্যার ভাইরাসগুলো বিভিন্ন ফাইলের মাধ্যমে আমাদের কম্পিউটারে প্রবেশ করে এবং অনেক বড়োসড়ো ক্ষতিসাধন করে।
স্পাইওয়্যার ম্যালওয়্যার (Soyware)
এই সকল ম্যালওয়্যার গুলো ব্যবহারকারীর উপর নজর রাখার জন্য এবং ব্যবহারকারীর প্রত্যেকটি কাজ লক্ষ্য করার জন্য তৈরি করা হয়।
এই সকল ম্যালওয়ার গুলো দ্বারা ব্যবহারকারী কখন কি করছে তার ওপর পরিপূর্ণভাবে দৃষ্টিপাত করা যেত।
আর এর ফলে হ্যাকার গ্রুপগুলো খুব সহজেই ইউজারের সকল পার্সোনাল তথ্য পেয়ে যেত।
রুটকিট (Rootkit)
এই সকল ম্যালওয়্যার গুলো যে ধরনের ডিভাইসে প্রবেশ করে সেই ডিভাইসে উপস্থিতি এডমিনের প্রত্যেকটি তথ্য চুরি করে নিত।
এই ধরনের ম্যালওয়্যারগুলো ডিভাইসের প্রবেশ করে সম্পূর্ণ তথ্য গ্রহণ করার পর নিজেই এডমিন হয়ে যায়।
এবং অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীকে বাধা প্রদান করে তার কাজ করার জন্য এবং ব্যবহার করার জন্য।
আরও পড়ুন: প্যাকেজ সফটওয়্যার কি?