মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম হলো: Apis indica বা এপিস ইন্ডিকা। বৈজ্ঞানিকভাবে মৌমাছিকে যে নাম প্রদান করা হয়েছে তা দ্বারা মৌমাছির বৈজ্ঞানিক সকল জ্ঞান ফুটে ওঠে।
বৈজ্ঞানিক নাম একটি প্রজাতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে যাতে করে তাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়। আর মৌমাছির প্রজাতি সঠিকভাবে চিহ্নিত করার জন্য এর বৈজ্ঞানিক নাম হিসেবে (Apis indica) বা এপিস ইন্ডিকা রাখা হয়েছে।
আমরা সকলেই জানি যে মধু সংগ্রহ করার জন্য এবং সংরক্ষণ করার জন্য মৌমাছি অনেক পরিশ্রম করে থাকে।
আর এই মৌমাছির মাধ্যমে আমরা মধুর চাহিদা সম্পূর্ণরূপে পূরণ করে উপযুক্ত শক্তি ও পুষ্টি অর্জন করতে পারে।
প্রত্যেকটি প্রাণীকেই বৈজ্ঞানিকভাবে নামকরণ করা হয়েছে যেন খুব সহজে উক্ত প্রাণের গণ এবং প্রজাতির নাম জানা যায়। আর ঠিক অনুরূপভাবে মৌমাছিকেও একটি বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করা হয়েছে যার মাধ্যমে মৌমাছির গণ এবং প্রজাতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
আবার বিভিন্ন পরীক্ষায় মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম বা বিজ্ঞানসম্মত নাম নিয়ে প্রশ্ন আসে থাকে। সঠিক উত্তর না জানার কারণে অনেকে আছে আমরা যারা উক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে পরীক্ষার ফলাফল একটু হলেও খারাপ করি।
আর আপনি যেন সঠিকভাবে মৌমাছির বিজ্ঞানসম্মত নামের সঠিক উত্তর দিয়ে একটু ভালো ফলাফল করতে পারেন তাই উপরে এর নাম উল্লেখ করেছে। আর অষ্টম শ্রেণী হতেই মূলত আমাদেরকে এই মৌমাছির বিজ্ঞানসম্মত নামের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন এসে থাকে।
মৌমাছি প্রজাতির বৈশিষ্ট্য
উপরে তো আমরা মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি তবে এই মৌমাছির কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে মৌমাছির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে বা মাথায় এ বিষয়ে কিছু ধারণা রাখতে হবে।
আর আপনি যদি মৌমাছি সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে হবে।
নিচে মৌমাছির উল্লেখযোগ্য কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:
- মৌমাছির পুরো দল পরিচালনা করার জন্য কোন পুরুষ মাছি কাজ করে না।
- মৌমাছির পুরো দল পরিচালনা করে শুধু মাত্র একটি মহিলা মাছি।
- মৌমাছি ফুল হতে মধু সংগ্রহ করে, তা নিজে খায় এবং জমা করে রাখে।
- মৌমাছি তার পুরো জীবন বাসা তৈরি করতে এবং মধু সংগ্রহ করতে কাটিয়ে দেয়।
- মৌমাছির রানী অর্থাৎ দল পরিচালনাকারী মৌমাছি শুধু বাচ্চা দিতে পারে।
- একটি মৌচাকে দুটি দল পরিচালনা করে মহিলা মৌমাছি জন্ম নিলে তাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়।
- দল পরিচালনাকারী দুই মৌমাছির মধ্যে যে জয়লাভ করে সেই দল পরিচালনা করে।
- পুরুষ মৌমাছিগুলো যৌন জনন করার ক্ষেত্রে অপেক্ষায় থাকে এবং যৌন জনন করার পর মৃত্যুবরণ করে।
- একটি মৌচাকে উপস্থিত পুরুষ মৌমাছি গুলো মৌচাক তৈরি করতে কাজ করে।
- মৌমাছি খাদ্য হিসেবে ফুল হতে গ্রহনকৃত মধু ভক্ষণ করে।
- মৌমাছি উড়ে বেড়ায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পা দিয়ে হাঁটতে পারে।
- মৌমাছি তার নিজের প্রতিরক্ষার জন্য অন্য প্রাণীকে হুল ফুটাতে সক্ষম।
- বাঁধের ব্যথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে মৌমাছির হুল অনেক বেশি উপকারী।
- মৌমাছি সকল প্রকার ঔষধি গাছ হতে মধু সংগ্রহ করে বলে এটি অনেক রোগের মহা ঔষধ।
- রানী মৌমাছি হয় অন্যান্য মৌমাছিদের তুলনায় একটু বড় আকারের।
এগুলো হলো মৌমাছির কিছু বৈশিষ্ট্য এবং এই বৈশিষ্ট্য গুলোর মাঝে আমরা আকৃতি নিয়ম আলোচনা করেছি বিভিন্ন মৌমাছির।
আর ইহার দ্বারা এটি বোঝা যায় যে প্রত্যেকটি মৌমাছির আকার একই হয় না বরং লিঙ্গ অনুযায়ী মৌমাছির রাখার ভিন্ন হয়।
বিজ্ঞানসম্মত নাম বিভিন্ন প্রাণীর মনে রাখা আমাদেরকে দরকার কেননা ইহার মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান অনেক বেশি শক্তিশালী হয়।
শেষ কথা:
মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম কি এবং মৌমাছির বৈশিষ্ট্য নিয়ে উপরে বিশেষ কিছু জ্ঞান প্রদান করেছি এই পোস্টটিতে। আর অবশ্যই আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই সকল বিষয়ের উপর আপনার ধারণা রাখা অবশ্যই প্রয়োজন হবে বিজ্ঞান শাখায় করার জন্য।
আমরা অনেকেই আছে যারা মৌমাছির এই বাংলা নামটি সকলের চিনে থাকে এবং মৌমাছের কাজও জানি।
তবে এই মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে জানতাম না এবং সেই সাথে মৌমাছির বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে অবগত ছিলাম না।
মৌমাছি অবশেষে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে এবং সবচেয়ে বড় উপকার করে মধু সংগ্রহ করে। আমাদের আশেপাশে অনেক বেশি মধু রয়েছে তবে তার সীমিত পরিমানে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকায় আমরা সংগ্রহ করতে পারি না।
কিন্তু আমাদের এই কাজ সহজ করে দিয়েছে মৌমাছি এবং এই মৌমাছি সম্পর্কে অবশ্যই আমাদেরকে বিশেষ জ্ঞান রাখতে হবে।
কেননা প্রয়োজনীয়তার দিক দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নামটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।
আর গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের উত্তর যেন আপনি যথারীতি সঠিকভাবে দিতে পারেন তাই অবশ্যই বৈজ্ঞানিক নামটি মুখস্ত রাখবেন মৌমাছি। মৌমাছি অবশ্যই দুইটি রং দেয়া হয়ে থাকে প্রথমটি হচ্ছে হলুদ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে কালো এবং আরো অনেক প্রকার মৌমাছি আছে যাদের রং ভিন্ন।
আরও পড়ুন: ধানের বৈজ্ঞানিক নাম কি?