মোবাইল ফোনের জনক কে? মোবাইল ফোনের আবিষ্কার হয় কত সালে

মোবাইল ফোনের জনক কে: মোবাইল ফোনের জনক হলো মার্টিন কুপার (২৬ ডিসেম্বর ১৯২৮)। ইনি একজন মার্কিন আবিষ্কারক এবং আমেরিকান অধিবাসী।

বর্তমানে সর্বক্ষেত্রের ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন বা মোবাইল ফোন এবং এই মোবাইল ফোন সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। আর সবচেয়ে প্রথমে যে বিষয়টি মোবাইল ফোন সম্পর্কে জানা বেশি দরকার সেটি হচ্ছে এই মোবাইল ফোনের জনক কে বা কে তৈরি করেছে মোবাইল ফোন।

আর অবশ্যই আপনার জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য আমি উপরে মোবাইল ফোনের জনকের নাম উল্লেখ করেছি যা আপনাকে জ্ঞান প্রদান করবে।

এই মোবাইল ফোনের জন্য হিসেবে মার্টিন কুপারের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় এবং ইনি সর্বপ্রথম মোবাইল আবিষ্কার করেছিলেন।

মোবাইল ফোনের জনক কে
মোবাইল ফোনের জনক কে?

তবে মার্টিন কুপার সর্বপ্রথম যখন মোবাইল আবিষ্কার করেছিলেন তখন উক্ত মোবাইল ফোনে বর্তমান সময়ের মতো সুযোগ-সুবিধা ছিল না।

বর্তমান সময়ে আমরা যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি সেই মোবাইল ফোন থেকে আমরা অসংখ্য কাজ সহজে করতে পারি।

কিন্তু প্রথমে যেই মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়েছিল বা আবিষ্কার করা হয়েছিল সেটি শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্য। এবং টেলিফোন থেকে মোবাইল ফোনের রূপান্তর করার এই প্রক্রিয়াটি ছিল অনেক বেশি জটিল কেননা বড় মাপের একটি ডিভাইসকে ছোট আকৃতি প্রদান করা হয়েছিল।

আমরা তো জানলাম যে মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে ছিলেন তবে এই মোবাইল ফোন কত সালে আবিষ্কার হয়েছে এটি জানিনা।

আর অবশ্যই মোবাইল ফোন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে হলে অবশ্যই এর আবিষ্কার কত সালে তা জানতে হবে আমাদের।

মোবাইল ফোনের আবিষ্কার কত সালে

তারবিহীন বেতার তরঙ্গের দ্বারা সৃষ্ট আধুনিক যন্ত্র মোবাইল ফোনের আবিষ্কার হয় ১৯৭৩ সালে।

মোবাইল ফোন ১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম মার্টিন কুপার আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে আবিষ্কার করেন।

এ মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের পর থেকেই মোবাইল ফোনের প্রচলন অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সকল কাজ করা যাচ্ছে।

বর্তমানে আমরা মোবাইল ফোন শুধুমাত্র যোগাযোগের জন্য নয় বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য ব্যবহার করে থাকি।

আবার সেই সাথে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা ই মার্কেটিং এর মত সুবিধা উপভোগ করতে পারে এবং ঘরে বসে কেনা-বেচা করতে পারি। বর্তমানে মোবাইল ফোন আরো বেশি উন্নত হচ্ছে এবং সেই সাথে মোবাইল ফোন থেকে পাচ্ছি নিত্য নতুন সুযোগ-সুবিধা।

এই মোবাইল ফোনের প্রচার করার জন্য কোন প্রকার মার্কেটিং করা হয়নি বরং খুব সীমিত সময়ের মধ্যে খেতে অর্জন করেছিল।

আর একটি বড় যন্ত্র থেকে ছোট যন্ত্র দ্বারা সমান কাজ সম্পন্ন হলে তার চাহিদা একটু বেশি বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক।

মোবাইল আবিষ্কারের পর মানুষ অনেক বেশি সৃজনশীল মনোভাব জাগ্রত করেছিল এবং সেই সাথে চিন্তিত হয়ে পড়েছিল কিভাবে এটি বিনা তারা যোগাযোগ স্থাপন করেছে। আর এই মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের পর থেকেই আরো অনেক বিষয় উন্নতি লাভ করেছে আমাদের এই পৃথিবী এবং পৃথিবীতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি।

শেষ কথা:

মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে বা কত সালে মোবাইল ফোন আবিষ্কৃত হয়েছিল এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করা আজকের পোস্টটি সাজানো। বর্তমানে মোবাইল ফোন আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এই মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক সম্পর্কে অধিকাংশ ব্যক্তি অবগত নই।

আর অবশ্যই এই কথাটি মনে রাখবেন যে মোবাইল ফোনের আবিষ্কার কোন সাধারণ বিষয় নয় বরং এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কেননা প্রথমকার দিনের টেলিফোন ব্যবহার করা হতো যা ছিল আকারে অনেক বড় এবং সেই সাথে ছিল অনেক বেশি ব্যায় বহুল।

আর এ মোবাইল ফোনের আকৃতি এমন ভাবে ছোট করা হয়েছে এবং এত বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে যা বলার বাইরে। আর এই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এটি অবশ্যই একটি সাধারণ বিষয় হতে পারে না কেননা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেক কাজ সহজে সমাধান হয়।

আমরা যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি এর আবিষ্কার কত সালে হয়েছিল এটি জানলাম তবে টেলিফোন আরো অনেক আগে আবিষ্কার হয়েছিল।

আর মোবাইল ফোনের পূর্বে প্রায় সকল ধনী ব্যক্তিরা টেলিফোন ব্যবহার করত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য বা যোগাযোগ করার জন্য।

কিন্তু এই মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের পর এটি আমাদের মাঝে এত বেশি প্রচলিত ও সাশ্রয় হয়েছে যে সকলের হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে। আবার বর্তমানে মোবাইল ফোনকে আরো আধুনিক রুপ প্রদান করে স্মার্ট ফোনে পরিণত করা হয়েছে যার মাধ্যমে ডিজিটাল সকল কিছু উপভোগ করা যায়।

আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top