মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে: যে সকল ধাতু মাটিতে বিভিন্ন যৌগ হিসেবে পাওয়া যায় এবং এরা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষার তৈরি করতে পারে, তাদেরকে মৃৎক্ষার ধাতু বলে।
এই ধাতুগুলো প্রধানত মাটির নিচে পাওয়া যায় এবং মাটির নিচে পাওয়ার কারণে এদেরকে মৃৎ ধাতু বলা হয়।
আবার মাটির সাথে পাওয়ার সাথে সাথে এই ধাতুগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয় ক্ষার তৈরি করে বলে এদেরকে একত্রে মৃৎক্ষার ধাতু বলে।
মৌলিক পদার্থ গুলোর মধ্যে প্রায় অনেক ধরনের ধাতু রয়েছে এবং এদের মধ্যে কিছু ধাতু রয়েছে ক্ষার উৎপন্ন করতে পারে, কিন্তু মাটিতে এরা বিভিন্ন যৌগ হিসেবে উপস্থিত থাকে।
এই ধাতুগুলো অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন বিক্রিয়ায় দ্রুত অংশগ্রহণ করে।
বিশেষ করে এরা এসিডের সঙ্গে বেশি বিক্রিয়া করে থাকে এবং প্রশমন বিক্রিয়া প্রদর্শন করে অর্থাৎ লবণ পানি উৎপন্ন করে।
রসায়ন গবেষণা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে মৃৎক্ষার ধাতু ব্যবহার করা হয় এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যালে ব্যবহার করা হয়। এই ধাতুগুলোর অস্তিত্ব মাটিতে থাকে বলে এদেরকে পৃথক করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে থাকে।
কিন্তু বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এই মৃৎক্ষার ধাতুগুলো পৃথক করতে পারি। আবার ধাতুর কয়েক প্রকার শ্রেণীবিভাগের ওপর ভিত্তি করেন মৃৎক্ষার ধাতু তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য পরিদর্শন করে এবং সে অনুযায়ী বিক্রিয়া করে।
ক্ষার ধাতুর মধ্যে যে রূপ ধর্ম বিদ্যমান থাকে ঠিক অনুরূপভাবে মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে।
ক্ষার ধাতু এবং মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে তেমন কোন ধরনের বড় পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না।
পার্থক্য তো এতোটুকুই যে মাটিতে এই যৌগটি পাওয়া যায় বলে এই ক্ষার ধাতুটিকে মৃৎক্ষার বলে।
এই মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে আশা করি এই বিষয়টি নিয়ে আপনারা পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন এবং চলুন এখন আমরা জেনে নেই এই ধাতুগুলোর বৈশিষ্ট্য কিরূপ হয়। কেননা আমরা যদি এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত না হয়ে তাহলে এই ধাতুগুলো চিনবো কিভাবে।
মৃৎক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য
মৃৎক্ষার ধাতু সম্পর্কে যে তথ্যটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে এরা ইলেকট্রন ত্যাগ করতে পারে এবং সহজে অংশগ্রহণ করতে পারে।
যেকোনো ধরনের বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করার জন্য অবশ্যই চার্জ অপসারণ করতে বা চার্জ নিঃসরণ করা অনেক বেশি দরকারি হয়ে পড়ে।
এখানে মৃৎক্ষার ধাতুর কতিপয় গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো:
- মাটির মধ্যে বিভিন্ন প্রকার যৌগ হিসেবে এই ক্ষার উৎপাদনকারী ধাতু গুলোকে পাওয়া যায়।
- এদের মধ্যে ধাতুর সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এবং এরা ইলেকট্রন ত্যাগ করতে পারে।
- পানের সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে বা সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে হাইড্রোজেন গ্যাস এবং ক্ষার উৎপন্ন করতে পারে।
- ইলেকট্রন ত্যাগ করে খুব সহজে এবং বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করতে পারে সক্রিয়ভাবে।
- এই ধাতুগুলোকে বিভিন্ন যৌগ থেকে পৃথক করতে হয় এরা একক ভাবে বিদ্যমান থাকে না।
এগুলো হলো কিছু বৈশিষ্ট্য যা মৃৎক্ষার ধাতুর মধ্যে পাওয়া যায় এবং এগুলো দ্বারা খুব সহজেই মৃৎক্ষার ধাতুগুলোকে চিহ্নিত করতে পারব।
এরা সব সময় ইলেকট্রন ত্যাগ করবে এবং বিভিন্ন ধরনের বিক্রিয়া খুব সহজে অংশগ্রহণ করা যাবে।
এরা এত বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে যে যেকোন বিক্রিয়া অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে এরা খুব সহজে নিজের একটি করে অথবা কতিপয় ইলেকট্রন ত্যাগ করে ফেলে। আবার বিভিন্ন প্রকার ও সমান বিক্রিয়া ঘটানোর ক্ষেত্রে রসায়ন গবেষণার জন্য মৃৎক্ষার ধাতু ব্যবহার করা হয়।
তবে শুধুমাত্র কতিপয় ক্ষেত্রেই মৃৎক্ষার ধাতু ব্যবহার করা হয় কেননা সর্বক্ষেত্রে বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষার ধাতু ব্যবহার করা হয়।
পর্যায় সারণির গ্রুপ ২য় মোটে ছয়টি মৌল রয়েছে এবং এই ছয়টি মৌলকে একত্রে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।
এরা যেহেত ধাতু তাই সহজে ইলেকট্রন ত্যাগ করে ফেলে এবং ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক পরিণত হয় এবং বিক্রিয়া চলাতে থাকে।
আর এক্ষেত্রে এই ধাতুগুলো যেকোনো ধরনের সময় ইলেকট্রন ত্যাগ করে আর ইলেকট্রন ত্যাগও করার ফলে খুব সহজে বিক্রিয়া করতে পারে।
এগুলো হলো মৃৎক্ষার হাতুর কিছু বৈশিষ্ট্য এবং আপনারা এই বৈশিষ্ট্যগুলো দ্বারা মেদকার ধাতুকে খুব সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন।
শেষ কথা:
আজকের মত আমাদের এই পোস্টটি ছিল এ পর্যন্ত এবং এখানে আমরা মৃৎক্ষার ধাতু কাকে বলে এ বিষয়টির উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আবার সেই সাথে এই ধাতুগুলোর বৈশিষ্ট্য কিরূপ সে সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছে।
আশা করে আপনারা এখন থেকে এই ধাতুগুলো খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন এবং ধাতুগুলোর সকল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত হবেন।
এই ধাতুগুলো রসায়ন গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় এবং এজন্য আমাদেরকে এই ধাতুগুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখা উচিত।
এই ধাতুগুলোর চেনার জন্য আরো অনেক প্রকার নিয়ম রয়েছে বা সমাধান রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা এ ধাতুগুলো চিহ্নিত করতে পারবো এবং সুখ সহজে এ ধাতুগুলো আইডেন্টিফাই করতে পারব।
সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো এ ধাতু গুলো কখনো একা পাওয়া যায় না বরং এগুলো আয়ন হিসেবে পাওয়া যায় মাটির মধ্যে।
রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে রসায়নের এই মৌল গুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন।
আবার বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নে আমরা এই ধরনের মৌলগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন পেয়ে থাকে এবং আশা করি এখন থেকে আপনারা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবেন। পর্যায় সারণির গ্রুপ ২ এ যে ছয়টি মৌল রয়েছে সেই ছয়টি মৌলগুলো মুখস্ত করে নিবেন।
কেননা এ মৌলগুলোই হল মৃৎক্ষার ধাতু এবং এই ধাতুর উদাহরণ কোন প্রশ্ন চাইলে আপনি এই উত্তরটি দিবেন।
আপনার উত্তর সঠিক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এই ছয়টি মৌল মুখস্ত করে নিতে হবে।
এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ এবং পোস্টে ভালোভাবে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক বেশি অভিনন্দন।
আরও পড়ুন: ক্ষার ধাতু কাকে বলে?