মুশরিক কাকে বলে: যে শিরক করে তাকে মুশরিক বলে। আল্লাহ তায়ালার সাথে শিরক তিন প্রকার হয়ে থাকে এবং এর একটি অনুসরণ করলে মুশরিক হওয়া যায়। মুশরিক বা শিরক করা অবশ্যই একটি দন্ডনীয় অপরাধ যা আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন আমি সকল প্রকার গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রদান করতে পারি কিন্তু শিরকের গুনাহ মাফ করতে পারিনা।
কোন বস্তু বা মানুষ বা কথাবার্তার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত কারী ব্যক্তিকে মুশরিক বলা হয়।
অনেকেই আছেন যারা বুঝতে না পেরে শিরিক করে বসেন এবং এর ক্ষেত্র সমান পাপ হয়ে থাকে। উদাহরণ: কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করল এই কলমটি কার এবং আপনি উত্তরে বললেন এই কলমটি আমার।
এটি একটি শিরক দ্বারা লিপ্ত কথা কেননা কলমটি আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দিয়েছেন এভাবে বলতে হবে।
আমরা অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বস্তুকে নিজের বলে দাবি করে থাকি এবং এটি অবশ্যই শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
কেননা আল্লাহ তায়ালা যদি না চায় তো তাহলে আপনাকে সেই বস্তুর মালিক না বানাতে পারতো।
এই সকল বিষয়ের উপর একমাত্র বিবেচনাকারী এবং প্রদানকারী মালিক হলেন সেই মহান রাব্বুল আলামিন।
আর আমাদের সৃষ্টিকর্তা যেহেতু আমাদেরকে উক্ত বস্তুর মালিক বানিয়েছেন তাই আমাদেরকে এটি বলতে হবে। আমাদের বলা উচিত ছিল আল্লাহর আদেশে আমি এই বস্তুর মালিক হয়েছে এবং পরবর্তীতে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে এর মালিক বানাতে পারেন।
আর এভাবে কথা বলার মাধ্যমে আমরা শিরক থেকে মুক্ত হতে পারে এবং শিরকের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
তাই আমাদেরকে কথা ঠিকমত বলতে হবে যেন কথা দিয়ে শিরক না হয় কেননা এটি ক্ষমার অযোগ্য পাপ বা ক্ষমা নেই।
মুশরিক কারা?
মুশরিক কারা এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো যারা শিরক করে তারাই হচ্ছে মুশরিক। শিরক করা অবশ্যই একটি দণ্ডনীয় অপরাধ এবং আল্লাহ তা’আলা নিকট এটি সর্বদাই অপছন্দনীয় কাজ। কেউ মুশরিক না মুসলমান এ বিষয়ে কোন ধারণা আমাদের মাঝে নেই কেননা এগুলো অন্তরের বিষয়।
আল্লাহ তাআলা কাকে মুশরিক হিসেবে গণ্য করেছেন আর কাকে মুসলমান হিসেবে গণ্য করেছেন তা একমাত্র আল্লাহর হাতে।
অবশ্যই আমাদের সমাজে বিভিন্ন প্রকার মানুষ রয়েছে যারা শিরকে লিপ্ত রয়েছেন এবং আচরণ দ্বারা সেটা প্রকাশ পায়।
তবে শিরক করে কে মুশরিক লিপ্ত হয়ে পড়েছে এ বিষয়ের উপর আমাদেরকে বেশি তদন্ত ও চিন্তা ভাবনা করা যাবে না। কেননা অন্যকে মুশফিক বলে দাবি করার পূর্বে প্রথমে নিজেকে ঈমানদার করতে হবে এবং ঈমানদার হলে অন্যের খোঁচা দিতে যাবে না।
তাই আপনাকে সর্বদা চেষ্টা করতে হবে ঈমানদার হওয়ার জন্য এবং বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে মুশরিক নিয়ে।
কাউকে মুশরিক বলা থেকে বিরত থাকা শুধু নয় বরং সাথে মুশরিকের সৃষ্ট পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে কল্যাণের জন্য।
শেষ কথা:
মুশরিক কাকে বলে এবং মুশরিক কারা এ বিষয়টি নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছিল। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা মুশরিক সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন কিছুটা হলেও।
তবে অবশ্যই আমি বলব আপনারা কখনোই যেন কোন কথাবার্তার মাধ্যমে শিরকে লিপ্ত না হন।
শিরক হচ্ছে এমন একটি অপরাধ যার গুনাহ হয় এত বেশি হয়ে থাকে যে আল্লাহ তা’আলা নিজে এটি মাফ করেন না।
আমরা সকলে জানি যে আল্লাহ তা’আলা কত ক্ষমাশীল এবং বান্দার উপর কত বেশি রহমত নাযিল করেন।
আর এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা না খোঁজ করে দিয়েছেন মাফ করার ক্ষেত্রে তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে এই অপরাধ অনেক বেশি। যেহেতু শিরক করার অপরাধ অনেক বেশি সুতরাং অবশ্যই আমাদেরকে এই সকল পাপ কাজ বিরত থাকতে হবে।
ধন্যবাদ মুশরিক সম্পর্কে তৈরি করা আজকের আমাদের এই তথ্যপূর্ণ পোস্টটিতে মুশরিকের তথ্য জানতে আসার জন্য।
আর অবশ্যই আপনার আসা আমাদের পোস্টে সার্থক হয়েছে কেননা এখানে আপনি মুশরিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: কাফের কাকে বলে?