মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে ফেসপ্যাক, হলুদ, টমেটো, মধু, দুধ, কলা, লেবু, গ্রিন টি বা সবুজ চা, বেসনের প্যাক, নারিকেল, আলু এবং গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি মুখের উজ্জ্বলতা চিরতরে ধরে রাখার জন্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লাভের জন্য এই সকল উপায় অবলম্বন করতে পারেন। সর্বক্ষেত্রে মুখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা অতি ভালো।

কেননা ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লাভ করা যায় এবং সেই সাথে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায়।
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
মুখের উজ্জ্বলতার ক্ষেত্রে যে সকল উপায় ও অবলম্বন করা যায় সেগুলোর নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. ফেসপ্যাক
মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসপ্যাক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফেসপ্যাক নানা প্রকার হয়ে থাকে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারে ফেসপ্যাক হল বেসন এবং বাদামের ফেসপ্যাক।
আবার ফেসপ্যাক এর মধ্যে মধু, দুধ এবং কলা এই তিনটি মিলে ফেসপ্যাক হচ্ছে অনেক উপকারী। মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসপ্যাক এর উপকারিতা অনেক বেশি হয়ে থাকে।
ফেসপ্যাক এর উপকারিতা:
ফেসপ্যাক এর ভিটামিন সমূহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে যেমন ত্বক জ্বলে যাওয়া। আবার ফেসপ্যাক এর মাধ্যমে মুখের কালো দাগ গুলো ফেসপ্যাক এর সঙ্গে মিশে যায়। আর মিশে যাওয়ার ফলে কালো দাগ গুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং সেইসাথে মুখ উজ্জ্বল হয়।
২. হলুদ
হলুদ হচ্ছে মুখের জন্য প্রাকৃতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ উজ্জ্বলতার রহস্য। প্রায় প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে কন্যা এবং বরকে হলুদ মাখানো হয়ে যেন বিয়ের দিন সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পায়। আর এই হলুদ শরীরে লাগানোর ফলে হলুদে থাকে শরীরে যাবতীয় কালো দাগ মিশিয়ে দেয়।
হলুদের থাকা মাল্টিভিটামিন মানুষের শরীরের অথবা ত্বকের কালো চামড়া দূর করে দেয়। আর সেই সাথে ভিতরের সাদা চামড়া উপরে নিয়ে আসে ফলে মানুষ উজ্জ্বল হয়ে যায়।
হলুদের উপকারিতা
হলুদে আছে মাল্টিভিটামিন এবং উপকারী কিছু এসিড যার দ্বারা তো নরম এবং উজ্জ্বল হয়। রোদে অত্যাধিক সময় কাটানোর ফলে ত্বক জ্বলে যায় এবং এই জ্বলে যাওয়া তো ঠিক করার ক্ষেত্রে হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. টমেটো
টমেটো সাধারণত খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হলেও এটি প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্য এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। টমেটো চাকটি আকারে কাটার পর পুরো মুখে অন্যান্য অঙ্গে লাগানোর ফলে সেখানের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
টমেটোর উপকারিতা
ত্বকের ক্ষেত্রে টমেটোতে রয়েছে উপকারি কিছু এসিড যার ফলে ত্বকের কালো দাগ এসিডের মাধ্যমে দূর হয়ে যায়।
আর এসিডের মাধ্যমে কালো দাগ দূর হওয়ার ফলে মুখের উজ্জ্বলতা স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ফর্সা হয়।
৪. মধু, দুধ, কলা
মধু দুধ এবং কলা এই তিনটি একত্রে করে ফেসপ্যাক তৈরি করা হয় এবং এই ফেসপ্যাকটি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকার হয়। এর মাধ্যমে দুধে থাকা উজ্জ্বল বর্ণের সকল উপাদান মুখের কালো দাগ সঙ্গে মিশে গিয়ে উজ্জ্বল করে ফেলে।
দুধে থাকা মাল্টিভিটামিন ত্বক নরম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।
মধু ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারে যার ফলে ত্বকের যে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দূর করে।
৫. বেসনের প্যাক এবং গোলাপ জল
বর্তমানে প্রত্যেক নারীর উজ্জ্বলতার রহস্য হিসেবে বেসনের প্যাক মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তবে অনেকেই জানেনা যে বেসনের প্যাকে কেন ব্যবহার করা হয়।
বেসনের প্যাক ব্যবহারের ফলে বেসন শরীরে থাকা কাল সকল স্পটের সঙ্গে মিশে যায়।
বেসন যখন কালো স্পটের সঙ্গে মিশে যায় তখন স্বাভাবিকভাবে কালো দাগ গুলো সাদা হয়ে যায়।
আর সাদা হয়ে যাওয়ার ফলে মুখ ও ত্বক এবং সকল অঙ্গ উজ্জ্বল হয়।
বেসনের প্যাক তৈরি করতে গোলাপের জল ব্যবহার করা অনেক বেশি ভালো।
বেসনের প্যাক এর সাথে গোলাপের জল ব্যবহারের ফলে ত্বক অনেক বেশি নরম ও নমনীয় হয়।
উপকারিতা:
উপকারিতার দিক দিয়ে বেসন শুধুমাত্র ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং এতে কোন প্রকার উপকার ভিটামিন থাকে না।
তবে গোলাপ জলে উপকারে সকল প্রকার উপকরণ থাকে যার ফলে তখন অনেক বেশি নরম এবং আকর্ষণীয় হয়।
৬. নারিকেল, আলু
নারিকেল হচ্ছে তোকে এর জন্য অনেক বেশি উপকারে একটি উপকরণ। নারিকেল এর মাধ্যমে শরীরে তেলের অভাব পূর্ণ হয় এবং শরীর নরম ও নমনীয় হয়।
নরম এবং নমনীয় হওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক ভাবে বৃদ্ধি পায়।
আলু হচ্ছে অনেক বেশি ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি যা অনেকদিন আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আলোতে থাকা এসিড শরীরের প্রত্যেকটি কালো দাগ সঙ্গে বিক্রিয়া করে কালো দাগ দূর করে ফেলে।
সেই সাথে কালো চামড়া দূর করে উজ্জ্বল চামড়া প্রদান করে।
উপকারিতা:
উপকারিতার দিক দিয়ে নারীকেল ত্বকে কে নরম নমনীয় এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
অন্যদিকে আলো ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং উজ্জ্বল বর্ণ প্রদান করে থাকে।
আরও পড়ুন: মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়।