মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ কে: মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হলেন ছাত্রলীগের নেতা ফারুক ইকবাল (শহীদ হওয়ার তিন মার্চ ১৯৭১ সালে)। দেশের জন্য প্রথম রক্ত দিয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের এই মহান নেতা এবং এইভাবে সূত্রপাত ঘটে একের পর এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার।
আমরা সকলে জানি যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে মুক্তিযুদ্ধ করার মাধ্যমে এবং এই যুদ্ধে অনেকেই নিজের রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছে।
তবে, অনেকেই জানতাম না যে কে সর্বপ্রথম নিজের রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ করা অবস্থায় এবং দেশ রক্ষার সময়।
তিনি ছিলেন একজন নেতা ছাত্রলীগের এবং তিনি তিনার সাহসিকতার পরিচয় নিজের জীবন দিয়ে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন দেশের জন্য।

আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নাম শুনে থাকব, জিনারা নিজের জীবনে ঝুঁকি নিয়ে দেশের প্রেমে যুদ্ধ করেছিল। দেশ রক্ষা করার জন্য এবং নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করার জন্য অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ প্রয়োজন ছিল যা দেশ প্রেমিকদের দ্বারা সংঘটিত হয়।
দেশপ্রেমিক ছাড়া কখনোই যুদ্ধ জয় করা যেত না এবং এটি দ্বারা বোঝা যায় আমাদের দেশে শ্রেষ্ঠ দেশ প্রেমিক অনেক রয়েছে।
আমাদের দেশের সকলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল এমন নয় বরং যাদের অন্তরে দেশপ্রেম ছিল তারাই মুক্তিযুদ্ধ করেছিল।
আর অনেকেই আছেন যারা দেশপ্রেমের এই সাহসিকতা অন্তরে নেওয়ার পর নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন দেশের মমতায়।
মুক্তিযুদ্ধে শেষ শহীদ কে?
মুক্তিযুদ্ধের শেষ শহীদ হলেন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (ইনাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি বা খেতাব দেওয়া হয়েছিল)। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে সর্বশেষে শহীদের মৃত্যুবরণ করেছেন এবং ইনার মৃত্যুর পর আমাদের দেশ স্বাধীন হয়।
আমরা ইতিমধ্যে সকলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানতাম এবং এই প্রশ্নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সহায়তা শেষ শহীদ সম্পর্কে জানলাম।
মুক্তিযুদ্ধে যতগুলো শহীদ হয়ে গিয়েছিল তাদের মধ্যে দুইজনের নাম আমরা সহজে বলতে পারব কেননা এরা প্রথম ও শেষ শহীদ ছিল।
আর দেশের জন্য সর্বশেষে যিনি নিজের জীবন বিলীন করে দিয়েছিল তিনি বীরশ্রেষ্ঠের খেতাব অর্জন করেছিলেন যা সর্বোচ্চ খেতাব। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য সর্বশেষ যিনি শহীদ হয়েছিলেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব অর্থাৎ বীরশ্রেষ্ঠের খেতাব পেয়েছিলেন দেশ থেকে।
দেশের জন্য যুদ্ধ করে এবং যুদ্ধে শহীদ হয় বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব অর্জন করেছে এর চেয়ে মহৎ পরিচয় কি হতে পারে দেশপ্রেমের।
ইনাদের মত দেশপ্রেম ও দেশপ্রেমিককে বর্তমানে আমরা খুঁজতে গেলে পেয়ে যাব এবং এটি সর্বদাই আমাদেরকে অনুপ্রেরিত করে দেশপ্রেমের বিষয়।
উপসংহার:
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদি কে এবং মুক্তিযুদ্ধের শেষ শহীদ কে ছিলেন এ বিষয়ের উপর দুইজন মহৎ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছে।
আর যুদ্ধ নিয়ে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে কেননা এটি আমাদের স্বাধীনতার মূল ছিল, যার ফলে আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারছি।
আমরা যাদের ত্যাগের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ শহীদের নাম উল্লেখ করেছি। আর অবশ্যই ইনাদের মধ্যে ছিল দেশের জন্য বিরাট মমতা, যে মমতা এদেরকে দেশের যুদ্ধ করার জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে বাধা প্রাপ্ত করেনি।
আর এরাই ছিল শ্রেষ্ঠ বাঙালি যারা বাংলাদেশের জন্য নিজের মমতাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিল এবং জীবনকে দিয়েছিল কম।
আর জীবনকে কম প্রাধান্য দেওয়ার কারণেই বাংলাদেশ বর্তমানে স্বাধীন হয়েছে তাদের রক্ত জমিতে ফেলার মাধ্যমে।
বিভিন্ন সময় আমাদেরকে অনেকে প্রশ্ন করতে পারে যে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে সর্বপ্রথম কে শহীদ হয়েছিল। অথবা প্রশ্নটি আরেকভাবে করতে পারে যে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে সর্বশেষ নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিল দেশের জন্য।
আর এ প্রশ্নের উত্তর যেন আপনি যথাযথভাবে দিতে পারেন সেজন্য আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম ও শেষ শহীদের নাম বলে দিয়েছি।
ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ ও শেষ শহীদ নিয়ে আমাদের তৈরি করা এই পোস্টটির মধ্যে জ্ঞান অর্জন করতে প্রবেশ করার জন্য।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব কি?