মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কি? মানুষের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিন্যাস 

মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কি: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Homo Sapiens (হোমো স্যাপিয়েন্স)। মানুষের গণ হলো হোমো এবং প্রজাতি হলো স্যাপিয়েন্স। মানুষের গণ ও প্রজাতি উভয় মিলে এর বৈজ্ঞানিক নাম রাখা হয় হোমো স্যাপিয়েন্স।

বিশাল বুদ্ধিমত্তা, আধুনিকরণ, অন্তরীকরণ এবং পরিবর্তন সহ নানা কাজে আমরা জড়িয়ে আছি মানুষ। মানুষ হচ্ছে একটি অদ্ভুত প্রাণী, যদি আমরা এটিকে অন্যান্য প্রাণীদের সাথে তুলনা করি। কেননা অন্যান্য সকল প্রাণী মানুষের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়, তবুও তারা মানুষের বুদ্ধির কাছে হেরে যায়। আর এই মানুষ নানা কিছু আবিষ্কারের জন্য নিজের উপরেও গবেষণা চালিয়েছে।

মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কি
মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কি?

বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা চলাকালীন মানুষ একটি বৈজ্ঞানিক নাম ও শ্রেণীবিন্যাস প্রবর্তন করেন। যেখানে মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো হোমো স্যাপিয়েন্স।

এগুলো তো হলো মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কিন্তু বিভিন্ন ব্যবহারিক পরীক্ষায় মানুষের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিন্যাস লিখতে বলতে পারে। আর আপনি যেন এই সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিয়ে আপনার ব্যবহারিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভ করতে পারেন তাই নিচে এ বিষয়ে আলোচনা করব।

তবে আপনাকে যে শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য গুলো উপভোগ লিখতে হবে এমনটা না বরং যেগুলো মানুষের সাথে মিল রয়েছে এগুলো লিখলেই হয়ে যাবে। কেননা যদি আপনি বইয়ের সাথে মিলিয়ে লেখেন তাহলে দেখা যাবে সেক্ষেত্রে আপনার সৃজনশীলতা কম বলে বিবেচনা করবে শিক্ষক।

মানুষের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য

মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর চলুন এবার আমাদেরকে যে বিষয়টির লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি হচ্ছে শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য। তবে আমি যেগুলো বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছি সেগুলো বইয়ে নাই বরং এগুলো নিজস্ব মনোভাব দিয়ে তৈরি করা।

আপনিও যখন আপনার ব্যবহারিক পরীক্ষায় মানুষের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করবেন তখন অবশ্যই নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে উল্লেখ করবেন। কেননা ইহাতে শিক্ষক আপনার সৃজনশীল মনোভাবের উপর বেশি আকৃষ্ট হবে এবং আপনাকে উপযুক্ত নম্বর দিবে।

নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু মানুষের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য সমূহ বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হলো:

  • বৈশিষ্ট্য ভেদে মানুষ দুই প্রকার, একটি হলো পুরুষ এবং অন্যটি হলো মহিলা।
  • মানুষের মস্তিষ্ক হচ্ছে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং স্মৃতিশক্তি প্রখর ও দৃঢ়।
  • মানুষের পুরো শরীরে প্রায় লোম দেখা দেয়, তবে তা দিয়ে শরীর ঢাকা যায় না।
  • বয়স ভেদে মানুষের রূপ, শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তন ঘটতে থাকে।
  • মানুষ বেশি শক্তিশালী নয় তুলনামূলক অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে, তবে বুদ্ধিমান বেশি।
  • মানুষের রয়েছে নিজস্ব চেতনা ও চিন্তাশক্তি, যা দ্বারা পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
  • মানুষের রয়েছে প্রেরণা, আবেগ, সংকল্প, ইচ্ছা এবং অনিচ্ছা ইত্যাদি।
  • মানুষের মাঝে রয়েছে আবার নিজস্ব ভাষার প্রচলন।
  • মানুষের রয়েছে নির্দিষ্ট আচার-আচরণ, যা পরিবেশের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়।
  • অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ শান্ত প্রকৃতির একটি বুদ্ধিমান প্রাণী।

এগুলো হলো মানুষের কিছু শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। আর আপনাকে যদি কোন ব্যাপারে পরীক্ষায় মানুষের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য লিখতে পারে তাহলে অবশ্যই আপনি আমাদের দেওয়া বৈশিষ্ট্য গুলো লিখতে পারেন।

আবার সেই সাথে আপনি আপনার সৃজনশীল মনোভাব ব্যবহার করে উপযুক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করে সনাক্ত করতে পারেন।

আর যখন আপনি নিজের মেধা লিখবেন এবং সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলবেন তখন এক্ষেত্রে শিক্ষক আপনার উপর গ্রহণযোগ্যতা বেশি দিবে।

মানুষের বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস

মানুষের বিজ্ঞানসম্মত সকল কিছু সম্পর্কে অবগত হতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে এর শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে অবগত হতে হবে। অর্থাৎ মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কি এর উপর পরিপূর্ণ আলোকপাত করতে গেলে আমাদের মাঝে মানুষের শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে আলোচনা চলে আসে।

বৈজ্ঞানিকভাবে শ্রেণীবিন্যাস করার মাধ্যমে মানুষকে বিভিন্ন গণপ্রজাতি পরিবার ও অন্যান্য সদস্য ভাগ করেছে। মানুষের বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসটি হলো:

  • জগৎ: প্রাণী জগৎ (Animal Kingdom)।
  • পর্ব: কর্ডাটা পর্ব (Cordata)।
  • শ্রেণী: স্তন্যপায়ী প্রাণী (Mammal Animals)।
  • বর্গ: প্রাইমেট (primate)।
  • পরিবার: হোমিনিডি (Hominidae)।
  • উপপরিবার: হোমিনিন (Hominin)।
  • গোত্র: হোমিনিন (Hominin)।
  • গণ: হোমো (Homo)।
  • প্রজাতি: এইচ. স্যাপিয়েন্স (H. Sapiens)।

এগুলো হলো মানুষের কিছু শ্রেণীবিন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক ভাবে মানুষকে এইরকম ভাবে বিভিন্ন ছেলেদের বিভক্ত করা হয়েছে।

আর এইভাবে শ্রেণীবিভক্ত করার মাধ্যমে আমরা মানুষের যাবতীয় গোত্র বর্ণ সকল কিছু সম্পর্কে জানতে পারি এবং অবগত হতে পারি।

মানুষের শ্রেণীবিন্যাসের সর্বশেষে আমরা গণ এবং প্রজাতির নাম উল্লেখ করেছি এবং ইহার ধারায় বৈজ্ঞানিক নাম লেখা হয়। অর্থাৎ মানুষের শ্রেণীবিন্যাস থেকে আমরা খুব সহজে মানুষের বৈজ্ঞানিক নামটি তৈরি করে মুখস্ত করে রাখতে পারব খুব সহজে।

আরও পড়ুন: মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top