মাঠ ফসল কাকে বলে: যে সকল শস্য বা ফসল সমূহকে মাঠে কিংবা জমিতে চাষ করা হয় তাদেরকে মাঠ ফসল বলে। অর্থাৎ আমরা চাষযোগ্য জমিতে জমিকে উর্বর করার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে থাকে এবং এই ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে মাঠ ফসল।
এই মাঠ ফসল হচ্ছে বর্তমানে আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি চাষযোগ্য ফসল এবং লাভজনকভাবে উৎপাদন করা হয় বেশি। আর মাঠ ফসলের মধ্যে যতগুলো ফসল পড়ে তার মধ্যে প্রত্যেকটি ফসল আমাদের দেশের জন্য অর্থকারী ভূমিকা পালন করে।

শাকসবজি সহ আমরা যতগুলো উদ্ভিদ এবং শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপাদনকারী ফসল দেখতে পায় তার বেশিরভাগ মাঠ ফসল। আর মাঠ ফসলের একসঙ্গে অধিক উৎপাদন করা যায় এবং সেই সাথে নির্দিষ্ট একটি জমি চাষ করার মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করা যায় খাদ্যের।
মাঠ ফসল আবার বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে এবং আমাদেরকে এখন মাঠ ফসলের এই সকল প্রকারভে তো বৈশিষ্ট্য নিতে হবে।
আর তাই আমরা মাঠ ফসলের কিছু বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদগুলো আলোচনা করব যেন আপনি মাঠ ফসল সম্পর্কে জানতে পারেন।
মাঠ ফসলের বৈশিষ্ট্য এবং প্রকারভেদ
আমরা প্রথমত জানার চেষ্টা করব যে মাঠ ফসলের প্রকারভেদ কয়টি এবং এই প্রকারভেদ গুলো দ্বারা বৈশিষ্ট্য হবে। অর্থাৎ আমরা যদি মারফত সালের প্রকারভেদ গুলো জানতে পারে তাহলে আমাদেরকে আর এর বৈশিষ্ট্য আলাদাভাবে জানতে হবে না মাঠ ফসলের।
তাই আমাদেরকে এখন সকলের উচিত হবে মাঠ ফসলের প্রকারভেদ গুলো জানার বা কয়টি মাঠ ফসল আছে।
আমরা মাঠে যে সকল ফসল আবাদ করি তার প্রত্যেকটি বিভিন্ন কারণে ও বৈশিষ্ট্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে এবং চাষে ভিন্ন হয়েছে।
নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু মাঠ ফসলের প্রকারভেদ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:
- দানা জাতীয় মাঠ ফসল।
- তেল জাতীয় মাঠ ফসল।
- চিনি জাতীয় মাঠ ফসল।
- ডাল জাতীয় মাঠ ফসল।
- আঁশ জাতীয় মাঠ ফসল।
- পশু খাদ্য জাতীয় মাঠ ফসল।
এগুলো ছিল মাঠ ফসলের কিছু প্রকারভেদ এবং এই প্রকারভেদ গুলো ফসলের উপর ভিত্তি করা হয়েছে। অর্থাৎ মাঠ ফসল বিভিন্ন প্রকারের রয়েছে এবং এই মাঠ ফসলের নামের উপর ও চাষের উপর ভিত্তি করে এ সকল প্রকারভেদ হয়েছে।
নিচে মাঠ ফসলের প্রকারভেদগুলোর উদাহরণ দেওয়া হলো:
- দানা জাতীয় মাঠ ফসল গুলো হলো: ধান, গম, ভুট্টা।
- তেল জাতীয় মাঠ ফসল গুলো হলো: সরিষা, তিল, তিসি এবং সয়াবিন।
- চিনি জাতীয় মাঠ ফসল গুলো হলো: সুগারবিট, চিনি এবং গুড়।
- ডাল জাতীয় মাঠ ফসল গুলো হলো: মসুর,মুগ,ছোলা এবং কালাই।
- আঁশ জাতীয় মাঠ ফসল গুলো হলো: পাঠ, তুলা ইত্যাদি ।
- পশু খাদ্য জাতীয় মাঠ ফসল গুলো হলো: প্যারা, নেপিয়ার ঘাস ।
আপনারা দানা জাতীয় এবং ডাল জাতীয় খাদ্যের মধ্যে পার্থক্য খুব ভালোভাবে পড়ে নিবেন।কেননা মসুর ছোলা কালাই এগুলো আপনাকে দানা জাতীয় খাদ্য হিসেবে মনে হতে পারে কিন্তু এগুলো দানা জাতীয় খাদ্য নয় এগুলো হচ্ছে ডাল জাতীয় খাদ্য।
এ সকল খাদ্যের মধ্যে দানা আছে তাই বলেএ সকল খাদ্য যে দানাদার খাদ্য হবে তার ধারণা রাখাটা ভুল।
আপনারা যদি এ সকল খাদ্যকে দানাদার খাদ্য মনে করেন এবং টিক চিহ্নে দাগিয়ে থাকেন তাহলে আপনার টিক চিহ্ন ভুল হবে।
মাঠ ফসলের গুরুত্ব
আমাদের জীবনে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে মাঠ ফসলের গুরুত্ব বহুমুখী। আমরা যদি উদ্যান ফসল না চাষ করে শুধুমাত্র মাঠ ফসল চাষ করি তবুও আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এটি যথেষ্ট হবে । উদ্যান ফসল চাষের ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম-কানুনের প্রয়োজন হয় মাঠ ফসল চাষের ক্ষেত্রে সে সকল নিয়ম কানুনের প্রয়োজন হয় না।
উদ্যান ফসলের তুলনায় মাঠ ফসল হচ্ছে বৃহত্তর অর্থাৎ অনেক এলাকা জুড়ে বা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ করা হয়ে থাকে।
মাঠ ফসল পরিপূর্ণ খাদ্যের চাহিদা, পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদান করে, শুধু মানুষ না পশুপাখির খাদ্য এই মাঠ ফসলে সরবরাহ হয়।
বাণিজ্যিক উন্নতি সাধনের সহায়তা করে। তেল থেকে ভদ্র খাবার প্রস্তুত হয়। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করে এবং বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রায় কৃষির মাধ্যমে উপার্জন করা যায়।
আরও পড়ুন: কৃষি ঋণ কি?