মক্কা শরীফের পূর্ব নাম কি: বাক্কা হলো মক্কা শরীফের পূর্ব নাম আর এই বাক্কা নামে মক্কা শরীফকে পূর্বে ডাকা হতো। মহান আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামের সাথে মিল রেখে এই নগরীর নাম বাক্কা থেকে মক্কা রাখেন।
মোহাম্মদ এর মিম অক্ষরটি বাক্কা এর সাথে যুক্ত হয় বাক্কা এর বা অক্ষরকে বাদ দিয়ে মিম করে মক্কা করা হয়।
আর মক্কা হলো নিরাপত্তার নগরী যা মহান আল্লাহ তা’আলা নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। আর মহান আল্লাহ তায়ালা এই মক্কা নগরীকে তিনার নিজের কুদরতে অর্থাৎ নিজেই নিরাপত্তা দান করেছেন। আর এ কারণে সৃষ্টিলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত বা এখন পর্যন্ত কারো পক্ষে মক্কাকে দখল করা সম্ভব হয়নি এবং কেউ দখল করতে পারেনি।
এই মক্কা নগরী হলো সেই স্থান যেখানে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

আর তিনি নবুয়ত পেয়েছিলেন এই মক্কা নগরীতে উপস্থিত থেকেই এবং এই নগরীর মধ্যে থেকে তিনার উপর বহু সূরা নাযিল করা হয়েছিল। আর এই মক্কা হলো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান এবং পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দামি স্থান।
আর এই মক্কা নগরের মধ্যে উপস্থিত মক্কা শরীফের দিকে কিবলা করে পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান নামাজ আদায় করে থাকেন।
কিবলা জানা সত্ত্বেও মক্কার দিকে কিবলা না করে অন্য দিকে কিবলা করে নামাজ আদায় করলে সেই নামাজ কবুল হবে না।
আর এই মক্কা শরীফ হলো পৃথিবীর সর্বপ্রথম মসজিদ আর পৃথিবীর মধ্যে উপস্থিত সবচেয়ে দামি এবং সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ।
ইসলামিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী মক্কা নগরী পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত আর তার কেন্দ্র হচ্ছে মক্কা শরীফ।
যার অর্থ হল পৃথিবীর মধ্যভাগ হলো এই মক্কা শরীফ এবং পৃথিবীর মাঝখানে স্থানে মক্কা শরীফে অবস্থিত।
মক্কার অবস্থান কোথায়?
সৌদি আরব দেশের মধ্যে উপস্থিত হেজাজ নামক শহরে মক্কা শরীফের বা মক্কা শহরের অবস্থান এবং মক্কা প্রদেশের রাজধানী।
আর বলা হয়ে থাকে মক্কা আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, বিভিন্ন বিষয় দ্বারা কথাটি বর্ণনা করে থাকে মক্কা পৃথিবীর মধ্যস্তরে অবস্থিত।
তবে মক্কার অবস্থান সৌদি আরব দেশের মধ্যে যেটি আমাদের বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশে নয় ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, সহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এই মক্কা শহরের অবস্থান হচ্ছে পশ্চিম দিকে।
আর যেহেতু মক্কা শরীফের অবস্থান যেদিকে হবে সেদিকেইটি হবে কিবলার দিক তার জন্য বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষ পশ্চিম দিকে কিবলা করে নামাজ কায়েম করে থাকে বা নামাজ আদায় করে থাকে।
আর এই পশ্চিম দিকটি হচ্ছে আমাদের কিবলার দিক অর্থাৎ কাবা শরীফের দিক।
এই কাবা শরীফের দিক থেকে যারা উত্তর দিকে অবস্থিত তারা কাবা শরীফের দিকে দিক করে কিবলা করে নামাজ আদায় করে।
শেষ কথা:
কাবা শরীফ হলো এই পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান এবং সবচেয়ে সম্মানীয় স্থান যার সম্মান প্রত্যেকটি মুসলমানের বুকের ভিতর প্রত্যেকটি মুসলমানের মনের ভিতর প্রত্যেকটি মুসলমানের শিরায় শিরায় থাকে।
কাবা শরীফের সম্মান মুসলমানদের জীবনের থেকেও বেশি মুসলমানরা তাদের জীবন দিয়ে হলো কাবা শরীফকে কোন ক্ষতি হতে দিবে না।
মক্কা শরীফের পূর্ব নাম কি উত্তর পাওয়ায় বুঝতে পেরেছেন মক্কার পূর্ব নাম কি ছিল এবং কেন নাম মক্কা করা হয়েছে।
আর কার জন্য এই নামটি করা হয়েছে বা কার সম্মানের জন্য এই নামটি করা হয়েছে আর কেন করা হয়েছে?
আর এই মক্কা নামটি যেহেতু আমাদের প্রিয়নবীর নাম থেকে এসেছে তাই আপনি তো বুঝতেই পারতেছেন যে মক্কার সম্মান মুসলমান মুসলমানদের কার সামনে কিরূপ হওয়া উচিত, আর তারা কি পরিমানে সম্মান করে তাদের এই পবিত্র মক্কাকে।
প্রতিবছর বিলিয়ন পরিমান মানুষ যায় মক্কা শরীফে শুধুমাত্র হজ্জ করার জন্য এবং এই কাবা শরীফকে একনজর দেখার জন্য।
কাবা শরীফ তাওয়াফ করার জন্য এবং প্রিয় নবী মুহাম্মদ সা: এর রোজার পাশে গিয়ে বা কাছে গিয়ে সালাম জানানোর জন্য।
শুধুমাত্র সওয়াব লাভে প্রতিবছর বহু মানুষ টাকা খরচা করে যায় এবং এখানে তাদের কাঙ্ক্ষিত সওয়াব আল্লাহর কাছে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: রিয়াদ থেকে মক্কা কত কিলোমিটার?