ভিডিও কনফারেন্সিং কী: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগের সময় এবং খরচ বাচিয়ে দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করা একাধিক ব্যক্তির মধ্যে সভা অথবা অনুষ্ঠান পরিচালনায় আধুনিকতম পদ্ধতি হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সে।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর ক্ষেত্রে অডিও ও ভিডিও উভয় যন্ত্রের ব্যবহার করা হয় তথ্যের আদান-প্রদান করার উদ্দেশ্যে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীগণ দূরদূরান্ত অবস্থান করা সত্ত্বেও খুব কম খরচের দ্রুত মতামত বিনিময় করতে পারে।
বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিং হয়েছে অনেক বেশি প্রচলিত একটি সিস্টেম প্রত্যেকটি যোগাযোগের জন্য। শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে, ডাক্তার এবং রোগীর মধ্যে কথোপকথনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সিং।
আবার গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষকরা পরস্পরের সাথে যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করি এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে পরামর্শ করে। ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ক্লাস রুমের প্রয়োজন হয় না, ডাক্তারের নিকট পৌঁছাতে প্রয়োজন হয় না ঘরে বসে কাজ হয়।
ঘরে বসে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সিং এর ব্যবস্থা অনেক বেশি প্রচলিত। আধুনিকতার এই যুগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে নানা উন্নত প্রজেক্ট এর জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
বর্তমানে ব্যবসার শাখার বিভিন্ন কাজ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা প্রকার মতামত ভিডিও কনফারেন্সিং হয়ে থাকে।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জানাজায় তথ্য, জানানো যায় ইনফরমেশন এবং সাক্ষাৎ করা যায় ঘরে বসে।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর সুবিধা সমূহ
আমরা তো ভিডিও কনফারেন্সিং সম্পর্কে জানালাম তবে এই ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহারের কিছু সুবিধা রয়েছে।
যে সকল সুবিধা উপভোগ করার জন্য আমরা ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে এবং যোগাযোগ স্থাপন করে একে অপরের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে।
আর সুবিধাগুলো উপভোগ করার জন্য অধিকাংশ মানুষ ভিডিও কনফারেন্সিং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন একে অপরের সঙ্গে। আর অবশ্যই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের যে সকল সুবিধা রয়েছে সে সকল সুবিধার সময় আমাদেরকে দেখে নিতে ও জেনে নিতে হবে।
নিচে ভিডিও কনফারেন্সিং এর কতিপয় সুবিধা সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- যেকোনো ধরনের সভা বিপুল অর্থ সরবরাহ না করে কম খরচে আয়োজন করা।
- দূরবর্তী স্থানে অবস্থান করা সত্ত্বেও সাক্ষাতের অনুভূতি লাভ করা ও ভাব বিনিময় করা।
- সময় এবং খরচ উভয় বস্তুর উপর খরচ কমিয়ে মিটিং বা কনফারেন্সিং অংশগ্রহণ করা।
- ঘরে বসেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের উপর লক্ষ্য রাখা ও প্রয়োজন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিদর্শনা দেওয়া।
- ব্যক্তিগত ও সামাজিক যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ভিডিওর মাধ্যমে পূরণ করা।
এগুলো হলো ভিডিও কনফারেন্সিং এর কিছু সুবিধাসমূহ এবং আমরা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সকল সুবিধা পাই।
আর সুবিধা পাওয়ার জন্যই মূলত আমরা ভিডিও কনফারেন্সিং এর সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এবং আলোচনা করার জন্য।
আলোচনা করা এবং যোগাযোগ স্থাপন করা উভয় ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যোগাযোগ হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সিং। কেননা এর মধ্যে সাক্ষাৎকার করা সম্ভব হয় এবং সম্মুখে দেখাদেখি করার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে পরামর্শ ও আলোচনা করা যায়।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর উপাদান
আমরা সর্বদা ভিডিও কনফারেন্সিং এর ব্যবহার করে থাকে কিন্তু কি কি উপাদান দ্বারা ভিডিও কনফারেন্সিং হয়।
বা আমরা কি কি উপাদান ব্যবহার করার মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে পারে এবং সম্মুখ সাক্ষাৎ করতে পারি।
উপাদানগুলোর নাম বলতে পারব না ভিডিও কনফারেন্সিং এর, এমন নয় বরং দুই একটি কথা বলতে পারব। আর দুই একটি ভিডিও কনফারেন্সিং এর উপাদানের নাম তারা কখনো পরিপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে না তাই আমাদেরকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর উপাদান জানতে হবে।
আমরা নানা প্রকার প্রযুক্তি উপাদান ব্যবহার করে থাকি ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য যেমন:
- মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ।
- কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মডেম।
- ক্যামেরা, স্পিকার, ক্যামেরা স্ট্যান্ড।
- স্মার্ট ফোন, যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং তথ্য প্রেরণ।
- স্যাটেলাইট, তরঙ্গ এবং মাধ্যম ইত্যাদি।
ভিডিও কনফারেন্সিং কী এই বিষয়ে আমি পরিপূর্ণ তথ্য দিতে সক্ষম হয়েছি এবং আপনারা পরিপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন ভিডিও কনফারেন্সিং নিয়ে।
আরও পড়ুন: টেলিকনফারেন্সিং কি?