ভাষিক যোগাযোগ কাকে বলে: শোনা, বলা, পড়া ও লেখা প্রধান এই চারটি রূপের মাধ্যমে যে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়ে তাকে ভাষিক যোগাযোগ বলে। আমরা কথা বলার মাধ্যমে, বই পড়ার মাধ্যমে, ফোনে আলাপ করার মাধ্যমে এবং বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে ভাষিক যোগাযোগ করে থাকি।
রেডিও অথবা টেলিভিশন শোনা, টেলিভিশন দেখা, কাগজে লিখি বা কম্পিউটারের টাইপ করি এসবের মাধ্যমে আমরা ভাষিক যোগাযোগ করে থাকি। অর্থাৎ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে ভাসিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম।

আমরা জন্মগতভাবে মানুষ এবং মানুষ হিসেবে আমাদের চাহিদা হচ্ছে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখা। আর আমরা লক্ষ্য করলে দেখব যে এই যোগাযোগ প্রধানত দুই ভাবে হয়ে থাকে:
একটি হচ্ছে ভাষিক যোগাযোগ মাধ্যম অন্যটি হচ্ছে অভাষিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ভাষিক যোগাযোগ কাকে বলে এই প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে আমরা এই যোগাযোগ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি।
আর এখন আমরা জানবো অভাষিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে আর এর সম্পর্কে ধারণার জন্য চেষ্টা করব।
অভাষিক যোগাযোগ মাধ্যম কাকে বলে?
যে মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য কথা বলা ও লেখালেখির পাশাপাশি কিছু কৌশল ও কাজে লাগানো হয়ে থাকে তাকে অভাষিক যোগাযোগ মাধ্যম বলে। আর এই মাধ্যমে মুখভঙ্গি, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, হাতের ইশারা, চোখের ইশারা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
এক কথায় বলতে গেলে অভাষিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে কোনরূপ ভাষার ব্যবহার করা হয় না।
এখানে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন প্রকার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি আর এর মাধ্যমে অন্যকে সম্পূর্ণভাবে বুঝানো হয়।
মনে করেন আপনি কাউকে ডাকতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি তাকে মুখ দিয়ে না ডেকে হাত দিয়ে ইশারা করে কাছে আসতে বললেন।
আপনার হাত দেখে সে বুঝতে পারল যে আপনি তাকে কাছে যাতে যেতে বলতেছেন এটি হচ্ছে অভাষিক যোগাযোগ।
কেননা তার সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে আপনি মুখের ভাষা ব্যবহার করেননি বরং আপনার হাতের ব্যবহার করেছেন। আর আপনার হাত দেখে সে বুঝতে পেরেছে এবং আপনার কাছে চলে আসছে।
ভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ:
ভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ অনেকগুলি রয়েছে তবে এখানে কয়েকটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য উদাহরণ উল্লেখ করা হলো:
কথা বলা, বই পড়া, বার্তা পাঠানো, ফোনে আলাপ করা বা ফোনে কথা বলা, লেখালেখি করা, রেডিও শোনা, টেলিভিশন দেখা ইত্যাদি।
এগুলো ছিল ভাষিক যোগাযোগের কিছু উল্লাসযোগ্য উদাহরণ যেগুলো আমি এখানে উল্লেখ করেছি।
এখন আমরা অভাষিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ সম্পর্কে জানব।
অভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ:
আমরা আমাদের মুখ দিয়ে কথা বলার পাশাপাশি আমাদের শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে কিছু কথা বলি।
আর আমাদের কিছু শারীরিক অঙ্গ পতঙ্গের মাধ্যমেও আমরা বিভিন্ন রকমের ভাব প্রকাশ করে থাকি।
অভাষিক যোগাযোগের উদাহরণ হলো: মুখভঙ্গী, শারীরিক অঙ্গীভঙ্গি, চোখের ইশারা, হাতের ইশারা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: ১০ টি প্রযুক্তির নাম।