ভাষা কাকে বলে? ভাষা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ আলোচনা

ভাষা কাকে বলে: অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে। গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক এবং অন্যান্য বাক পতঙ্গ দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলা হয়।

সকল মানুষের ভাষায় বাকযন্ত্র দ্বারা সৃষ্টি হয় এবং অঞ্চল ভেদে এই ভাষার পরিবর্তন ঘটে থাকে। ভাষার পরিবর্তন তিন ভাগে হয়ে থাকে যথা: অঞ্চল ভেদে, সময় ভেদে এবং পরিবেশ ভেদে।

সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাষার পরিবর্তন দেখা দেয় আবার, অঞ্চল পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাষার পরিবর্তন দেখা দেয়।

আবার পরিবেশ পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে অর্থাৎ এক পরিবেশের ভাষা অন্য পরিবেশের সাথে মিলে যায় না।

ভাষা কাকে বলে
ভাষা কাকে বলে?

ভাষা হচ্ছে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের একটি মাধ্যম যা দেশ কাল ও পরিবেশ ভেদে পরিবর্তন ঘটে থাকে। পুরো পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ভাষা প্রচলিত আছে এবং এগুলো প্রত্যেকটি অর্থবোধক। সুনির্দিষ্ট অর্থ ছাড়া ভাষার কোনদিন উৎপত্তি হয় না এবং মানুষের বোধগম্য হয় না।

তাহলে বোঝা গেল ভাষা অবশ্যই মানুষের বোঝার মত হতে হবে যেন যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয় কথা দিয়ে। যেটাকে আমরা কথা বলি বা আলোচনা বলে সেটি মূলত হচ্ছে ভাষার অন্তর্ভুক্ত কথাবাত্রা যা ভাষার দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্ব হিসেবে।

আমরা যে ভাষা ব্যবহার করে এ ভাষার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র আমাদের প্রত্যেকটি ভাষার জন্য।

প্রত্যেকটি ভাষার মধ্যে এই কয়েকটি প্রকার লক্ষ্য করা যায় যেগুলোর ভিত্তি করে ভাষার পরিবর্তন এবং কথাবার্তার পরিবর্তন হয় বোঝানোর জন্য।

ভাষা কত প্রকার ও কি কি?

আমি যেমন পূর্বে বলেছি যে ভাষার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এই প্রকার ওষুধ গুলো বুঝিয়ে দেওয়ার উপর ভিত্তি করে হয়েছে। অর্থাৎ একটি ভাষা আমরা শুধুমাত্র অন্যকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করে এবং এ বুঝানোর পদ্ধতি বিভিন্ন রকম হয় ভাষার।

আমরা বিভিন্নভাবে আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি এবং ভাষার প্রকাশ ঘটিয়ে যোগাযোগ ও আলোচনা করি।

তাহলে আলোচনা অবশ্যই আমাদেরকে সঠিকভাবে করার জন্য ভাষার এ প্রকারভেদ গুলো জানতে হবে যেগুলো দিয়ে আমাদের আলোচনা করা সম্ভব হয়।

ভাষা প্রধানত দুই প্রকার, যেমন:

  • মৌখিক ভাষা
  • এবং লিখিত ভাষা

মৌখিক ভাষা: যে ভাষার কোন লিখন ব্যবস্থা নেই সেই সকল ভাষাকে মৌখিক ভাষা বলা হয়। আদিকালে মানুষের ভাষার কোন লিখন ব্যবস্থা ছিল না এবং সেখানকার সময়ের ভাষাকে মৌখিক ভাষা বলা হয়।

এখনো পৃথিবীর অনেক অঞ্চলের ভাষা মৌখিক ভাষায় রয়ে গেছে এবং তাদের কোন লিখিত ব্যবস্থা নেই।

লিখিত ভাষা: যে ভাষার মধ্যে লিখন ব্যবস্থা রয়েছে সেই ভাষাকে লিখিত ভাষা বলে। লিখিত ভাষার মধ্যেও মৌখিক ভাষা উপস্থিত থাকে যা লিখার মাধ্যমেও প্রকাশ করা যায়। মানুষ মারা গেলে তার সম্পর্কে কোন জ্ঞান মৌখিক ভাষার দ্বারা অর্জন করা সম্ভব নয়।

তবে লিখিত ভাষার মাধ্যমে কীর্তিমান প্রত্যেকটি ব্যক্তির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

লিখন ব্যবস্থার মাধ্যমে বা লিখিত ভাষার মাধ্যমে মানুষ মারা গেলেও তার লিখিত চরণ চিরকাল বেঁচে থাকে।

ভাষার লিখন ব্যবস্থার প্রকারভেদ

আমি বলেছি যে ভাষার কিছু প্রকারভেদ রয়েছে এবং এই প্রকারভেদ গুলোর মধ্যে ছিল লিখিত ভাষা এক ধরনের।

এই সকল বিষয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করা আরো বেশি আনতে হবে এবং এর জন্য লিখিত ভাষার কিছু প্রকারভেদ বিদ্যমান আছে।

আমরা লিখিত ভাষা বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে পারে এবং আমাদের যোগাযোগ, আলোচনা করে থাকি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক লিখিত ভাষায় আমরা কি কি ধাপে নিজের আলোচনা শুরু করে এবং সেই সাথে ভাষার প্রয়োগ করে থাকি।

ভাষার লিখন ব্যবস্থা প্রধানত তিন প্রকার বা তিন ভাগে বিভক্ত, যেমন:

  • বর্ণভিত্তিক লিখন ব্যবস্থা।
  • অক্ষর ভিত্তিক লিখন ব্যবস্থা।
  • ভাবার্থ বা ভাবাত্মক লিখন ব্যবস্থা।

এগুলো হলো ভাষার কিছু লিখিত অবস্থায় প্রকার অর্থাৎ আমরা লিখিত অবস্থায় এই সকল ভাবে ভাষা ব্যবহার করে।

ভাষা যতভাবে ব্যবহার করি তার উপর ভিত্তি করে এই প্রকারভেদগুলো লিখিত ভাষার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং যোগাযোগে ব্যবহার হয় লিখিত পদ্ধতি।

আরও পড়ুন: বাগযন্ত্র কাকে বলে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top