ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি: বাস্তব নয় তবে বাস্তবতার বিভ্রম সৃষ্টিকারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাই হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের জন্য কম্পিউটারের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসিং কোয়ালিটি থাকতে হয় এবং এটি অত্যাবশ্যকীয়।
এ জগতের কেন্দ্রে থাকে অত্যন্ত গতিশীল বিশেষ মাইক্রোপ্রসেসর এবং এই মাইক্রোপ্রসেসর গুলো রিয়েলিটি ইঞ্জিন নামে পরিচিত। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত কম্পিউটার সিমুলেশন, পারস্পরিক যোগাযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের সমন্বয় গঠিত একটি পদ্ধতি।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পদ্ধতিতে নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আপনাকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যা দেখতে বাস্তবের মত মনে হয়। বর্তমানে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে।
আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন স্থানের সম্মুখ দর্শন করার ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করতে পারেন এবং বাস্তব অনুভূতি পেতে পারেন।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহারের মাধ্যমে কোন প্রকার কাল্পনিক বিষয় সম্পর্কে সম্যক দর্শন লাভ করা যায় তবে অবাস্তব।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপাদান সমূহ
আমরা যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নাম শুনেছে অথবা ইতিমধ্যে কেউ ব্যবহার করেছে কিন্তু এর কিছু উপাদান রয়েছে। অর্থাৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কিছু উপাদান রয়েছে যে উপাদানের উপর ভিত্তি করে এটি বাস্তবের মত অনুভূতি প্রদান করে।
নিচে কতিপয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের সমন্বয় গঠিত চশমা (চোখে দেওয়ার জন্য)।
- হেড মাউন্টেন ডিসপ্লে যা মাথা প্রদান করা হয় এবং চোখ ও কান ঢেকে দেয়া হয় দেখা ও শোনার জন্য।
- ডেটা গ্লাভস হাতে পরা হয়ে যায় স্পর্শের অনুভূতি প্রদান করে থাকে।
- একটি পূর্ণাঙ্গ বডি সুট, এটি এমন এক ধরনের পোশাক যা সেন্সর দ্বারা তৈরি করা হয়।
- এই সেন্সরগুলো হতে সিমুলেশন প্রোগ্রাম ডাটা পাঠানো হয় এবং প্রোগ্রামটির সেই সামনে থাকা স্কিন পর্দার পরিবর্তন এনে থাকে বাস্তবে নয়।
- উচ্চমানের অডিও ব্যবস্থা, এখানে ত্রিমাত্রিক শব্দ উৎপাদন করে বলে প্রধান দৃশ্য উৎপাদনকারী বস্তুর বাস্তব দর্শনের অনুভূতি যোগায়।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে ধারণা বর্তমানে অনেক বেশি প্রচলিত হয়ে উঠেছে এবং অবাস্তবকে বাস্তব করে দেখার আগ্রহ বেড়েছ। অনেকেই আছেন যারা এ প্রযুক্তি ইতিমধ্যে ব্যবহার করে ফেলেছেন এবং বিনোদন গ্রহণ করেছেন এবং এই প্রযুক্তি উক্ত উপাদানগুলো দ্বারা গঠিত।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব
ইতিমধ্যে আমরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটিভিটির অনেক তথ্য পেলাম তবে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কিছু প্রভাব রয়েছে আমাদের মাঝে। আর এ প্রভাবগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মূলত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কে জানার বিষয়টি প্রত্যেকের অনুভূতিতে সৃষ্টি হয়েছে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুফল বা উন্নত প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ইহার দ্বারা ব্যক্তি সম্মুখ ভাবে কোন প্রকার অবাস্তব বস্তুর চিন্তাভাবনা বাস্তবের রূপান্তর করতে পারছে।
- ইহার মাধ্যমে কিভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতি ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা লাভ হয়।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে ওই ব্যবস্থাপনা যেখানে সঠিক অনুভূতি প্রদান করার প্রসেসিং হয়।
- ইহার সবচেয়ে বড় সুফল হলো যেকোনো সময় যে কোন স্থানে ভ্রমণের বিনোদন লাভ হয়।
ভার্চুয়াল এ রিয়েলিটির ক্ষতিকর প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো:
- অনেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করতে গিয়ে আসক্তির শিকার হয়ে পড়ছে।
- ইহার মাধ্যমে মানুষ অবাস্তব বিষয়ের উপর চিন্তাভাবনা করা বেশি শুরু করে দিয়েছে।
- বিভিন্ন প্রকার ও বাস্তব বস্তুকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হিসেবে ক্ষতিকর সব চিন্তা ভাবনা পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে।
এগুলো হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুফল এবং সেই সাথে ক্ষতিকর কিছু প্রভাব যা ঘটেছে এবং এ প্রভাব গুলো দিন দিন বিস্তার পাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির। আর অবশ্যই বর্তমানের এই আধুনিক যুগে আধুনিক যন্ত্র হিসেবে সবচেয়ে বেশি বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কি?