ব্যাঙ খাওয়া কি হারাম: জি হ্যাঁ অবশ্যই ব্যাঙ খাওয়া ইসলামিক দৃষ্টিতে হারাম, অনেকেই বলবেন ইসলামে তো একে হারাম বলে কোথাও অভিহিত করা হয়নি।
আপনার যুক্তি ঠিক তবে ইসলামের কতৃপয় দলিল দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়ে যে ব্যাঙ খাওয়া উচিত নয়।
আর যেহেতু এই সকল দলিল দ্বারা প্রমাণিত হয়ে যে ব্যাঙ্ক হওয়া উচিত নয়, তাই অবশ্যই এটে হারাম হিসেবে গণ্য হবে।
যেহেতু হারাম বলতে বাধা-প্রদান কে বোঝানো হয়, আর অন্যদিকে ব্যাঙ নিয়ে যেহেতু বাধা প্রদান করা হয়েছে তাই অবশ্যই এটি হারাম হিসেবে গণ্য হয়েছে। আপনি যদি না জানেন যে ব্যাঙ খাওয়া হারাম কেন তাহলে অবশ্যই নিচের টপিটি ফলো করুন কেন সেখানে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।

ব্যাঙ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে তবে, যেহেতু এটি একটি উভচর প্রাণী এবং ইসলামের দিকনির্দেশনা রয়েছে না খাওয়ার তাই এর উপকারিতার দিক আমাদের চিন্তা করা উচিত নয়। বরং আমাদেরকে এটা চিন্তা করা উচিত যে এটা হারাম এবং এটা আমাদের খাওয়া উচিত নয়।
অনেকে আছেন যারা উপকারের দিক চিন্তা করে ব্যাঙের মাংস খাওয়া শুরু করে দে এবং পরিণাম হিসেবে হালাল-হারাম চিন্তা ভাবনা করে না। তাই সকল বিষয়ে ফার এখন এবং পরিপূর্ণ দৃষ্টি পাতা আলোকপাত করার মাধ্যমে ব্যাঙের মাংস খাওয়া উচিত হবে কি হবে না তা চিন্তা ভাবনা করুন।
আপাতদৃষ্টিতে সুদ ঘুষ এগুলো অবশ্যই আমাদের আর্থিক উন্নতি ঘটায় তবে, শরীয়তের পরিভাষায় এগুলো হারাম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
তাই উপকারের দিক চিন্তা-ভাবনা করা থেকে বিরত থাকুন এবং হালাল হারাম বিবেচনা করে যেকোনো ধরনের খাবার ভক্ষণ করুন।
ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে যে বিষয় নিয়ে বাধা প্রদান করা হয়েছে সে বিষয়ে থেকে আমাদেরকে অবশ্যই দূরে থাকা উচিত এবং অন্যকে দূরে রাখা উচিত। কেউ যদি এ বিষয়ে অবগত না হয় হারাম কাজ করে থাকে তাহলে তাকে তা অবগত করে দেওয়া উচিত।
যা উচিত তা করতে হবে এবং তাই আপনাকে এই পোস্টটিতে উল্লেখ করতে যাচ্ছি কেন আমাদের জন্য ব্যাঙ খাওয়া হারাম হবে।
ব্যাঙ খাওয়া হারাম কেন?
প্রায় প্রত্যেকটি হাদিস থেকে আমরা একটি ধারণা পাই এবং সে ধারণাটি হচ্ছে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) উভচর প্রাণীকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন বা বাধা প্রদান করেছেন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ব্যাঙ হচ্ছে একটি উভচর প্রাণী যা, কিছু সময় পানিতে এবং কিছু সময় ডাঙ্গায় অবস্থান করতে পারে।
ব্যাঙ যেহেতু একটি উভচর প্রাণী, তাই এ কারণে আমাদের প্রিয় নবীর মতবাদ অনুযায়ী এই প্রাণীকে আমাদের জন্য হত্যা করা উচিত হবে না। যেহেতু ব্যাংক হত্যা করা উচিত নয় বা একে হারামের অন্তর্ভুক্ত তাই আমাদের জন্য ব্যাঙ খাওয়া উচিত হবে না।
যেহেতু এক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে তাই আমাদেরকে বুঝতে হবে যে এটি হারামের অন্তর্ভুক্ত বা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
যে বিষয়ে বাধা প্রদান করা হয়েছে এবং জ্ঞান আমাদের সীমিত সে বিষয়ে অধিক জ্ঞান আনার প্রয়োজন বোধ করা উচিত নয়।
ইসলাম হচ্ছে একটি অতি সাধারণ ধর্ম যদি আমরা এর নিয়ম কানুন সঠিক মত পালন করতে পারে এবং নিজে কোন নিয়ন্ত্রণ করতে না চাই। আসলে এখানে যদি বলি আমরা ব্যাঙ খাওয়া হালাল কিংবা হারাম তাহলে এটি বেদায়াতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
যেহেতু বাধা প্রদান করা হয়েছে তাই এটাকে না খাওয়াই উচিত হালাল-হারাম কোন বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ নেই ব্যাঙ খাওয়া নিয়ে।
তাই এ বিষয়ে কোনো বেদাতি কাজ কাম না করে আমাদেরকে ব্যাঙ হাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
ব্যাঙ একটি উভচর প্রাণী এবং এরা কিছু সময় জলে এবং কিছু সময় স্থলে অবস্থান করতে সক্ষম, তাই এদেরকে হত্যা করা উচিত নয়। কোন প্রাণীকে হত্যা না করলে আমরা তা ভক্ষণ করব কিভাবে আর এ কারণেই ব্যাঙ হওয়া আমাদের জন্য উচিত হবে না।
আশা করি আপনারা শরীয়ত বরখেলাপ কোন কাজ করবেন না এবং বেদাত সম্মিলিত কোন সমাবেশে জড়াবেন না।
ব্যাঙ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং ব্যাঙ খাওয়া হারাম বিষয়টি নিয়ে অবগত হন কেননা, হত্যা করাকে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
আপনি বুঝুন যদি আপনি প্রাণীটিকে হত্যা না করেন তাহলে তাকে খাবেন কিভাবে।
ব্যাঙের বসবাস ধরন
ব্যাঙ তার জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নানাভাবে জীবন যাপন অতিবাহিত করে এবং বসবাসের ধরন পরিবর্তন করতে থাকে।
আজকে আমরা জানবো ব্যাঙ কিভাবে বসবাস এর ধরন পরিবর্তন করে এবং বসবাস করে থাকে।
ব্যাঙের জীবন শুরু হয় পানি থেকে এবং এখানে তারা ব্যাঙ আছে অবস্থায় দৃশ্যমান হয়।
পানিতে থাকা অবস্থায় কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর এদের লেজ ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে শুরু করে দেয়।

ধীরে ধীরে লেজ সংকুচিত হওয়ার সাথে সাথে লাফিয়ে চলার জন্য এদের পা বেরিয়ে আসে। পরিপূর্ণরূপে পা বেরিয়ে আসার পর এবং লেজ সংকুচিত হয়ে যাওয়ার পর এরা স্তলে ফিরে আসে। শিকার হিসাবে এরা ছোট মাছ শিকার করে থাকে এবং প্রয়োজন অনুসারে ছোট মাপের সাপ শিকার করে থাকে।
এরা এদের পুরোটা জীবনের বেশিরভাগ সময় পানিতে অবস্থান করে এবং বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিলে পানিতে লুকিয়ে বেড়ায়।
এরা এদের জীবনের প্রতিটি সময় নীরবতার সহিত স্বীকার করতে বেশি পছন্দ করে এবং চলে এরা লাফিয়ে বেড়ায়।
ব্যাঙের বৈশিষ্ট্য
ব্যাঙের বৈশিষ্ট্য সমূহের নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ব্যাঙ একটি উভচর প্রাণী ( অর্থাৎ কিছু সময় জলেও কিছু সময় স্থলে বাস করে)
- এর চামড়া শুষ্ক আঁশযুক্ত হয়ে থাকে এবং অনেক বেশি পিচ্ছিল পদার্থ থাকে।
- আপাত দৃষ্টিতে এদের চারটি পা লক্ষ্য করা যায় এবং একটি মাথা লক্ষ্য করা যায়।
- এদের জীবন শুরু হয় ব্যাঙ্গাচি অবস্থা অর্থাৎ পানি থেকে এবং পরবর্তীতে জলে এবং স্থলে বসবাস করে।
- এরাই একসঙ্গে অনেকগুলো বাচ্চা প্রসব করে এবং প্রায় অনেকগুলো বাচ্চা বড় হয়।
- এরা যেকোনো ধরনের ছোট মাছ এবং ছোট সাপ স্বীকার করে থাকে ভক্ষণ করার জন্য।
এগুলো হলো ব্যাঙের কতিপয় বৈশিষ্ট্য এবং এরা জলে থাকতে বেশি পছন্দ করে এবং স্থলে আসলে লাফিয়ে বেড়ায়।
জলে থাকা অবস্থায় এরা স্থির থাকে এবং স্বীকার করার সময় একটু চঞ্চল হয়।
এরা এদের স্বীকার খুব আসতে শিকার করে এবং ছোট একটি পাতার উপর অবস্থান করতে পারে।
কচুরিপানা যুক্ত পুকুরে এরা খুব কম বসবাস করে এবং মুক্ত পুকুর বা জলাশয়েরা কম বেশি দেখা দেয়। এরা এদের পুরো সময় পানিতে অতিবাহিত করতে বেশি পছন্দ করে এবং বর্ষার আবাস দেখা দিলে মাটি থেকে বেরিয়ে আসে।
বর্ষা শেষ হয়ে গেলে অনেক ব্যাংক মাটির তলে চলিয়া যায় এবং নিজেকে অদৃশ্য করে ফেলে।
এরা এদের প্রতিটি সময় অনেক দেশের সংগ্রাম করে অতিবাহিত করে এবং জীবিকা নির্বাহ করে।
উপসংহার
তো বন্ধুরা আজকের মত ব্যাঙ খাওয়া কি হারাম এই পোস্টটি এ পর্যন্তই ছিল এবং আশা করি আপনারা সকল বিধি-বিধান মেনে কোন ধরনের বিদআত করবেন না এবং ব্যাঙ হত্যা করবেন না, আর সেই সাথে ব্যাঙ খাবেন না।
ব্যাঙ নিয়ে আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সবাইকে কেমন লেগেছে অনুগ্রহ করে কমেন্ট বক্সে লিখে যাবেন এবং আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ উল্লেখ করবেন। আমরা আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় বসে থাকে এবং দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি।
আশা করি তোমার জীবন হোক অনেক সুন্দর এবং আলোকময়, সেই সাথে তুমি চলো যেন ইসলামের বিধি-বিধানের ছায়ায়।
আশা করি তুমি তোমার জীবনকে ইসলামের সাথে খাপ খাইয়া নিয়ে চলতে পারবে এবং সকল বিধিবিধান মানতে পারবে।
আরও পড়ুন: ব্যাঙের বৈজ্ঞানিক নাম কি?