ব্যাকরণ কাকে বলে: যে শাস্ত্রে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার বিশ্লেষণ করে উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়গবিধি আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে। এই ব্যাকরণ পাঠ করে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠন প্রকৃতি ও ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়।
এই ব্যাকরণ দ্বারা কোন ভাষার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করা যায় এবং ভাষার সঠিক যাচাই করা যায় যে ভাষাটি ঠিক আছে কিনা। প্রত্যেকটি ভাষার জন্য ব্যাকরণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কেননা এটি ভাষার নিয়ম উল্লেখ করে বলার এবং লিখার জন্য।
এই ব্যাকরণ হচ্ছে ভাষার মূল কেননা ইহার মাধ্যমে ভাব গত দিক বিবেচনা করে বাক্য তৈরি করা হয় এবং বাক্যের বিশুদ্ধতা পাওয়া যায়। বাক্য তৈরি করতে, গঠন করতে এবং প্রকাশ করতে ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে প্রত্যেকটি ভাষার নির্দিষ্ট ব্যাকরণ।
ব্যাকরণ শুধুমাত্র এই কথাটি দ্বারা সম্পন্ন হয় না বরং ব্যকরণ গঠনের জন্য বিভিন্ন প্রকার উপাদান রয়েছে লক্ষ্য করার জন্য।
অর্থাৎ যে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এবং নির্বাচন করে একটি ভাষার সত্যতা যাচাই করা হয় তার প্রত্যেকটি উপাদান হচ্ছে ব্যাকরণ।
ব্যাকরণ কত প্রকার ও কি কি?
আমরা ব্যাকরণকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে পারি এবং সে অনুযায়ী ব্যাকরণকে ভাষার অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। অর্থাৎ ভাষা বলার জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করার পর সঠিকমত সত্যতা যাচাই করা যায় এবং এইগুলো হলো ব্যাকরণের প্রকারভেদ যাচাইের জন্য।
প্রত্যেক ভাষার ব্যাকরণ প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা:
- ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology)।
- শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology)।
- বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntax)।
- অর্থতত্ত্ব (Semantics)।
এগুলো হলো ব্যাকরণ কিছু প্রকারভেদ এবং এই প্রকারভেদ গুলো প্রত্যেকটি পূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ভাষা যাচাই হয়।
অর্থাৎ ব্যাকরণের প্রকারভেদ গুলো মূলত ব্যাকরণেরই অংশ যেগুলো প্রত্যেকটি যাচাই এর মাধ্যমে ব্যাকরণ সম্পন্ন হয়।
ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়
ব্যাকরণের কিছু আলোচ্য বিষয় থাকে যে বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে ব্যাকরণ নিজের আলোচনায় স্থাপন করে। আর ব্যাকরণ তার আলোচনা স্থাপন করার মাধ্যমে যে কোন ভাষার সত্যতা যাচাই করে বিভিন্ন প্রকার বিষয় গবেষণা করে।
মূলত ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় প্রধানত চারটি, যথা:
- ধ্বনি (Sound)।
- শব্দ (Word)।
- বাক্য (Sentence)।
- অর্থ (Meaning)।
এগুলো ছিল ব্যাকরণের কিছু আলোচ্য বিষয় এবং এই আলোচ্য বিষয় গুলোর উপর ভিত্তি করে ব্যাকরণ প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ ব্যাকরণের মূল হচ্ছে এই বিষয়গুলো এবং এই বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করার মাধ্যমে ব্যাকরণ তার সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
শেষ কথা:
ব্যাকরণ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এবং ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় নিয়ে আজকের পোস্ট তৈরি করা। আশা করি আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আপনাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান প্রদান করতে পেরেছি এবং কিছু জানাতে পেরেছি।
আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে আর অন্য কোন মতামত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে উপলব্ধি করাতে পারেন।
আমরা সর্বনিম্ন সময়ের মধ্যে আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার চেষ্টা করব এবং সাহায্য করবো।
ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য এবং এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সাধারণ কিছু জ্ঞান অর্জন করে নিজের কল্যাণ আনার জন্য।
আরও পড়ুন: দেশি শব্দ কাকে বলে?