ব্যবসায় শিক্ষা: ব্যবসার সম্পর্কে যাবতীয় জ্ঞান এবং জীবন পরিচালনা করার জন্য সঠিক ক্যারিয়ার গঠনের কলাকৌশল ও রীতি-নীতির সমন্বয় প্রদান করা জ্ঞানই হচ্ছে ব্যবসায় শিক্ষা। ইংরেজি “Business Studies” এই শব্দটি হতে ব্যবসায় শিক্ষা শব্দটি এসেছে এবং এটি একটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের একটি শিক্ষা ব্যবস্থার নাম।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিক্ষাকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে এগুলো হলোঃ
- বিজ্ঞান বিভাগ
- মানবিক বিভাগ
- এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিভাগ
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে ব্যবসা বিষয়ক যে সকল শিক্ষা ও জ্ঞান প্রদান করা হয় তাকে ব্যবসা বিভাগ বা ব্যবসায় শিক্ষা বলে।
এটি হচ্ছে শিক্ষার একটি বিভাগ যেখানে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবসা করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এটি হচ্ছে শিক্ষার এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে শিক্ষার্থী ব্যবসা সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
যে সকল শিক্ষার্থীরা নিজের ক্যারিয়ার ব্যবসা করার মাধ্যমে বা বিভিন্ন প্রকাশ শিল্প তৈরীর মাধ্যমে গঠন করতে চায়। সেই সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবসার শিক্ষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিজের ও শিল্প ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য।
বর্তমানে শত শত যুবক যুবতীরা ব্যবসায় অনেক বেশি উন্নতি করেছে এবং নিজের জীবন অনেক বেশি উন্নত করে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
আর এর পিছনে মূল কারণ হচ্ছে তারা ব্যবসা শিক্ষা সম্পর্কে যাবতীয় জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে ব্যবসার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছিল।
আর আপনিও যদি ব্যবসায় শিক্ষা অর্জন করার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন বা বিভিন্ন শিল্প শুরু করেন তাহলে সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পারবেন। আর যখন সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পারবেন তখন খুবই সহজে আপনার ব্যবসা ও শিল্প উন্নতির দিকে ধাবিত হবে এবং আপনি লাভবান হবেন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সুবিধা
আপনার জীবনের লক্ষ্য কি এবং লক্ষ্য পূরণ করার জন্য যা যা করতে হবে তার চিন্তাভাবনা আপনার মাথায় নিজেকে আনতে হবে। তবে ব্যবসা শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আপনি সঠিক ব্যবসা নির্ধারণ করতে পারবেন এবং ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন সহজে।
ব্যবসা বিভাগ সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করার পর এই বিভাগের সুবিধা নিয়ে জ্ঞান অর্জন করার চাহিদা সকলের রয়েছে।
তাই নিচে ব্যবসা বিভাগ বা শিক্ষার ব্যবসা বিভাগের সুবিধা সমূহ উল্লেখ করা হলো:
- ব্যবসা করার ক্ষেত্রে উদ্বেগী হওয়া যায়।
- পেশা বা কর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না।
- অত্যাধিক মেধার প্রয়োজন পড়ে না।
- বিভিন্ন প্রকার জটিল হিসাব-নিকাশ সম্পর্কে সহজ ভাবে ধারণা অর্জন করা সম্ভব।
- বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক ও শিল্প কারখানায় দ্রুত নিয়োগ হয়।
- বিভিন্ন ধরনের বীমা ও সংস্থানের দ্রুত চাকরি পাওয়া সম্ভব হয়।
- একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায়।
- চাইলে নিজেই হালাল ইনকাম এর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
- উদ্যোক্তা হওয়ার মাধ্যমে অন্যদের কর্মসংস্থান গড়তে পারে।
- অন্যান্য বিভাগের তুলনায় কম খরচে শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
- ব্যবসা করার মাধ্যমে দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নতি সাধন করা যায়।
- আর্থিকভাবে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব হয়।
- ব্যাংকিং এর পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে পার্সোনাল বীমা তৈরি করা যায়।
- ব্যবসায় আগ্রহ জাগে এবং কর্ম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
অনেকে আছেন যারা ব্যবসায় শিক্ষার সম্পর্কে সুবিধা সম্পর্কে জানতে চান কেননা ইহার মাধ্যমে খুব সহজে অনুপ্রেরিত হওয়া যায়। উপরে আমরা কিছু সুবিধার কথা উল্লেখ করেছে এবং এর সুবিধাগুলো আপনি যদি ব্যবসা শিক্ষা অর্জন করেন তাহলে পেতে পারেন আপনার জীবনে।
মুনাফা কিভাবে খরচ করতে হয় বা ব্যবহার করতে হয় তার উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকলে কখনো ব্যবসা বা শিল্প হতে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব নয়। আর এই সম্ভবকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ব্যবসায় শিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন সঠিক মুনাফা ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পদ্ধতিকে শিক্ষাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং সেই ভাগ গুলোর মধ্যে ব্যবসা বিভাগ হচ্ছে অন্যতম। যে শিক্ষা বিভাগ পছন্দ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ব্যবসা বিষয়ক পরিপূর্ণ জ্ঞান ও তথ্য লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা করার পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে পারে তাকে ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ বলে।
শিক্ষার অন্যতম একটি ব্যবস্থা ব্যবসা শিক্ষার মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের ব্যবসার ধারণার।
ব্যবসার ধারণার তথ্য যদি কেউ অর্জন করতে চায় এবং সঠিক ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় তাকে ব্যবসা শিক্ষার বিষয়বস্তু জানতে হবে।
শিক্ষার এই বিভাগে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় অর্থাৎ আলোচ্য বিষয় সমূহ হলো:
- হিসাববিজ্ঞান।
- আর্থসংস্থান বা অর্থনীতি।
- ব্যাংকিং ও ফিনান্স।
- ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসা সংগঠন।
- বিপণন ও অর্থনীতি।
- ব্যবসায় উদ্যোগ।
এগুলো হলো ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন বইয়ের নাম যেগুলো তারা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় ব্যবসা সম্পর্কে। আর ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি অনুপ্রেরিত হয় ব্যবসা করার জন্য এবং মুনাফা অর্জন করার জন্য।
ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন তাদের মধ্যে কেউবা আছেন যারা চাকরি করতে পছন্দ করেন। তবে চাকরি করার ক্ষেত্রে বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয় এবং নিজের পাশে থাকা প্রত্যেকটি প্রতিযোগীকে হারিয়ে জয়লাভ করে চাকরি নিতে হয়।
তবে ব্যবসা শিক্ষা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও ধারণা থাকলে আপনাকে কোন প্রকার পরিশ্রম করতে হবে না বরং সঠিক ব্যবহার করে ব্যবসা মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কি?