বৃষ্টিপাত কাকে বলে? বৃষ্টিপাত কত প্রকার ও কি কি? বৃষ্টিপাতের কারণ বিস্তারিত

বৃষ্টিপাত কাকে বলে: ভূপৃষ্ঠের জলীয়ভাগ থেকে সৃষ্টি হওয়া জলীয় বাষ্প আকাশে উঠে ঠান্ডা বায়ুর সংস্পর্শে এসে সম্পৃক্ত হয় ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয় এবং পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে তা ফোটায় ফোটায় ভূপৃষ্ঠে নেমে আছে, তখন তাকে বৃষ্টিপাত বলে।

সহজে বলতে গেলে, আকাশ থেকে যখন ভূপৃষ্ঠে পানি পতিত হয়ে তখন এই অবস্থাকে বৃষ্টিপাত বলা হয়ে থাকে।

বৃষ্টিপাত হওয়ায় সর্বদা প্রাকৃতিক কারণ থাকে এবং বৃষ্টিপাত না হলে উদ্ভিদ কখনো বংশবৃদ্ধি ও নিজের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটাতে পারবে না।

কিন্তু আবার এই বৃষ্টিপাত যখন অধিক মাত্রায় বেড়ে যায় তখন ভূপৃষ্ঠে বন্যা দেখা যায় এবং অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে না পেরে প্রাণী ও উদ্ভিদ মারা যায়। অর্থাৎ বৃষ্টিপাত একদিকে যেমন আমাদের জন্য অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে ঠিক অপরদিকে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বৃষ্টিপাত কাকে বলে
Rain বৃষ্টিপাত কাকে বলে?

আর বৃষ্টিপাত কম হবে কি বেশি হবে এ বিষয়টা সম্পূর্ণ রুপে নির্ভর করে প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণের ওপর।

কেননা মানুষের হাত নেই যে বৃষ্টিপাত আনতে থাকবে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত প্রয়োজনে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে চাহিদা পূরণ করবে যে কোন বিষয়ের।

যদি আবার বর্তমানে হার্প টেকনোলজি তৈরি হয়েছে কিন্তু এই টেকনোলজি কখনো বৃষ্টিপাতের জন্য দায়ী করা হয়নি। বরং বৃষ্টিপাতের প্রাকৃতিকভাবে হয়ে থাকে এবং মৌসুমের পরিবর্তন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় শুরু হয়ে থাকে বৃষ্টিপাত।

তবে বৃষ্টিপাত আর বৃষ্টির ধরন অনুযায়ী বৃষ্টিপাত থেকে কয়েক ধরনের বিভক্ত করা হয়েছে বর্ষাকালের উপর।

আর এই সকল বৃষ্টির ধরন অনুযায়ী বর্ষায় বিভিন্ন রকমের বৃষ্টিপাত দেখা যায় কিছু উপকারী ও কিছু অপকারী বৃষ্টিপাত।

বৃষ্টিপাত কত প্রকার ও কি কি?

বৃষ্টিপাতের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যে প্রকারভেদের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের বৃষ্টি আমরা বর্ষাকালে দেখতে পাই। তাই বলে বর্ষাকালে যে বৃষ্টিপাত হয় এমনটি না বরং যে কোন মৌসুমে প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে বৃষ্টি হতে পারে তবে এটি স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।

বৃষ্টিপাত একই রকম হয়ে থাকে বা কত ভাবে হয়ে থাকে তার ওপর ভিত্তি করে যেহেতু বৃষ্টিপাতের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে।

তাই চলুন এবার আমরা দেখে নেই বৃষ্টিপাতের প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে এবং কেন এগুলোকে ভাগ করা হয়েছে তার কারণ সম্পর্কে বৃষ্টিপাতের।

ভূপৃষ্ঠে বৃষ্টিপাত প্রধানত তিন প্রকার হয়ে থাকে, যথা:

  • পরিচলন বৃষ্টিপাত
  • সুরাতখাত বৃষ্টিপাত
  • ঘূর্ণ বৃষ্টিপাত

পরিচলন বৃষ্টিপাত: অধিক উষ্ণতার ফলে পরিচলন পদ্ধতিতে জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ু উপরে উঠে ঘনীভূত হয় বৃষ্টিপাত ঘটালে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলে।

সুরাতখাত বৃষ্টিপাত: সাধারণত জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতে বাধা পেয়ে উপরে উঠে ঘনীভূত হয় যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে সুরাতখাত বৃষ্টিপাত বলে।

ঘূর্ণ বৃষ্টিপাত: ঘূর্ণবাত এর ফলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ পানি উপরে উঠে ঘনীভূত হয় যে বৃষ্টিপাত ঘটে থাকে তাকে ঘূর্ণ বৃষ্টিপাত বলে।

এগুলো ছিল বৃষ্টিপাতের কিছু প্রকারভেদ এবং তাদের ব্যাখ্যা যে কি কারণে এগুলোকে ভাগ করা হয়েছে বিভিন্ন বৃষ্টিপাতের। আর অবশ্যই সংখ্যাগুলো দ্বারা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা পাওয়া যায় যে কেন বৃষ্টিপাত একটি ভাগে বিভক্ত হয় পানি বর্ষণ করে থাকে।

উপসংহার:

বৃষ্টিপাত কাকে বলে এবং বৃষ্টিপাত কত প্রকার ও কি কি এবং বৃষ্টিপাতের কারণ নিয়ে আশা করে মোটামুটি ধারণা প্রদান করতে পেরেছি। বৃষ্টিপাত সম্পর্কে ধারণা রাখতে চাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অতি সাধারণ বিষয়। বৃষ্টিপাত হচ্ছে আমাদের প্রতি বছরে আসা একটি সাধারণ মৌসুম যা আমরা সকলেই জানি।

কিন্তু এই বৃষ্টিপাত কেন হয় তা সম্পর্কে আমরা অনেক মানুষ অবগত নই কেননা আমরা এটিকে স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করে আসতেছি।

মূলত বৃষ্টিপাতের সংজ্ঞা দ্বারা বৃষ্টিপাতে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করা যায়, আবার সাথে বৃষ্টিপাত কেন হয় সেটাও সম্পর্কে জানা যায়।

যে সকল কারণে বৃষ্টিপাত ঘটে থাকে তার ওপর ভিত্তি করে বৃষ্টিপাতকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে তাই ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। বৃষ্টিপাত সম্পর্কে আর কোন ধারণা রাখতে হবে বলে আমার মনে হয় এবং আশা করি আমার তথ্য দিয়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন।

আর অবশ্যই বলতে চাই, বৃষ্টিপাতের সর্বদা প্রাকৃতিকভাবে হয়ে থাকে এবং এটি ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে।

তাই ভূমি সম্পর্কে এবং বৃষ্টিপাতের এই উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা রাখার প্রয়োজন ছিল যা এখানে প্রদান করেছি।

আরও পড়ুন: নদী ভাঙ্গন কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!