বিপণন কি: সময়, স্থান এবং মালিকানা জাতীয় উপযোগ সৃষ্টির কাজ হচ্ছে বিপণন। আপনাদেরকে বুঝিয়ে বললে যেমন একটি পণ্য উৎপাদন করার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বিক্রয় করা পর্যন্ত যাবতীয় যে সকল কাজ করা হয় তার সবগুলোই বিপণন।
সেটি বিভিন্নভাবে হতে পারে যেমন উৎপাদনের আগে পরিবেশ নির্বাচন করা, সময় নির্বাচন করা, স্থান নির্বাচন করা।
পণ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যন্ত্র ইত্যাদি ব্যবস্থা করা এবং সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা।
এখন আপনি এভাবে করে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করার মাধ্যমে ও পণ্যটি উৎপাদন করলেন। এখন এই উৎপাদিত পণ্য সমূহ কে বিক্রয় করার জন্য তো কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয় এর সবগুলো তো আবার এ বিপণেরওই অন্তর্ভুক্ত।
পণ্যের প্রকৃতকরণ করা, পণ্য পরিবহন করা, পণ্য গুদামজাতকরণ করা, পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা, পণ্যের বন্টন করা ইত্যাদি।
এক কথায় বলতে গেলে উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত সকল কার্যক্রম হয় তার সময় বিপণন এর অন্তর্ভুক্ত।
বিপণনের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
সামাজিক প্রক্রিয়া: এই বিপণনের মাধ্যমে সমাজের মানুষের বিভিন্ন মুখে চাহিদা পূরণ হয় থাকে। আর তাই অবশ্যই অবশ্যই বক্তাদের সন্তুষ্টি ও সমাজের মানুষের কল্যাণের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ব্যবস্থাপকীয় প্রক্রিয়া: সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে বিপণন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থাপকীয় পরকীয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনা তৈরি, সংগঠন, কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা, বাস্তবায়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নিতে হয়।
- বিনিময় প্রক্রিয়া: এই পরকীয়ার মাধ্যমে ক্রেতা ও বিপণনকারীর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।
- আর এ ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময় ক্রেতা পণ্য ও সেবা নিয়ে থাকে।
- ভোক্তামুখী প্রক্রিয়া: বক্তাদের অভাব ও সকল চাহিদা পূরণের জন্য সঠিক কার্যাবলী পরিচালিত করা।
- উপযোগ সৃষ্টির প্রক্রিয়া: বিপণন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি করা যেমন: পরিকল্পনার মাধ্যমেই স্থানযোগ্য উপযোগ।
- মুনাফা অর্জনের প্রক্রিয়া: প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুনাফা অর্জন ভক্তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে সঠিক মুনাফা অর্জন করা।
- গতিশীল প্রক্রিয়া: সময়ের পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে ভোক্তাদের চাহিদা ও পছন্দের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
- তাই এর সাথে তাল মিলিয়ে বিপণন পদ্ধতি পরিবর্তন করা এবং এই বিপণন পদ্ধতিকে কার্যকর করা।
যোগাযোগ প্রক্রিয়া: বিপণনের মাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ যেমন: ক্রেতা, ভোক্তা, মধ্যস্থ ব্যবসায়ী, ইত্যাদি পক্ষের সাথে যোগাযোগ সম্পাদিত হয়।
আর এর মাধ্যমে বিভিন্ন স্বার্থ সম্মিলিত ভাব ও তথ্যের আদান-প্রদান হয়ে থাকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা।
আরও পড়ুন: সমন্বিত চাষ কাকে বলে?