বিদ্যুৎ কি? বিদ্যুৎ কাকে বলে? বিদ্যুৎ কয় প্রকার ও কি কি এবং এর উৎস

বিদ্যুৎ কি: বিদ্যুৎ হলো এমন একটি অদৃশ্য শক্তি যা আলো, শব্দ, তাপ এবং গতি ইত্যাদি শক্তিতে দ্রুত রূপান্তরিত হতে পারে এবং রূপান্তরিত হয় বিভিন্ন ধরনের বাস্তব কাজ দ্রুত সমাধান করতে পারে। বিদ্যুৎ হচ্ছে কারেন্ট এবং ভোল্টেজের গুণফলের সমন্বয় গঠিত একটি শক্তির নাম।

আমরা আমাদের পাশের বাইরে থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে বিশেষ কাজ সম্পাদন করার জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার করি।

আর এই বিদ্যুতের ব্যবহার বর্তমানে এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, বিদ্যুতে ছাড়া প্রতিটি সময় আমাদেরকে অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়।

বিদ্যুৎ হচ্ছে একটি উপাদান যে উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিজের কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তি হচ্ছে ঐ শক্তি যে শক্তির মাধ্যমে যে কোন বস্তুকে কর্মদক্ষতা প্রদান করা যায় কাজ সম্পাদন করার জন্য।

বিদ্যুৎ কি
বিদ্যুৎ কি?

বর্তমানে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে তবে অনেকে আছে যারা বিদ্যুৎ সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ ধারণা রাখি না। তাই বিদ্যুৎ সম্পর্কে যাবতীয় ধারনা অর্জন করার জন্য এই পোস্টটির সাজানো হয়েছে এবং আশা করি আপনারা পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন।

বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই সাথে ইহার দ্বারা কাজ হয়ে উঠেছে অনেক বেশি সহজ ও নির্ভুল।

শুধুমাত্র বাসা বাড়িতে নয় বরং কৃষি ক্ষেত্রেও যাবতীয় কাজ সমাধান করার জন্য ব্যবহার হয় আসছে বিদ্যুতের দ্বারা চালিত যন্ত্র।

আর বিদ্যুৎ হচ্ছে একটি অদৃশ্য শক্তি যাকে চোখ দিয়ে দেখা যায় না তবে, ইহার দ্বারা ঘটিত বা সংঘটিত কাজ অনুভব করা যায়। বিদ্যুৎ নিজে কোন কাজ করে না বরং প্রথমে নিজেকে রূপান্তরিত করে এবং এ রূপান্তরের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে।

বিদ্যুৎ কাকে বলে?

বিদ্যুত কাকে বলে: অদৃশ্য একটি শক্তি যা রুপান্তরিত হয় আলো, শব্দ, তাপ এবং গতি ইত্যাদি বাস্তব রূপে প্রতিফলিত হতে পারে এবং খুব দ্রুত অসংখ্য বাস্তব কাজ সমাধা করা যায় তাকে বিদ্যুৎ বলে। আর বিদ্যুৎ সম্পর্কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো বিদ্যুৎ সর্বদা স্থির থাকে না বা স্থির থাকতে পারে না। কখনো না কখনো বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর হবে এবং নিজের রূপান্তর ঘটে কাজ সম্পন্ন করবেই, এটি এর নিয়ম।

বিদ্যুতের বড় সুবিধা হলো যে ইহার মাধ্যমে অনেক বড় বড় কাজ খুব সহজে সমাধান করা যায় এবং কাজটি নির্ভুল হয়।

এই বিদ্যুৎ হচ্ছে একপ্রকার শক্তি যা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য, তবে যখন রূপান্তরিত হয় তখন বাস্তব কাজ হিসেবে নিজেকে দৃশ্যমান করে থাকে।

এই বিদ্যুতের যে রূপান্তরিত হয় তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো আমরা বাসা বাড়িতে বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করি। যেটি বিদ্যুতের সাথে সংযুক্ত হওয়া মাত্র আলোকিত হয়ে ওঠে, অর্থাৎ বিদ্যুৎ শক্তি এই অবস্থায় আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয় বাস্তব কাজের সমাধান করে।

এগুলো তো ছিল বিদ্যুতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তবে বিদ্যুতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো এর প্রকারভেদ গুলো।

বিদ্যুতের কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের সকলের ন্যূনতম জ্ঞান রাখা উচিত বলে আমি মনে করে থাকি।

বিদ্যুৎ কয় প্রকার ও কি কি?

কাজ করার উপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিকভাবে আমরা বিদ্যুৎ কিছু ভাগে ভাগ করে থাকে এবং এগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে থাকি। বিদ্যুৎ কে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় বা বিদ্যুৎ কয় প্রকার ও কি কি শেষ সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আপনাদের সাথে।

পরিবাহীর উপর ভিত্তি করে বিদ্যুৎ কে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, এগুলো হলো:

১.) স্থির বিদ্যুৎ

২.) চল বিদ্যুৎ

স্থির বিদ্যুৎ: যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন স্থানে স্থির থেকে যায় তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে এবং এটি ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন হয়। স্থির বিদ্যুতের ব্যবহার এর মাধ্যমে বাস্তব কোন ধরনের ক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। দুইটি অপরিবাহী পদার্থের ঘর্ষণের ফলে বা ঘর্ষণের মাধ্যমে স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

চল বিদ্যুৎ: যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন স্থানে স্থির থাকে না এবং পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় অসংখ্য বাস্তব কাজ সমাধান করতে সক্ষম হয়ে তাকে চল বিদ্যুৎ বলে। বিদ্যুতে চলাচলের ওপর ভিত্তি করে চল বিদ্যুৎ আবার দুই প্রকার, যথা:

  • DC বা ডাইরেক্ট কারেন্ট।
  • AC বা অল্টারনেটিং কারেন্ট।

DC বা ডাইরেক্ট কারেন্ট: সময়ের সাথে যে কারেন্টের মান এবং দিক পরিবর্তন হয় না বা অপরিবর্তিত হয় তাকে DC বা ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে।

AC বা অল্টারনেটিং কারেন্ট: যে কারেন্টের মান এবং দিয়ে কে সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাকে AC বা অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে।

বিদ্যুতিক ব্যাটারি ব্যতীত অন্যান্য সকল ধরনের বিদ্যুৎ চলাচলের ব্যবস্থাকে AC বা অল্টারনেটিং কারেন্ট বলা হয়ে থাকে।

এগুলো হলো বিদ্যুতের কিছু প্রকারভেদ এবং সেইসাথে প্রকারভেদ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে পুরো পোস্ট হয়ে যাবে একটির উপর, তাই আমি শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান প্রদান করেছি।

এই বিদ্যুতের প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে শুধুমাত্র এতোটুকু জ্ঞান রাখলে আপনার পক্ষে যথেষ্ট হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

তবে স্থির বিদ্যুৎ এবং চলবিদ্যুৎ এই দুইটির মধ্যে আরও বিষয় রয়েছে পদার্থবিজ্ঞানে যেগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে সঠিক সমাধানের জন্য।

বিদ্যুতের উৎস

বিদ্যুৎ কি বা বিদ্যুৎ কাকে বলে বা বিদ্যুৎ কত প্রকার ও কি কি এই সকল বিষয়ে পরিপূর্ণ তথ্য প্রদান করে আজকের এ পোস্টটি সাজানো। আপনি যদি বিদ্যুৎ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানতে চান এবং জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত যতগুলো তথ্য দিয়েছে প্রত্যেকটি পড়ুন।

আমরা বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে আছে বা এর উৎস কোথায় এর সম্পর্কে অনেকে অবগত নই।

তবে আমাদেরকে অবশ্যই বিভিন্ন পরীক্ষায় এই সকল বিষয়ে প্রশ্ন আসতে পারে যে বিদ্যুতের উৎস কোথায় বা কতগুলো।

আপনাদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু বিদ্যুতের উৎস নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি উৎস।
  • জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি অন্যতম উৎস।
  • টারবাইন হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি বিশেষ ধরনের বিদ্যুৎ উৎস।
  • জেনারেটর হলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি কৃত্রিম বিদ্যুৎ উৎস।
  • চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা তৈরিকৃত অদৃশ্য শক্তি হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি উৎস।
  • কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারা তৈরিকৃত বিদ্যুৎ হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রাকৃতিক উৎস।

এগুলো হলো বিদ্যুতের কিছু উৎসব যেগুলো থেকে আমরা বিদ্যুৎ সংক্ষেপে থাকে এবং পরবর্তীতে তা বিভিন্ন কাজের রূপান্তর করতে সক্ষম হয়।

উৎস ছাড়া বিদ্যুৎ তৈরি বা উৎপন্ন হতে পারে না এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন না হলে আমরা কাজে রূপান্তর করতে পারবো না।

বিদ্যুৎ হচ্ছে একপ্রকার শক্তি যেটা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য তবে রূপান্তর হওয়ার মাধ্যমে বাস্তব কাজে প্রতিফলন ঘটায় ও মানুষের উপকার করে। আর বিদ্যুৎ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য যেহেতু উল্লেখ করেছি সুতরাং পোস্টে এখান থেকে স্থগিত করলাম এবং শুভ বিদায় নিয়ে গেলাম।

আরও পড়ুন: প্রযুক্তি কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top