বাষ্পীভবন কাকে বলে? বাষ্পায়ন কি? উদাহরণ দাও?

বাষ্পীভবন কাকে বলে: কোন তরলকে তাপ প্রদান করার মাধ্যমে বাষ্পে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে। বলতে গেলে বলা যায়, বাষ্পীভবন এবং স্ফুটনাঙ্ক উভয়ে একই জিনিস কেননা উভয় দ্বারা তরলকে বাষ্পে রূপান্তর করাকে বোঝানো হয়।

কোন একটি পদার্থকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছানোর পর বাষ্পে পরিণত করার যে প্রক্রিয়া রয়েছে সে প্রক্রিয়া হচ্ছে বাষ্পীভবন।

আমরা এই বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেকোনো পদার্থকে বাসবে রূপান্তর করতে পারে এবং গ্যাস হিসেবে জমা করে রাখতে পারি।

বিভিন্ন সময় আমাদের প্রয়োজন হতে পারে কোন একটি পদার্থকে গ্যাস হিসেবে সংরক্ষণ করার এবং এজন্য আমাদেরকে বাষ্পীভবন করতে হবে।

বাষ্পীভবন কাকে বলে
বাষ্পীভবন কাকে বলে?

বর্তমানে আমরা বাষ্পীভবন ব্যবহার করে মূলত ফিল্টারিং ব্যবস্থাটি অনেক বেশি উন্নত করছে এবং বিশুদ্ধ পানি লাভ করতে পারছি। পানি শিল্পে বা পানি কারখানায় বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত করার জন্য পানিকে উত্তপ্ত করে বাষ্পে রূপান্তর করা হয় এবং তারপর এটিকে পুনরায় শীতল করে বিশুদ্ধ পানি লাভ করা হয়।

কিন্তু যদি আবার পুরোপুরি এখানে বাষ্পীভবন কাজ করে না তবুও প্রথমদিকে পানি বিশুদ্ধতা লাভের জন্য বাষ্পীভবন কাজ করেছে।

তাই বলা যায়, বর্তমানে আমরা এ বাষ্পীভবন ব্যবহার করে অনেক কাজ করতে পারছি এবং বিশেষ করে বিশুদ্ধতা উপভোগ করছি।

আর বিশুদ্ধ পানি খাওয়া যেহেতু আমাদের জন্য ভালো তাই বাষ্পীভবন এই প্রক্রিয়াটি আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী হবে স্বাস্থ্যের জন্য।

বাষ্পায়ন কি?

কোনো তরল পদার্থকে কক্ষ তাপমাত্রায় তাপ প্রদান করে বাষ্পে পরিণত করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে বাষ্পায়ন।

বাষ্পীভবন, বাষ্পায়ন এবং স্ফুটনাঙ্ক উভয় দ্বারা একই বিষয় নির্দেশ করা হয় এবং সে বিষয়টি হচ্ছে বাষ্পে রূপান্তর করার বিষয়টি।

বাষ্পায়ন বলতে আমরা নিজ চোখে দিয়ে যদি এটিকে অনুভব করতে পারে তাহলে অবশ্যই এটি আমাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা হতে পারে। আপনি হয়তো বা ভাত হতে দেখেছেন এবং সেখানে লক্ষ্য করবেন বিভিন্ন প্রকার বুদবুদ সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে এগুলো সাদা ধোঁয়া হিসেবে উড়ে চলে যায়।

আর ভাত হওয়ার সময় সাদা যে সকল ধোয়াগুলো উড়ে যায় সেগুলো হচ্ছে বাষ্পায়নের উদাহরণ অর্থাৎ বাষ্পীভবনের কাজ।

যেখানে ভাত রান্না করা ব্যবহৃত পানি গুলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছানোর মাধ্যমে বাষ্পে রূপান্তরিত হয়েছে এবং বাষ্পীভবন পরিলক্ষিত হয়েছে।

চলুন আমরা তাহলে আরো কিছু, উদাহরণ জানার চেষ্টা করে যার দ্বারা বাষ্পীভবন নির্দেশ করা যায়।

বাষ্পীভবন বা বাষ্পায়নের উদাহরণ দাও

শীতকালে পানি গরম করার পর, সেই প্রাণী কাপে রাখলে ওই গরম পানি থেকে কিছু বাষ্প উড়ে যায়।

বাষ্প উড়ে যাওয়ার এই প্রক্রিয়াটি হচ্ছে বাষ্পীভবন এবং এটি হলো বাষ্পীভবনের উদাহরণ।

তবে, একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় রয়েছে সেটি হচ্ছে গলনাঙ্ক এবং বাষ্পীভবনের ক্ষেত্রে কিছু কিছু স্থানে গলনাঙ্ক প্রয়োজন হয়। যেমন যদি আমরা কোন কঠিন পদার্থের বাষ্পীভবন করতে চায় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে এর জন্য প্রথমে গলনাঙ্ক দিয়ে কাজ করতে হবে।

কেননা স্পুটনাঙ্ক বা বাষ্পীভবন তখনই হবে যখন একটি তরল কে আমরা উত্তপ্ত করবো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছানোর পর।

তবে তরলে রূপান্তর করার জন্য আমাদেরকে কঠিন পদার্থকে প্রথমে নির্দিষ্ট তাপ দিয়ে গোলাতে হবে যা গলনাঙ্ক দ্বারা করা সম্ভব।

বাষ্পীভবন কাকে বলে এ বিষয়ে নিয়ে কাজ করতে গেলে আমাদেরকে গলনাঙ্ক প্রয়োজন হবে এবং গলনাঙ্ক সম্পর্কে জানতে হবে। গলনাঙ্ক সম্পর্কে জানতে হলে নিচে দেওয়া নীল রঙের লেখাটিতে আপনি প্রবেশ করুন এবং আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো গলনাঙ্ক সম্পর্কে জানুন।

আরও পড়ুন: গলনাঙ্ক কাকে বলে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top