বায়ুবাহিত রোগ কি? বায়ুবাহিত রোগের উদাহরণ দাও?

বায়ুবাহিত রোগ কি: যে সকল রোগের জীবাণু বায়ুর মাধ্যমে প্রবাহিত হয় জীবের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায় তাকে বায়ুবাহিত রোগ বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, বায়ুর মাধ্যমে ছড়ানো রোগগুলোকে বায়ুবাহিত রোগ বলে।

এ বায়ুর দ্বারা ছড়ানো রোগ গুলো আমাদের শরীরের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। আর এমনটা তখনই হয় যখন আমরা দূষিত বায়ু গ্রহণ করে এবং বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকি এবং এই দূষিত বায়ুর মূল কারণ হচ্ছে আমরা।

কেননা আমরা যে অক্সিজেন গ্রহণ করে তা সরাসরি উদ্ভিদের কাছ থেকে পায় এবং অবশ্যই এই অক্সিজেনটি সম্পূর্ণরূপে পরিশুদ্ধ হয়।

কিন্তু আমাদের দ্বারা সংগঠিত কারণে এই বায়ুর সাথে কিছু দূষিত পদার্থ যুক্ত হয় এবং বায়ু দূষণের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে থাকে।

বায়ুবাহিত রোগ কি
বায়ুবাহিত রোগ কি?

অর্থাৎ আমরা যে বায়ুবাহিত রোগ দ্বারা আক্রান্ত হই, তা অযথা আক্রান্ত হয় না বরং আমাদের দ্বারা কিছু অস্বাভাবিক ক্রিয়া-কলাপের জন্য হয়।

আর এই বায়ু দূষণের পেছনে আমরা সকলে দায়ী রয়েছে কেননা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে বায়ু দূষণ হতে পারে।

বায়ুবাহিত রোগ বিভিন্ন কারণে জীবের শরীরে দেখাবে, যেমন: দূষিত বায়ু গ্রহণের ফলে, ধুলা-ময়লা যুক্ত স্থানে কিছুক্ষণ অবস্থান করলে, ময়লা-আবর্জনা যুক্ত স্থানে কিছুক্ষণ অবস্থান নিলে এবং মৃত জীবজন্তুর পাশ দিয়ে গেলে।

এগুলো হলো কিছু মাধ্যম যে মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে বায়ুবাহিত রোগের জীবাণু আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে।

তবে আপনি যদি বায়ুবাহিত রোগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই বায়ুবাহিত রোগ গুলোর নাম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

বায়ুবাহিত রোগ গুলো কি কি?

আমরা হয়তোবা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়ুবাহিত রোগটির নাম সম্পর্কে অবগত হয়েছে এবং এর প্রভাব কিছুটা জানি।

আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা বায়ুবাহিত রোগ বলতে কোন রোগগুলোকে বোঝানো হয় সে সম্পর্কে অবগত না।

তাই আপনি যেন বায়ুবাহিত রোগের নাম সম্পর্কে জানতে পারেন এবং রোগের নাম শুনা মাত্র কী কারণে রক্তের আক্রান্ত হয়েছে তা বুঝতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বায়ুবাহিত রোগের নাম গুলো সম্পর্কে জানতে হবে বায়ুবাহিত চিহ্নিত করার জন্য।

বায়ুবাহিত রোগ গুলো কি কি বা বায়ুবাহিত রোগের কিছু নাম নিচে প্রদান করা হলো:

  • কোভিড 19 বা করোনা ভাইরাস, যক্ষা এবং এইডস।
  • নিপা ভাইরাস, হাম, বার্ড ফ্লু এবং জিকা ভাইরাস।
  • বসন্ত, হাঁপানি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং হাঁচি কাশি।
  • নিউমোনিয়া, টাইফয়েড এবং এইচআইভি ভাইরাস।
  • পেট ব্যথা, বুকে ব্যথা, শরীরের ব্যথা এবং ডায়রিয়া ইত্যাদি।

গুলো হল বায়ুবাহিত রোগের কিছু নাম এবং মানুষ যখন বায়ুবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তখন সবচেয়ে বেশি এই কয়েকটি রোগের মধ্যে আক্রান্ত হয়। আর বায়ুবাহিত রোগ কোন ছোঁয়াচে রোগ নয় বরং এটি বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে আর ওপর দিকে ছোয়াচে রোগ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।

অনেকে আমাদের মাঝে থাকতে পারে যারা ছোঁয়াচে রোগ এবং বায়ুবাহিত রোগকে একই রোগ বলে বিবেচনা করে ফেলতে পারে।

আর অবশ্যই আপনাকে এটি মাথায় রাখতে হবে যে ছোঁয়াচে রোগ এবং বায়ুবাহিত রোগ সম্পূর্ণরূপে অনেক বেশি পার্থক্য পূর্ণ হয়ে আছে।

শেষ কথা:

আপনি যদি ছোঁয়াচে রোগটিকে বায়ুবাহিত রোগের মত বিবেচনা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ভুল ভাবছেন বা ভুল বিবেচনা করেছেন।

বায়ুবাহিত রোগ কি এর উত্তর দিতে গেলে প্রথমে বায়ুর কথা চলে আসে যার মাধ্যমে এই রগেটে আমাদের শরীরে বা অন্যান্য জীবে ছড়িয়ে থাকে। আর অবশ্যই বায়ুবাহিত রোগ মরণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে কেননা এর প্রভাব যদি অনেক বেশি শরীরের মধ্যে বৃদ্ধি পায় তাহলে অবশ্যই এটি ক্ষতিকর।

এমন বায়ুবাহিত রোগের অসংখ্য নাম রয়েছে যেগুলোর দ্বারা পুরো পৃথিবীতে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছিল এবং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অচল করেছিল।

তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে বায়ুবাহিত রোগের সঠিক চিকিৎসা বের হয়েছে সুস্থ হওয়ার জন্য।

এই বায়ুবাহিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বা নিজেকে প্রতিরক্ষা প্রদান করার জন্য আপনি বায়ুবাহিত রোগের কিছু প্রতিকার অবলম্বন করতে পারেন। আর বায়ুবাহিত রোগের সবচেয়ে ভালো প্রতিকার হচ্ছে কথা বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক দিয়ে বের হওয়া, যা বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে।

যদিও বায়ুবাহিত রোগের চিকিৎসা রয়েছে তবুও আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কেননা ইহার মাধ্যমে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

বায়ুবাহিত রোগের কারণে আমাদের শরীর দুর্বল হয় এবং এটি একটি খারাপ দিক তাই আমাদেরকে বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ছোঁয়াচে রোগ কাকে বলে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top