বানরের বৈজ্ঞানিক নাম কি? বানরের বৈশিষ্ট্য

বানরের বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আমরা অনেকেই আছে যারা মনে করে মানুষ আর বানর তো একই ধরনের যে বৈজ্ঞানিকভাবে। তাহলে হয়তোবা বানরের “Scientific” নাম এবং মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম একই হবে।

আপনিও যদি এমনটি মনে করে থাকেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন বা ভুল মনে করছেন। কেননা বানরের “Scientific” নাম এবং মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কখনো একই হতে পারে না। বানর হচ্ছে আলাদা গণ এবং প্রজাতির প্রাণী আবার মানুষ হচ্ছে আলাদা গণ এবং প্রজাতির প্রাণী।

বিজ্ঞানসম্মত নাম হিসেবে বানরের নিজস্ব একটি Scientific Name রয়েছে, অবশ্যই আমি এই পোস্টের মাধ্যমে বানরের সেই Scientific নামের বর্ণনা দিব।

বানরের Scientific Name সম্পর্কে অবগত হওয়ার মাধ্যমে আমরা বানরের সম্পর্কে অবহিত হব।

বানরের বৈজ্ঞানিক নাম
বানরের বৈজ্ঞানিক নাম

আবার বানরের Scientific নাম দ্বারা আমরা বানরের প্রজাতি সম্পর্কেও অভিভূত হতে পারব।

আপনিও যদি বানরের এই সকল নতুন তথ্য গুলো সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করতে চান তাহলে পুরো পোস্টে পড়ুন।

বানর কখনো শান্তশিষ্ট প্রাণী নয় বরং এটি অনেক বেশি দুষ্টু এবং চঞ্চল প্রকৃতির। বানর সর্বদা দুষ্টুমি করে থাকে এবং অন্যান্য প্রাণীদের কেও বিরক্ত করে থাকে। এরা বিরক্ত করার সময় হাতির সাথেও দুষ্টুমি করতে পিছপা হয় না।

বানর তার বাসস্থান হিসেবে উচু উঁচু সকল উদ্ভিদ অথবা বৃক্ষকে নির্বাচন করে থাকে।

মানুষের মত এদেরও পুং এবং স্ত্রী উভয় ধরনের গ্যামেট বা লিঙ্গ রয়েছে।

বানরের বৈজ্ঞানিক নাম কি?

বানরের Scientific নাম হলো: Macaca mulatta (মাকাকা মুলতা) এবং এটি মানুষের বিজ্ঞানসম্মত নামের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর এটি ছিল বানরের বিজ্ঞানসম্মত নাম এবং আশা করি আপনার বানরের বিজ্ঞানসম্মত নামের প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন।

এখানে আমরা বানরের বিজ্ঞানসম্মত নাম থেকে এটি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি যে বানরের বিজ্ঞানসম্মত নাম এবং মানুষের নাম ভিন্ন।

কিন্তু তবুও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে যে মানুষ বানর প্রজাতি থেকে ধীরে ধীরে বিবৃত হয় এসেছে এবং উন্নত হয়েছে।

কিন্তু এই বইটা এই নামটি দ্বারা এটি স্পষ্টভাবে বলা যায় যে বানরের গণ এবং প্রজাতির মানুষের থেকে ভিন্ন। আর ভিন্ন হওয়ার কারণে যদিও বা এই বিষয়টি সম্ভব না কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয়েছে মানুষ বানর প্রজাতি থেকে বিবৃত হয়ে এসেছে।

এই বানরের বৈশিষ্ট্য?

প্রত্যেকটি প্রাণের কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে ঠিক তেমনি বানরের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার মধ্যে লাফিয়ে চলা অন্যতম। এছাড়াও বানরের আরো বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো আমরা জানার চেষ্টা করবা আমাদের আজকের এই পোস্টটি লক্ষ্য করে বানর নিয়ে।

নিচে বানরের উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:

  • এরা গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়াতে পারে এবং হাত পা উভয় একসাথে ব্যবহার করতে পারে।
  • এরা বেশিরভাগ সময় চার পায়ে ভর করে বেড়ায় তবে মানুষের মতো দুই পা ব্যবহার করতে পারে।
  • বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে এরা বেশ চঞ্চল হয় এবং অন্যকে অসহায় ফেলতে পছন্দ করে।
  • এরা প্রায় সকল প্রাণের সাথে দুষ্টামি করে এবং তাদেরকে বিভিন্ন বিপদে ফেলানোর চেষ্টা করে।
  • এরা খাবার হিসেবে বেশিরভাগ সময় ফল খেয়ে থাকে এবং তৃণভোজী হিসেবে বিবেচিত।
  • বানরের পছন্দনীয় খাবার হলো কলা এবং এরা বনে জঙ্গলে বেশি দেখা যায়।
  • এরা নিজের উকুন নিজে খেয়ে ফেলে এবং এটাকে তারা হবি হিসেবে চিন্তা করে।
  • বানর বেশিরভাগ সময় দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে পছন্দ করে।

এগুলো হলো সাধারণ কিছু বানরের বৈশিষ্ট্য যেগুলো জানা আমাদের পক্ষে অনেক বেশি সহজ এবং বানর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেল। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা বানর সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং বিজ্ঞানসম্মত নাম জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন: টাকি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top