বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ | শিশুর আমাশয় দূর করার ঔষধ

৩টি উল্লেখযোগ্য বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ফিলমেট সিরাপ (Filmet Syrup)
  • আমোডিস সিরাপ (Amodis Syrup)
  • জক্স সিরাপ (Zox Syrup)

আপনার বাচ্চার পাতলা পায়খানা দেখা দিলে এই তিনটি সিরাপ অনেক বেশি কাজও করে হবে আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রে। কেননা যে কোন ক্ষেত্রে আপনি আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা লক্ষ্য করলে এই তিনটি সিরাপের মধ্যে যেকোনো একটি প্রয়োগ করতে পারেন।

এর জন্য কোন ডাক্তার পরামর্শ নিতে হবে না এবং কোন ধরনের বিশেষজ্ঞদের নিকট যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা দূর করতে চান এবং শিশুকে মুক্তি প্রদান করতে চান পাতলা পায়খানা থেকে তাহলে অবশ্যই এই তিনটির মধ্যে একটি সিরাপ প্রয়োগ করুন।

পাতলা পায়খানা দূর করার ক্ষেত্রে এই তিনটি সিরাপের প্রত্যেকটি অনেক বেশি কার্যকর এবং দ্রুত সমাধান নির্ণয় কাজ করে থাকে। বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা এবং আমাশয় এই দুইটি রোগের ক্ষেত্রে আপনি ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজেই।

এই তিনটি ঔষধ আপনার বাচ্চার পাতলা পায়খানা দূর করে দেবে এবং আমাশয় থেকে মুক্তি প্রদান করবে। তবে মনে রাখবেন এই ঔষধ গুলো শুধুমাত্র আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা এবং আমাশয় বন্ধ করতে সহায়তা করবে।

পাতলা পায়খানা ও আমাশয় হওয়ার পর আপনার শিশুর শারীরিক ঘাটতি পূরণ করার জন্য অন্য একটি ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে। আর সেই ব্যবস্থাটি হচ্ছে খাবার স্যালাইন প্রদান করতে হবে যার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক ঘাটতি পূরণ হবে।

উপরোক্ত ঔষধগুলো খাবার নিয়ম হচ্ছে দিনে ২-৩ বার ১ চামচ করে প্রদান করতে হবে এবং এভাবে মোট ৩ দিন প্রদান করলে আপনার শিশু সুস্থ হয়ে যাবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে যদি দেখেন আপনার শিশুর পাতলা পায়খানার পরিমাণ একটু কম তাহলে ১-২ বার এক চামচ করে প্রদান করবেন এবং সর্বোচ্চ ২ দিনের মতো প্রদান করবেন।

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার লক্ষণ

কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো পরিলক্ষিত হওয়ার পর আমাদেরকে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার ঔষধ এর সরবরাহ করতে হয়। তবে আমরা লক্ষণ যদি নাই জানি তাহলে বুঝবো কিভাবে যে আমাদের শিশুর পাতলা পায়খানা হয়েছে।

তাই প্রথমে আমাদেরকে শিশুর পাতলা পায়খানা সনাক্ত করতে হবে এবং তারপর নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ প্রদান করতে হবে। যেহেতু শিশু তাই ঔষধ প্রদান না করে আমাদেরকে সিরাপ প্রদান করতে হবে।

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার লক্ষণ

  • পাতলা পায়খানা হলে প্রথমেই পেটে অনেক বেশি ব্যথা অনুভব করবে, অথবা পেট কামড়াবে।
  • পেট ফুলা জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে অনেক শিশুর ক্ষেত্রে এটি লক্ষ্য হয় না।
  • দিনে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ বারের মত ঘন ঘন পায়খানা করতে যাবে।
  • পায়খানা বেশি শক্ত হবে না বরং সম্পূর্ণরূপে তরল জাতীয় পদার্থের মত হবে।
  • পাতলা পায়খানার সাথে আমাশয় হলে পেটে অনেক বেশি ব্যথা দিবে।

এগুলো হলো বাচ্চাদের পাতা পায়খানার লক্ষণ এবং সাধারণত পাতলা পায়খানা দেখা দিলে এ কয়েকটি লক্ষণ বাচ্চাদের আচরণে দেখা দেয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পেটে এসিডিটির সমস্যা থাকার কারণেও পেটব্যথা দেখা দিতে পারে।

পাতলা পায়খানা সনাক্তকরণের সবচেয়ে বড় এবং উপযোগী লক্ষণ হলো দিনে সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৫ বার পায়খানা করতে যাওয়া। এবং পায়খানা কষা না হয় তরল জাতীয় পদার্থের রূপান্তরিত হওয়া।

আশা করি এখন আপনারা আপনার শিশুর পাতলা পায়খানার লক্ষণ দ্বারা উপযুক্ত রোগ সনাক্ত করতে পারবেন। আপনার শিশুর পাতলা পায়খানা দেখা দিলে প্রথমে আপনাকে খাবার স্যালাইন এর পানি প্রদান করতে হবে, যেন শারীরিক ঘাটতি দূর হয়।

এরপর অবশ্যই আপনাকে আপনার শিশুর জন্য অনেক বেশি করে যত্ন নিতে হবে যেন কোন প্রকার সমস্যা না দেখা দেয়।

তারপর পরিমাণ মত ঔষধ সেবন করতে হবে, অবশ্যই খাবার খাওয়ার পর ঔষধ প্রদান করতে হবে।

বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি

শিশুর পাতলা পায়খানা দেখা দিলে আমরা উপযুক্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করি না এবং এ কারণে কিছু কিছু শিশুর আছে যারা অনেক বেশি সমস্যায় পড়ে। শিশুকে নিয়ে আমাদেরকে একটু বেশি চিন্তা ভাবনা করতে হবে এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ প্রদানে।

বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি
বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি?

সেটা হতে পারে পড়ালেখা বিষয়, খেলাধুলা বিষয় এবং অসুখ বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়।

আমাদের শিশু প্রায় বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং এর মূল কারণ হচ্ছে শিশুরা অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়ে থাকে।

তবে আজকে যেহেতু মূল বিষয় পাতলা পায়খানা, তাই চলুন দেখে নে কিভাবে বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করব। এবং আমাদের করণীয় কি বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা দেখা দিলে।

  • প্রথমে বাচ্চাকে খাবার স্যালাইন প্রদান করতে হবে, যেন শারীরিক ঘাটতি দূর হয়।
  • খাবার প্রদান করার বিষয়ে সচেতন রাখবেন, যেন অনেক বেশি নরম খাবার না খায়।
  • অবশ্যই খাবার প্রদান করার ক্ষেত্রে বহিরাগত কোন খাবার প্রদান করা যাবে না যেমন বিস্কুট।
  • অবশ্যই একটি উপযুক্ত পরিবেশ নির্বাচন করতে হবে যেন শিশুকে বেশি ঠান্ডা বা গরম না লাগে।
  • শিশুকে একবার গোসল করিয়ে দিতে হবে, কেননা এতে তার শারীরিক মলমত্র ধুয়ে যাবে।

শিশুর আমাশয় কিংবা পাতলা পায়খানা দেখা দিলে আমাদেরকে এই কয়েকটি করনীয় অবলম্বন করতে হবে।

কেননা আপনার আমার সচেতনতায় পারবে কেবলমাত্র আমাদের শিশুকে দ্রুত সুস্থ করতে এবং পুনরায় মনোযোগী করে গড়ে তুলতে।

আশা করে আপনারা এখন থেকে আপনার শিশু রুপার ব্যতীত সেই দায়িত্বশীল হবেন এবং যেকোনো রোগের উপর লক্ষ্য রাখবেন।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে শিশু পাতা পায়খানা আক্রান্ত হয় শারীরিক ঘাটতির কারণে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে।

তাই আপনার শিশুর শারীরিকসির রক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।

আপনার যত্ন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে কেবলমাত্র পারে আপনার শিশুর সম্পূর্ণ সুস্থ করে গড়ে তুলতে।

শেষ কথা

বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ এই পোস্টটি আমরা আপনার শিশুর উপকারের জন্য তৈরি করেছি।

আশা করি আমাদের এই পোস্টে আপনার শিশুর এবং আপনার অনেক বেশি উপকারে আসবে।

তবে মূল কথায় বলা হলো না শিশুর পাতলা পায়খানা কেন দেখাবে।

বেশি বলতে গেলে আপনার মাথার উপর দিয়ে যাবে তাই সহজ ভাষায় বলতে গেলে অপরিষ্কার পরিবেশের কারণে।

পরিবেশ ভালো না বলতে দূষিত পানি, দূষিত বায়ু এবং দূষিত মাটি এ সকল কারণে দেখা দিতে পারে।

পাতলা পায়খানা বা আমাশয় হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ হচ্ছে এগুলোই যার মধ্যে রয়েছে দূষিত প্রাণী গ্রহণ এবং দূষিত বায়ু গ্রহণ।

আবার আমরা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের শিশুকে খালি পা দিয়ে হাটতে দেই যার ফলে মাটিতে থাকা জীবাণু শিশু শরীরে প্রবেশ করে।

আর এ কারণে শিশুর আমাশয় কিংবা পাতলা পায়খানা জনিত সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।

তাই আপনার শিশুকে যে কোন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি প্রদান করতে আপনার সচেতনতায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।

আপনার শিশুকে পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব প্রদান করার ক্ষেত্রে যেমন আপনার ভূমিকা রয়েছে ঠিক তেমনি সুস্থতা প্রদানের ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা থাকতে হবে।

শিশুর সর্বাধিক সুরক্ষা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার শিশুকে প্রতিনিয়ত সাবান দিয়ে হাত ধোয়াতে হবে এবং ফুটিয়ে পানি প্রদান করতে হবে।

প্রতিনিয়ত ভালোভাবে গোসল প্রদান করতে হবে এবং যেকোনো ধরনের ময়লা আবর্জনা যুক্ত স্থান থেকে বিরত রাখতে হবে।

প্রসাব পায়খানা জনিত স্থান যেমন গরুর মল-মূত্র ইত্যাদি অঞ্চল থেকে দূরে রাখা।

আরও পড়ুন: পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top