বাগযন্ত্র কাকে বলে: কথা বলার ক্ষেত্রে মানুষ বাক-প্রত্যঙ্গ হিসেবে যে অঙ্গগুলো ব্যবহার করে, সেগুলোকে একত্রে বাগযন্ত্র বলা হয়। মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে বাগযন্ত্র ব্যবহার করে থাকে এবং এই বাগযন্ত্রের দাঁড়ায় মানুষ তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে সক্ষম।
মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য বিভিন্ন প্রকার অর্থবোধক ধ্বনি বা আওয়াজ বের করে থাকে থেকে অন্যের মাঝে। আর মানুষের ভাব প্রকাশ করার জন্য যে আওয়াজ বের করে থাকে সে আওয়াজ বের করার জন্য ব্যবহৃত অঙ্গ গুলোকে বাগযন্ত্র বলে।
আর ধ্বনি উচ্চারণের মূল হচ্ছে বাগযন্ত্র কেননা ইহার মাধ্যমে আওয়াজ তৈরি হয়ে যায় অর্থবোধক হয়ে থাকে। বাগযন্ত্র দিয়ে যেকোনো ধরনের আওয়াজ উৎপন্ন করা যায় এবং এটি বিভিন্ন ভাষার উপর ভিত্তি করে বিভিন্নভাবে বের হয় মানুষের বাগযন্ত্র দিয়ে।
মানুষ তার যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে থাকে একে অপরের সাথে এবং মনের কথা ব্যক্ত করে। তবে এই মনের কথা ব্যক্ত করার জন্য এবং বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার জন্য একটি অর্থবোধক আওয়াজ নিজের ভেতর থেকে বের করতে হয়।
নিজের ভেতর থেকে অর্থবোধক এ সকল আওয়াজ বের করার জন্য প্রয়োজন হয় বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গাণু। যেগুলো দ্বারা আমরা বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ বের করতে পারি এবং সেই সাথে অর্থবোধক ভাবে উপস্থাপন করতে পারি কমিউনিকেট করার ক্ষেত্রে।
আমরা আওয়াজ বের করার জন্য বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও উপাদানসমূহ ব্যবহার করে থাকে যেগুলো আওয়াজ বের করতে পারে।
বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও উপাদানসমূহ
আমরা যেমন পূর্বে বলেছিলাম যে আমরা আওয়াজ বের করার জন্য বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও উপাদানসমূহ ব্যবহার করি।
তবে এখন আমাদেরকে উচিত হবে এ সকল উপাদান সমূহ বা অংশসমূহ সম্পর্কে জানা যেগুলো দ্বারা আমরা আওয়াজ উৎপন্ন করে অর্থবোধক।
তাই চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন উপাদান গুলো অংশগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি বাগযন্ত্র হিসেবে। আর অবশ্যই আমরা এই সকল বাগযন্ত্রের উপাদান ও অংশ গুলো ব্যবহার করে থাকে নিজের অর্থবোধক ধ্বনি ও মত প্রকাশের জন্য।
বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ফুসফুস, শ্বাসনালী এবং স্বরযন্ত্র।
- জিভ, আলজিভ এবং গলনালি।
- মুখবিবর, কন্ঠ এবং তালু।
- দাঁত, নাক এবং আলজিভ ইত্যাদি।
ফুসফুস
মুখ থেকে আওয়াজ বা শব্দ সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে বায়ুর প্রয়োজন হয় এবং এই বায়ু উৎপন্ন হয় ফুসফুস থেকে।
আর ফুসফুস শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে ধ্বনি উৎপন্ন করে।
শ্বাসনালী
ফুসফুস থেকে বাতাস এই শ্বাসনালী দাঁড়ায় আমাদের মুখবিবর ও নাসাগ্রন্থে উপস্থিত হয় এবং ধ্বনির উৎপাদন ঘটায়।
স্বরযন্ত্র
স্বরযন্ত্র হচ্ছে বাগযন্ত্রের প্রধান অংশ কেননা ইহার মাধ্যমে মানুষের উৎপন্ন আওয়াজের সুর সৃষ্টি হয়।
জিভ
মুখ গহব্বরে নিচের অংশের নাম হচ্ছে জিভ এবং জিভ এর মাধ্যমে মানুষ তার প্রত্যেকটি শব্দ বিভিন্ন আওয়াজে উৎপন্ন করতে পারে।
আলজিভ
মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশে যে ভাষা ব্যবহার করে এই ভাষা পরিপূর্ণভাবে উচ্চারণ হওয়ার ক্ষেত্রে আলজিভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কন্ঠ
এই কন্ঠ হচ্ছে মানুষের ভাষার মূল এবং এই কন্ঠ ধারায় মানুষ তার প্রত্যেকটি ভাষা উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়।
কন্ঠ ছাড়া মানুষ তার মনের ভাব উচ্চারণ করতে পারে না এবং ধ্বনির সৃষ্টি হয় না।
এগুলো ছিল বাক যন্ত্রের কিছু উপাদান এবং এ উপাদান বা অংশগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি কথোপকথন করার জন্য। আর অবশ্যই বাগযন্ত্র ছাড়া কথোপকথন করা সহজ বিষয় নয় এবং সেই সাথে কথোপকথন করার জন্য বাগযন্ত্রের উপাদান গুলো প্রয়োজন।
শেষ কথা:
বাগযন্ত্র কাকে বলে এবং বাগযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ও উপাদানসমূহ নিয়ে আজকের এই পোস্টটিতে তৈরি করা। আশা করি আপনাদের মাঝে এই পোস্টটি উল্লেখ করার মাধ্যমে আপনারা অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।
বাগযন্ত্র সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান জানার বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে বিরাজমান থেকে যায়।
আর এই বিষয়টি পরিপূর্ণরূপে উল্লেখ করার ক্ষেত্রে আমাদের এই পোস্টটি সাজানো।
আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাকে অনেক বেশি উপকারী বলে মনে হয়েছে এবং পাঠযোগ্য বলে মনে হয়েছে। যে কোন বিষয় ধারণা রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সকল প্রশ্ন ভাইভা পরীক্ষায় দেখাবে। সুতরাং বলা যায় যে এই পোস্টটি অবশ্যই আপনার জীবনের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট।
আরও পড়ুন: ধ্বনি কাকে বলে?