বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে: বাংলা ব্যাকরণের যে অংশে বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে বাক্যতত্ত্ব বলে।
এক বা একাধিক শব্দ একসাথে মিলিত হয় বাক্য তৈরি করে থাকে। বাক্য গঠনের মাধ্যমে মানুষ তার মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারে। বাক্য এমন হওয়া উচিত যা অন্যের বোধগম্য হয় এবং নিজে যা বলতে যাচ্ছে তা সহজ ভাবে বুঝাতে পারে।
মানুষের বাকপ্রত্যঙ্গজাত ধ্বনি সমন্বয় গঠিত শব্দসহযোগে সৃষ্ট অর্থবোধক বাক প্রবাহের বিশেষ বিশেষ অংশকে বলা হয়ে থাকে Sentence বা বাক্য। বাক্যকে ইংরেজিতে বলা হয় Sentence.
বাক্যকে অবশ্যই অর্থপূর্ণ হতে হবে। যদি বাক্য অর্থপূর্ণ না হয় তাহলে সেটি বাক্য হিসেবে গণ্য হবে না কখনো।
যদি বাক্য অর্থপূর্ণ না হয় তাহলে তার দ্বারা তো কোন কথাই বুঝা যাবে না। তাই বাক্যকে অবশ্যই অর্থপূর্ণ হতে হবে।
বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কি কি?
বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয় অনেক রয়েছে যেগুলো সবগুলোই আমাদের প্রয়োজন নাও হতে পারে কিংবা প্রয়োজন হয় না। তাই আমরা আজকের এই পোস্টটিতে আলোচনা করতে চলেছে যে বাক্যতত্ত্বের মধ্যে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নিচে প্রয়োজনীয় কিছু বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করা হলো:
- বাক্যের সঠিক গঠন প্রণালী হলো বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন হলো বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন উপাদানের বিয়োজন হলো বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- বাক্যের মধ্যে শব্দের স্থান বা ক্রম বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- বাক্যের মধ্যে পদের স্থান বা ক্রম বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- বাক্যের মধ্যে পদের রূপ পরিবর্তন করাও বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
- বাক্যের মধ্যে কোন পদের পর কোন পদ বসবে তাও বাক্য তত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
এ সকল বিষয় বাক্যতত্ত্ব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাই বাক্য তত্ত্বকে বাক্যের পদক্রম বলে। শব্দ বা পদ যেহেতু বাক্যের অংশ তাই এগুলোকে সুবিন্যস্ত করা বাক্য তত্ত্বের কাজ। বাক্যতত্ত্ব এই সকল শব্দ বা পদকে সাজিয়ে একটি বাক্যের সুন্দর অর্থ প্রদান করে থাকে।
অর্থ ছাড়া বাক্য তৈরি হতে পারে না, আর যদি অর্থ ছাড়া বাক্য তৈরি হয় তাহলে সেই বাক্যকে বাক্য বলে না।
অবশ্যই অবশ্যই বাক্যের মধ্যে একটি অর্থ থাকতে হবে যদি অর্থ না থাকে তাহলে সেটি বাক্য নয়।
শেষ কথা:
বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে এবং বাক্য তত্ত্বের মধ্যে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এটি ছিল আমাদের আজকের মূল উদ্দেশ্য। আজকের পোস্টের এ মূল উদ্দেশ্যটি পূরণ করার জন্য আমরা এখানে বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে ও আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেছি।
বর্তমানে আমরা অধিকাংশ শিক্ষার্থী এবং অনেক কম যুবক আছে যারা শিক্ষার মধ্যে উপস্থিত নেই বা শিক্ষা গ্রহণ করি না।
আমরা যারা শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের প্রত্যেকের কাছে একটি সাধারণ বই হচ্ছে বাংলা যা সকলে পড়ে থাকে যে কোন শাখায়।
আর এই বাংলা পাঠ করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি প্রথমে আমাদেরকে জানতে হবে সেটি হচ্ছে বাক্যতত্ত্ব। তবে বাক্য তত্ত্বের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ধ্বনিতত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে যা আমি ইতিমধ্যে অন্য একটি পোস্টে লিখেছি।
আচ্ছা আজকের পোষ্টের মূল বিষয় ছিল বাক্যতত্ত্ব এবং আমরা ইতিমধ্যে বাক্য তত্ত্বের সম্পূর্ণ সংজ্ঞা ও আলোচ্য বিষয় লিখেছি।
অবশ্য আমাদের তথ্য গুলো ভালোভাবে পড়ে নিন এবং মনে রাখুন আপনার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন হিসেবে।
আরও পড়ুন: ধ্বনিতত্ত্ব কাকে বলে?