বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ পালিত হয় এবং এই দিবস ১৯৭২ সাল থেকে চালু হয়েছে। যেহেতু বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চ শেষ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাই শেষ রাত্রি হওয়ার কারণে এই স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ পালন হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে বাঙালি জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ একটি দিন এবং এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম মঙ্গলবার, ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
তিনি এই স্বাধীনতার ঘোষণাটি ইংরেজিতে লিখেছিলেন এবং সেই সাথে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন পুরো বাঙালি জাতিকে উদ্দেশ্য করে।
তিনি ইংরেজিতে লিখেছিলেন এর কারণ হচ্ছে যেন আন্তর্জাতিকভাবে এর স্বীকৃতি উপলব্ধি করা হয় এবং প্রত্যেকটি দেশ যেন জানতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণার মাধ্যমে পুরো দেশে স্বাধীনতা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং অনুপ্রেরণা দেখা দেয়।
মূলত তিনার স্বাধীনতার ভাষণের মাধ্যমে পুরো দেশ বর্তমানে স্বাধীন হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কেননা, বাঙালিরা ইহার দ্বারা সংগ্রামী হয়ে উঠেছিল।
এবং তিনার এই ভাষণের দিনের উপর ভিত্তি করে বাঙালিরা স্বাধীনতা দিবস পালন করে এবং এই দিনটি ছিল স্বাধীনতার মূল অনুপ্রেরণা। তিনি যে ছাব্বিশে মার্চ প্রথম প্রহরের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তাই স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ কেননা, সর্বশেষ রাত্রি মানে ২৬ তারিখের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে?
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হচ্ছে ২৬ শে মার্চ এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও এই দিনটি পালন করা হয় দেশের স্বাধীনতার উপলক্ষে।
আর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গৌরবময় একটি দিন হচ্ছে এই স্বাধীনতা দিবসের দিন কেননা, এটি বাঙালির সার্থক বিষয়।
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিরা অর্জন করেছিল সর্বশ্রেষ্ঠ খেতাব স্বাধীনতা এবং পেয়েছিল নতুন একটি দেশ ও রাষ্ট্র। আর এ স্বাধীনতা সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে যা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিল এবং প্রত্যেকটি বাঙালিকে অনুপ্রেরণা প্রদান করেছিল উক্ত ভাষণে।
অনেকে মনে করে যে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধের পর হয়তোবা স্বাধীন হয়েছিল দেশ এবং সেখানে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
আসলে এমনটি না বঙ্গবন্ধু তো যুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন যা ছিল বাঙালিদের জন্য অনুপ্রেরণা।
সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছিলেন?
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং এটি ছিল একটি চিঠির মাধ্যমে। কেননা ঐ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেই সাথে অত্যাচার করা হয়েছিল যেন বাঙালিরা দুর্বল হয় পরে।
তবে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পুরো দেশ জুড়ে ছড়াছড়ি হওয়ায় বাঙালীদের মাঝে ঐক্য সৃষ্টি হয় আরো জটিল এবং সংগ্রামী চিন্তা বাড়ে।
আর এই ঐক্যের মাধ্যমে বাঙালিরা একে একে ধ্বংস করে পাকিস্তানের প্রত্যেকটি সেনাকে পরাজিত করে পাকিস্তানিদের।
বঙ্গবন্ধু তিনার স্বাধীনতার এই ঘোষণাটি দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ ইংরেজিতে যেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করে বাংলা স্বাধীনতার। এখনো তিনার এক ঘোষণাটি প্রায় অনেক দেশেই শোনানো হয় অনুপ্রেরণার জন্য যেনা সকলে সংগ্রামী হয়ে উঠতে পারে।
স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস করে আমরা যে গৌরব অনুভব করতেছি তার জন্য মূল অনুপ্রেরণা ছিল বঙ্গবন্ধুর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস আশা করি এই বিষয়ের উপর কিছুটা হলেও আপনাদের মাঝে ধারণা উপস্থাপন করতে পেরেছি, শুভ বিদায় এবং ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার স্বামীর নাম কি?