বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কয় স্তর বিশিষ্ট

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কয় স্তর বিশিষ্ট: বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে মোট তিন স্তরবিশিষ্ট যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত কিছু ভেদাভেদ প্রতি স্তরের মধ্যে।

জাতীয় শিক্ষানীতি 2010 অনুযায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মোট তিন স্তর বিশিষ্ট।

শিক্ষার্থীর বয়স অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষা স্তর মোট তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কয় স্তর বিশিষ্ট
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কয় স্তর বিশিষ্ট

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কয় স্তর বিশিষ্ট: বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থা মোট তিন স্তর বিশিষ্ট, যেমন:

  • প্রাথমিক শিক্ষা স্তর।
  • মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর।
  • উচ্চ শিক্ষা স্তর।

আমাদের বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থার যতগুলো স্তর মূল রয়েছে তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে এবং চলুন এই সকল স্তর সম্পর্কে জানি।

অর্থাৎ বাংলাদেশ শিক্ষা স্তরে যে সকল শিক্ষা রয়েছে তার প্রত্যেকটির ব্যাখ্যা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে এই পোষ্টের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা স্তর

বাংলাদেশে উপস্থিত প্রত্যেকটি শিশুর নিতান্ত্র প্রয়োজনীয় ও আবশ্যিক শিক্ষা স্তর হলো বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা স্তর। শিশুর পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে এ স্তরের শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়া চালু হয়। এবং সর্বনিম্ন পাঁচ বছর পর্যন্ত এই শিক্ষা পদ্ধতি অব্যাহত থাকে।

এ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী নিজ ভাষায় জ্ঞান, সংখ্যা পদ্ধতির, অক্ষর পদ্ধতি ও এদের ব্যবহার নিয়ে জ্ঞান লাভ করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা স্তর থেকে শিক্ষার্থী মানবিক ও নৈতিকতার বিকাশ ঘটতে থাকে এবং ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে।

বাংলাদেশের যতগুলো শিক্ষা স্তর রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও স্তর হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা স্তর। কেননা প্রাথমিক স্তরের অর্জিত প্রাথমিক জ্ঞান ছাড়া কখনো একজন শিশু বা শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা বুঝতে পারবে না এবং গ্রহণ করতে সক্ষম হবে না।

তাই আমাদেরকে বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রথম শিক্ষা অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা স্তর সমাপ্ত করে জ্ঞান ধারণ করতে হবে পরবর্তী শিক্ষার জন্য।

প্রাথমিক শিক্ষার পরে যে মাধ্যমিক শিক্ষা রয়েছে সেখানে শিক্ষা অর্জন করার জন্য শিক্ষা থেকে প্রস্তুত করা হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে।

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর

দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের জ্ঞান লাভের পর পরবর্তী ধাপে যে শিক্ষা গ্রহণ করা হয় তাকে মাধ্যমিক শিক্ষা বলে।

মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা মোট পাঁচ বছরের, তবে পরীক্ষার কারণে এটি ছয় বছর পর্যন্ত গণনা করা হয়।

মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিক্ষার্থী তার প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অর্জিত জ্ঞান নানাভাবে ব্যবহার করতে শিখে। প্রাথমিক স্তরে অর্জিত সংখ্যা পদ্ধতি ও অক্ষর জ্ঞান এর মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে জটিল ধরনের গণনার কাজ ও অক্ষর জ্ঞান এর ব্যবহার শিখে।

বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর হচ্ছে এমন একটি শিক্ষায় স্তর যেখানে শিক্ষার্থী কিছুটা হলেও তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে শুরু করে।

আর এখান থেকেই উচ্চশিক্ষা ইস্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ার নিয়ে পরিপূর্ণভাবে ব্যস্ত হয় পরে।

প্রাথমিক শিক্ষার পর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা স্তরে রয়েছে সেটি হচ্ছে এর মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর শিক্ষার্থীর জন্য। কেননা এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান দ্বারা মানুষ সম্পূর্ণরূপে নিজেকে আত্ম উপলব্ধি করতে পারে এবং সেই সাথে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।

বাংলাদেশ উচ্চ শিক্ষা স্তর

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা স্তরের নাম হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার স্তর এবং এখানে শিক্ষার্থীর তার ক্যারিয়ার গঠন করতে শুরু করে।

উচ্চ শিক্ষা স্তর হচ্ছে এমন একটি শিক্ষা স্তর যেখানে শিক্ষার্থীকে নিজের মনোবল বৃদ্ধির সাথে পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে হয়।

শিক্ষার্থী এ শিক্ষা সেরা উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে কোন ধরনের পড়াশুনার চাপের শিকার হয়না গুরুজনদের কাছ থেকে। এর ফলে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়ে দেয় এবং ক্যারিয়ার গঠনে সফল হয় না।

উচ্চ শিক্ষা স্তর হচ্ছে এমন একটি স্তর যার শিক্ষা গ্রহণ ও সনদ প্রাপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জীবনের পরিপূর্ণ প্রেক্ষাপট ফুটে ওঠে।

সনদ ভালো হলে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ দৃশ্য উজ্জ্বল হয় এবং খারাপ হলে ভবিষ্যৎ দৃশ্য অন্ধকার হয়।

এগুলো ছিল বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রত্যেকটি স্তর সম্পর্কে ব্যাখ্যা এবং উপরে আমরা এই স্তরগুলোর নাম আপনাদের মাঝে উল্লেখ করেছি। আর অবশ্যই আমাদেরকে এটি মাথায় রাখতে হবে যে প্রত্যেকটি শিক্ষা স্তর সমাপ্ত করার জন্য আমাদেরকে প্রথমে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ক্ষুধা সীমিত করে তুলেছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!