উত্তর: বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তিন স্তরবিশিষ্ট: প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর। সরকারি এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয় বাংলাদেশের শিক্ষায় স্তরের প্রথম ধাপ প্রাথমিক শিক্ষা স্তর এবং এটি হচ্ছে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি শিক্ষা স্তর।
মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর হচ্ছে মোট সাত বছর মেয়াদী।এর মধ্যে তিন বছর মেয়াদি হচ্ছে জুনিয়র শিক্ষা, তারপর দুই বছর মেয়াদি হচ্ছে মাধ্যমিক এবং পরবর্তী দুই বছর হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা হিসেবে যে শিক্ষাকে বর্ণিত করা হয় সেটি হচ্ছে কলেজের শিক্ষা।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে চার থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত 36 টি পাবলিক এবং ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন -এর তত্ত্বাবধানে অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এ শিক্ষা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষা স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণ করার অধিকার রাখে।
বাংলাদেশ শিক্ষার শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত ফলাফল ব্যবস্থাপনা
শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে ফলাফল প্রদান ও ফলাফল প্রদানের সময় অবলম্বনকৃত ব্যবস্থাপনা। আর এ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষার মান অনেক বেশি উন্নত করা সম্ভব হয় এবং শিক্ষাতের যোগ্যতা যাচাই করার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিফলিত হয়।
বাংলাদেশের যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে সেটি হচ্ছে শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের বা এই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দপ্তর।
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মোট দশটি (১০টি) শিক্ষা বোর্ড দ্বারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই দশটি বোর্ড পুরো বাংলাদেশের তিনটি পাবলিক পরীক্ষার পরিচালনা করে কিংবা নিয়ন্ত্রণ করে।
এই তিনটি পাবলিক পরীক্ষা হলোঃ জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (JSC) পরীক্ষা, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা (SSC) পরীক্ষা, এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা (HSC) পরীক্ষা।
এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তিতে বৃত্তিমূলক স্কুল প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বোর্ড এবং অন্যান্য সকল ইনফরমেশন দিয়ে আমরা এই পোস্টটিতে শিক্ষার ফলাফল বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রদান করেছি। অবশ্যই শিক্ষা ব্যবস্থা বা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফলাফল বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করা।
এই ফলাফল বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয় রয়েছে এবং এই মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে কাজ করে থাকে।
যোগ্যতা যাচাই এবং যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত সন্ধানে প্রদান করাই হচ্ছে চূড়ান্ত ফলাফল ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য ও কাজ।
বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম ব্যবস্থায় জাতীয় শিক্ষা করা ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
এই বোর্ডটি বাংলাদেশের প্রাথমিক নিম্ন মাধ্যমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্য বই উন্নয়ন, অনুমোদন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
বাংলাদেশ সরকার আবার বাংলাদেশ ব্যুরো অব এডুকেশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্স গঠন করেছে যা সকল পর্যায়ের শিক্ষাক্রমের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে।
আমরা বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থার সকল তথ্য হিসেবে শিক্ষা স্তর, শিক্ষা ফলাফল বাস্তবায়ন এবং বোর্ডের ধারণা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছি। তবুও শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো অনেক সাধারণ জ্ঞান রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন হওয়া উচিত।
কেননা বিভিন্ন সময় মৌখিক পরীক্ষায় দেখা যায় যে শিক্ষা সম্পর্কে এই সকল বিষয়ে প্রায় প্রশ্ন করে থাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাই আপনি যদি সঠিকভাবে যথাযথ উত্তর দিতে চান এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
দিন দিন আমাদের এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে অনেক বেশি উন্নত এবং উন্নত হওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের ব্যবস্থাপনা।
দেশের ব্যবস্থাপনা বলতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে বুঝাতে চেয়েছি কেননা শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ছাড়া কখনো শিক্ষার মান উন্নত হয় না।
প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি দেশের জন্য স্বীকৃত জনগণ ও শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে ব্যক্তির দরকার অনেক বেশি। আর এই প্রয়োজন নিবারনের জন্য মূলত শিক্ষার মান এত বেশি উন্নত করা হয়েছে এবং শিক্ষাকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই করা হয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি বা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
চলুন তাহলে দেখে নেই বাংলাদেশের যে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে সে শিক্ষা ব্যবস্থায় কি কি সাধারণ জ্ঞান রয়েছে সেগুলো।
প্রশ্ন: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন কত সালে গঠন করা হয়?
উত্তর: ২৬ শে জুলাই ১৯৭২ সালে।
প্রশ্ন: কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন কত সালে গঠন করা হয়?
উত্তর: ১৯৭২ সালে এ কমিশন গঠন করা হয়।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশনের নাম কি?
উত্তর: ডঃ কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন।
প্রশ্ন: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: 1981/১৯৮১ সালে।
প্রশ্ন: শিক্ষা বিভাগের ট্রেনিং এর জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তর: নায়েম।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি বা ব্যবস্থা মোট কয়টি স্তরে বিভক্ত?
উত্তর: মোট তিনটি স্তরে বিভক্ত।
প্রশ্ন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার গ্রেডিং ব্যবস্থা চালু হয় কত সাল থেকে?
উত্তর: ২০০৩ সাল হতে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন স্বাক্ষরতা সর্বাধিক?
উত্তর: বরিশাল বিভাগ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উপনিষ্ঠা শিক্ষার প্রচলন শুরু হয় কত সাল থেকে?
উত্তর: ১৯৯১ সাল হতে।
প্রশ্ন: উপমহাদেশে প্রথম কত সালে নৈশ বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়?
উত্তর: ১৯১৮ সালে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক আইন কত সালে জারি হয়?
উত্তর: ১৯৯০ সালে।
প্রশ্ন: উপনিষ্ঠা শিক্ষা শিক্ষার মূল লক্ষ্য কারা?
উত্তর: বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা।
এগুলো হলো বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি করা একটি পোস্ট যেখানে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সাধারণ বিষয় নিয়ে। আর এই সকল সাধারণ বিষয় অবশ্যই মৌখিক পরীক্ষায় আপনার আসতে পারে এবং আপনি যেন যথাযথভাবে উত্তর দিতে পারেন তাই সঠিক উত্তর প্রদান করা হয়েছে।