বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি: বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রটির নাম হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র (১৯৬২ – ১৯৬৮)। এই বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র ২০০০ সাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস উৎপাদনকারী ক্ষেত্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
২০০০ সাল পর্যন্ত এই গ্যাসক্ষেত্র হতে আমরা মোট প্রায় ১.৭২ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে।
তাহলে ধারণা করুন যে আমরা কতগুলো গ্যাস উত্তোলন করেছি বাংলাদেশের বৃহত্তম এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে এবং চাহিদা পূরণ করেছি।
বাংলাদেশের এই গ্যাসক্ষেত্র হতে প্রতিবছর প্রয়োজনীয় অনেক জ্বালানি উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে এবং জ্বালানির চাহিদা পূরণ হয়েছে।
আবার দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে বাংলাদেশের এই বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র যে গ্যাসক্ষেত্রের নাম তিতাস গ্যাসক্ষেত্র। সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন এসে থাকে প্রত্যেকটি চাকরির পরীক্ষায় এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র একটি সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন চাকরির জন্য।
চাকরির জন্য বিভিন্ন স্থান হতে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন একটি দুটি চলে আসে এবং বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর।
যেহেতু বৃহৎ এই গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে এবং অর্থনীতি উন্নত ও চাহিদা পূরণ করছে।
তাই আমাদেরকে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হিসেবে নিতে হবে এবং বাংলাদেশের বৃহৎ গ্যাসক্ষেত্রের উপর সাধারণ জ্ঞানের অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্রের অবস্থান কোথায়
বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্রের অবস্থান হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাটি বর্তমানেও এই গ্যাসক্ষেত্রটির জন্য বিখ্যাত। এই গ্যাসক্ষেত্র টেপ প্রায় ৮ পয়েন্ট ১৩ ঘন ফুট গভীর এবং এখান থেকে কত বেশি গ্যাস আমরা উৎপন্ন ও উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে তা আপনারা বুঝতে পারছেন।
এই গ্যাসক্ষেত্রটি দ্বারা বাংলাদেশ অনেক বেশি উন্নতির সাধারণ করত, তবে অন্যান্য দেশের শাসনকর্তাদের কারণে তা সফল হয়নি।
যদিওবা বাংলাদেশে এই গ্যাসক্ষেত্রটি রয়েছে তবুও আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থা গ্যাস উত্তোলনের জন্য নেই।
আর গ্যাস উত্তোলনের জন্য উন্নত প্রযুক্তি না থাকার কারণে অন্যান্য দেশ হতে ইঞ্জিনিয়ারগন এসে এই গ্যাস উত্তোলন করে থাকে।
তবে তারা যে ফ্রিতে এসে এসকল গ্যাস উত্তোলন করে যায় এমনটি না বরং বাংলাদেশকে কিছু কমিশন বা ডিল অনুযায়ী ভাগ দেওয়া হয়। আর অবশ্যই বাংলাদেশ এই গ্যাসক্ষেত্র হতে যতগুলো টাকা বা অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করতে পারে তা অনেক বেশি উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ নিজেই এমন প্রযুক্তি তৈরি করে যার দ্বারা গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব তাই তো সমস্যা ক্লিয়ার হয়।
আসলে গ্যাস উত্তোলন করাতে প্রযুক্তি তৈরিতে যত টাকা খরচ হবে, গ্যাস উত্তোলন করে দেশের উন্নয়ন করার জন্য যথেষ্ট হবে না।
শেষ কথা:
বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোনটি এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত এর উপর সাধারণ জ্ঞান উল্লেখ হয়েছে। আর অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশে অবস্থিত এই বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রটির সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান নিজের অভিজ্ঞতায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্রের নাম হচ্ছে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র এবং এই গ্যাস ক্ষেত্রটি ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত হয় আমাদের দেশে।
যদিও বা এই গ্যাসক্ষেত্রটি হতে আমরা সকল গ্যাস নিজে উত্তোলন করে, উত্তোলন করা গ্যাস থেকে প্রফিট অর্জন করতে পারি না।
কিন্তু তবুও যতটুকু গ্যাস আমরা উত্তোলন করতে পারে অংশীদার হিসেবে, সেগুলো দেশের জন্য অনেক বেশি প্রফিট অর্জন করে। আর বাংলাদেশের যেহেতু কোন প্রযুক্তি নেই গ্যাস উত্তোলন করার জন্য সে ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রফিট অর্জন করা বেশি ভালো হয়েছে।
বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আমাদের এই পোস্টটিতে চাকরির জন্য সাধারণ জ্ঞানের উত্তর দেওয়া হয়েছে।
আর অবশ্যই আপনাকে আমি ধন্যবাদ দিব যে আপনি আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত আপনার মূল্যবান সময় অতিবাহিত করেছেন এখানে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?